1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় রাহবার ফাউন্ডেশন’র ফ্রী চিকিৎসা পেলেন অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষ মিয়ানমারে পাচারকালে ইউরিয়া সারসহ আটক ১০ পাচারকারী থানচির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলেন বিজিবি খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার ২ বান্দরবানে শতাধিক শিক্ষার্থীরা পেলেন এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা উপকরণ লামায় ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ’র নতুন সভাপতি মহেন্দ্র, সম্পাদক প্রণয় ও সাংগঠনিক দুর্জয় ত্রিপুরা আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন আলীকদমে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে দুই জনকে জরিমানা বান্দরবানে ২১ কিলোমিটার হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত লোহাগাড়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সাউন্ড হেলথ হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি বান্দরবানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খাদ্যশষ্য প্রদান করলেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএস মং রাঙ্গামাটিতে তরুণী ধর্ষণ মামলায় এক যুবক আটক

বান্দরবানের মিতা তংচঙ্গ্যা হলেন দেশের প্রথম মহিলা ফরেষ্টার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

পাহাড়ের কথা ডেস্ক |

দেশের প্রথম মহিলা ফরেষ্টার হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন মিতা তংচঙ্গ্যা। আর তিনি হবেন দেশের বন অধিদপ্তরের প্রথম মহিলা ফরেষ্টার। আর এ নিয়ে এস বাসু দাশ এর বিশেষ প্রতিবেদন।

সূত্রে জানা যায়, মিতা তংচঙ্গ্যা পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের বঙ্গপাড়ার গুনধর তংচঙ্গ্যার মেয়ে। মিতা রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার তাইতংপাড়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পাশ করেন। এরপর এফএসটিআই এর ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী হিসাবে ২০২৩ সালের সমাপনি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। ২০২৩ সালের জুন মাসে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ফরেস্ট ডিপ্লোমা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি চট্টগ্রামের ফরেস্ট্রি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট হতে ২৪তম ব্যাচে ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি কোর্স সম্পন্ন করেছেন। সমাপনী পরীক্ষা ফলাফল বের হওয়ার পর ইতোমধ্যে আরো একবার বন অধিদপ্তরের ফরেষ্টার পদের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। দ্বিতীয়বার ফরেষ্টার হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়।

আরো জানা যায়, পাহাড়ের দূর্গম পথ পাড়ি দেওয়ার মতো শিক্ষা জীবনের কঠিন দিনগুলো তার পাড়ি দিতে হয় তার। পরিবারে ৫ ভাই বোনের মধ্যে মিতা সবার ছোট। বড় দিদি সহকারী শিক্ষক ও অন্য ভাইরা ব্যবসা বাণিজ্য করেন, মাতা ছিলেন গৃহিনী।

মিতা তংচঙ্গ্যা পাহাড়বার্তা’কে বলেন, ফরেস্টি নিয়ে পাহাড়ের আদিবাসী মেয়েদের পড়ার অভিজ্ঞতা ছিলোনা, পরে এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে ভর্তি হন তিনি, ফরেস্ট বিষয়ে মেয়েরা পড়ালেখা করতে এগিয়ে এসেছে এমন নজির খুব কম।

তিনি আরো বলেন, আগে ফরেস্ট নিয়ে ছেলেরা পড়ালেখা করলেও বিগত সময়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধু ছেলেরা কেন ফরেস্টে সুযোগ পাবে, মেয়েদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত। তারপর থেকে মূলত মেয়েরা এই ফরেস্ট ডিপ্লোমাতে শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ পায়।

ফরেস্ট নিয়ে শিক্ষা জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে তিনি পাহাড়বার্তা’কে বলেন, শিক্ষা অর্জনের সময় ছেলেরা কটু কথা বলতো, কারন এই বিষয়ে পড়ালেখা করতে মেয়েরা ছিলোনা। আমাদের আদিবাসী মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে, আমি চাই এই কঠিন পেশায় পাহাড়ের আদিবাসী মেয়েরা আরো এগিয়ে আসুক, এগিয়ে যাক।

তিনি পাহাড়বার্তা’কে বলেন, পরিক্ষায় মেয়েদের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি লাগতো, দেখা গেছে ৫ ফুট ২-৩ ইঞ্চি ছিলো, যার কারনে পরীক্ষায় উত্তীর্ন হলেও ভাইভা’য় উচ্চতার কারনে বাদ পড়ে যেত। তাই উচ্চতার বিষয় শিথীল করলে এই পেশায় অনেক মেয়ে এগিয়ে আসবে। তিনি আরো বলেন, উচ্চতার কারনে শুধু আদিবাসী বলে কথা নেই, বাঙ্গালী মেয়েরাও ঝড়ে পড়ছে, তাই বিষয়টি সরকারের দ্রুত বিবেচনা করা উচিত।

এদিকে সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়ার পরেই মিতা গত ১৫ জানুয়ারি বিকালে ছুটে আসেন তার প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফরেস্ট্রি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে। এসেই তিনি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। পরে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এই বিষয়ে মিতা পাহাড়বার্তা’কে বলেন, এটা আমার এবং আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নিঃসন্দেহে একটি গৌরবের বিষয়। আগামীতে আরো মহিলা ফরেষ্টার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হোক এটা আমি আশা করি।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী দেশের প্রথম নারী ফরেষ্টার হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হওয়ায় আমি গর্বিত। আগামীতে যাতে এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা ফরেষ্টার পদে আরো সুপারিশ প্রাপ্ত হতে পারে তার জন্য নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ মহিলাদের ক্ষেত্রে শারিরীক যোগ্যতার বিষয়টি শিথিল করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন মহলের কাছে দাবী জানাচ্ছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট