আমিনুল ইসলাম খন্দকার।
বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলার সব ধরনের অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে কাঠ ও বনজ দ্রব্য ব্যবহারকারী ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
রোববার (২৪আগস্ট) বান্দরবানের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি এই গণবিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে গণবিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) অনুযায়ী অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধসহ কাঠ ও বনজদ্রব্য ব্যবহারকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ২৪ জুলাই ২০২৫ তারিখের স্মারকের নির্দেশনার আলোকে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পার্বত্য অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বান্দরবান জেলায় অবৈধ ও অননুমোদিত সব ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে, আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) হাইকোর্টের নির্দেশে বান্দরবানের লামা উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে ফাইতং ইউনিয়নে ৬ টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া ইটভাটাগুলো হলো-ইউবিএম, এসবি ডব্লিউ, এমবি আই, ইবিএম, ৭বিএম, এলাহি ব্রিকস ও সেভেন ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারিং। এসব ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছিল না। পুরো বান্দরবান জেলায় অবৈধ ৪৪টি ইটভাটার মধ্যে ৩৬টি লামা উপজেলার ফাইতংয় ইউনিয়নে অবস্থিত।