1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
রাঙামাটি পুলিশ উদ্ধার করলেন হারানো ৩০টি মোবাইল চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম ১৮ দিনের রিমান্ডে রামুতে বন্যহাতির হামলায় প্রাণ গেল শিশুর রামুতে পাহাড় ধসে শ্রমিকের মৃত্যু লামায় শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের পুষ্টিকর খাদ্য ও শিক্ষা সরঞ্জাম পেলেন ৩২৩ শিশু শিক্ষার্থী উখিয়ার ইউএনও, পেশাদারিত্ব ও কর্মগুণে নাগরিক সেবায় আলো ছড়াচ্ছেন লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ’র সাফল্য, মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেন ২৫ শিক্ষার্থী বন্ধ হয়ে গেল লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির সিনেমা হল : রইল না আর এ তিন উপজেলার চিত্তবিনোদনের কোন ব্যবস্থা দুর্গম আলীকদমে দুঃসাহসিকতার বলি: ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অব্যবস্থাপনার চিত্র নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন আলীকদমে ইয়াবা সহ ৩ জন আটক কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন, পূর্ণপ্যানেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হাসিম-আনছার প্যানেল জাতীয় নাগরিক কমিটি’র বান্দরবান জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন আলীকদমে নিখোঁজ দুই পর্যটকের মধ্যে এক নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ১ লামায় পর্যটন রিসোর্ট মালিকদের প্রতি সেনাবাহিনী’র নির্দেশনা লামায় বিএনপি’র ঈদ পুর্ণমিলনী

বান্দরবানে আবাসিক এলাকায় শ্মশান নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা : নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে মেয়রের নির্দেশ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবান জেলা সদরের রোয়াংছড়ি বাস স্টেশন আবাসিক এলাকায় বড়ুয়া সম্প্রদায়ের শ্মশান নির্মাণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ঘটনার পর সরেজমিনে পরিদর্শন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বান্দরবান পৌর মেয়র। স্থানীয়রা জানান, শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে বান্দরবান সদর এলাকার রোয়াংছড়ি বাস স্টেশন ভবনের পেছনে ২০ শতক সরকারি খাস জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের শ্মশান নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা এতে বাধা প্রদান করেন। এঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার কমিটির লোকজনের সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করে শ্মশান নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় স্থানীয়রা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বান্দরবান পৌর মেয়র মো. ইসলাম বেবী ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম রফিকুল ইসলাম। এসময় মেয়র সরকারি খাস জায়গায় দখল এবং বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার মধ্যে শ্মশান নির্মাণ করায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

স্থানীয় সোনা রাম, বিক্রশ লালা ও নুরুল ইসলাম জানান, রোয়াংছড়ি বাস স্টেশন এলাকায় মুসলিম, হিন্দু, মার্মা ও কয়েকটি বড়ুয়া পরিবারসহ প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের বসবাস। বিগত ৫/৭ বছর পূর্বে রোয়াংছড়ি বাস টার্মিনাল ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার। বাস টার্মিনালের চতুর্পাশে বসত ঘর, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি বৌদ্ধ অনাথালয় রয়েছে। বাস টার্মিনাল ভবনের পেছনে এবং আবাসিক এলাকার ভেতরে অনুমানিক ২০ শতক পরিত্যক্ত সরকারি খাস জমি রয়েছে, যা পাড়ার লোকজন বিভিন্ন সময় ধর্মীয় ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান কাজে ব্যবহার করে আসছিল। সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত ২০ শতক সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করতে এবং তাদের নিজন্ব সম্পত্তি দাবি করে বড়ুয়া সম্প্রদায়ের সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার কমিটির লোকজন উক্ত জায়গায় একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।

গত ২১ মার্চ বান্দরবান পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ড নিউগুলশান এলাকার বাসিন্দা ও সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার কমিটির সভাপতি চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়ার পিতা রায় মোহন বড়ুয়া মারা যায়। পাড়ার লোকজনের ব্যবহৃত ২০ শতক খাস জমিকে শ্মশানে রূপান্তর করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়ার মৃত পিতাকে হঠাৎ ওই জায়গায় সৎকার করার চেষ্টা চালায়। এসময় পাড়ার শত শত নারী- পুরুষ এতে বাধা প্রদান এবং প্রতিবাদ করে। এক পর্যায়ে উক্ত জায়গায় মৃত ব্যক্তিকে সৎকার থেকে তারা বিরত থাকে। এসময় সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার কমিটির সভাপতি চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক অসীম বড়ুয়াসহ কমিটির কয়েকজন হুমকি ধমকি প্রদান করে যে, তারা যে কোনো সময় পাড়ার লোকজনের ব্যবহৃত খাস ২০ শতক জমি দখলে নিয়ে শ্মশান নির্মাণ করবে।

শনিবার (২৫ মার্চ) বড়ুয়া সম্প্রদায়ে লোকজন আবারো শ্মশান নির্মাণের কাজ করতে গেলে পাড়ার লোকজনের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তারা আরো জানান, একটি বাস টার্মিনাল, আবাসিক এলাকা এবং বাণিজ্যিক এলাকার মতো একটি জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শ্বশ্মান গড়ে তোলা মোটেও সমীচীন হবে না। একটি জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শ্মশান গড়ে তোলা হলে লাশ পুড়ানোর দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হবে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হবে।

তারা আরো জানান, সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার কমিটির লোকজন যদি পাড়াবাসীর ব্যবহৃত এবং সরকারি খাস ২০ শতক জমি অবৈধভাবে দখল করে শ্মশান নির্মাণ করা হয় তাহলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির দায়ভার সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার কমিটির লোকজনকেই নিতে হবে।

কালাঘাটার বড়ুয়ারটেক এলাকায় সরকারি নির্ধারিত বড়ুয়া সম্প্রদায়ের জন্য নির্দিষ্ট শ্মশান রয়েছে। সরকারি অর্থায়নে প্রয়োজনে উক্ত শ্মশানকে আরো মানসম্পন্ন ও আধুনিক মানের করে গড়ে তোলা যায় বলে তারা জানান।

এ ব্যাপারে সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার কমিটির সভাপতি চৌধুরী প্রকাশ বড়ুয়া জানান, বিহারের নামে ১০ শতক জমি বন্দোবস্তি রয়েছে। আমাদের নিজস্ব সম্পত্তিতে শ্মশান নির্মাণ কাজে এলাকার লোকজন বাধা দিচ্ছে। আমাদের সম্পত্তিতে কী করবো, না করবো এটা আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

বান্দরবান পৌর মেয়র মো. ইসলাম বেবী জানান, খাস জায়গা হচ্ছে সরকারের সম্পত্তি। সরকারি খাস জায়গা অবৈধভাবে দখল করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোন কিছুই করতে দেয়া হবে না। তাই বড়ুয়া সম্প্রদায়ের শ্মশান নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বান্দরবান সদর থানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম রফিকুল ইসলাম জানান, রোয়াংছড়ি বাস স্টেশন এলাকায় বড়ুয়া সম্প্রদায়ের শ্মশান নির্মাণকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনায় উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে বৈঠক করা হয়েছে এবং কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সুত্র-পার্বত্য নিউজ

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট