1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৬:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন আলীকদমে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে দুই জনকে জরিমানা বান্দরবানে ২১ কিলোমিটার হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত লোহাগাড়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সাউন্ড হেলথ হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি বান্দরবানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খাদ্যশষ্য প্রদান করলেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএস মং রাঙ্গামাটিতে তরুণী ধর্ষণ মামলায় এক যুবক আটক খাগড়াছড়িতে অপহরণের ৭ দিন পর চবি’র ৫ শিক্ষার্থী মুক্ত বিদ্যুৎ চলে গেলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রোগীদের দুর্ভোগ লামায় নিবন্ধিত জেলেরা পেলেন বিনামূল্যে উন্নত জাতের ছাগল লামায় ‘কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ’ বিষয়ক রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন লামায় “ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক” প্রশিক্ষণ চকরিয়া ভূয়া নৌবাহিনী সদস্য পরচিয়ে প্রতারণায় এক দম্পতি গ্রপ্তোর

বান্দরবানে ইটভাটা বন্ধ হলে বেকার হয়ে পড়বে অর্ধ লক্ষাধিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ও বাঙ্গালী শ্রমিক : শক্ত প্রভাব পড়বে পাহাড়ের সরকারী-বেসরকারী উন্নয়ন কাজে : আগামী ৬ মাস ভাটা চালুর অনুমতি চান ভাটার মালিক

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

লামা প্রতিনিধি |
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্মশক্তি হল ইট ভাটার শ্রমিক। এ ধারাবাহিকতায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৭টি উপজেলায় গড়ে উঠে ৭০টি ইটভাটা। এ জেলায় ইট শিল্প ছাড়া আর কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এ ইট ভাটায় কাজ করেছেন অর্ধ লক্ষাধিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ও বাঙ্গাালী শ্রমিক। শ্রম শক্তির পাশাপাশি এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে উন্নয়নও। ইটের বিকল্প এখনো কিছু গড়ে উঠেনি। এখানে তৈরি ইট ছাড়া সমতল জেলা থেকে ইট নিয়ে জেলায় উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। গত ৫ আগষ্ট সরকারের পট পরিবর্তনের পরে অন্তবর্তীকালিন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের সমস্ত অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে হবে। পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইট তৈরি করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। পার্বত্য জেলাতে মোটেই ইট ভাটা করতে দেয়া হবে না। এ ঘোষণার পর ইট ভাটা বন্ধ হলে তিন পার্বত্য জেলার সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে চলমান কয়েক হাজার কোটি টাকার সরকারী-বেসরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন থমকে যাবে। এতে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ভেস্তে যাওয়ার পাশাপাশি উন্নয়ন বঞ্চিত হবে এ জেলা। শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে ইটভাটা মালিকদের। শক্ত প্রভাব পড়বে পাহাড়ের উন্নয়নমূলক কাজে। বেকার হয়ে পড়বে এ পেশায় নিয়োজিত অর্ধ লক্ষাধিক শ্রমিক। ভেঙ্গে পড়বে গ্রামীন অর্থনীতি। তাই বিশেষ বিবেচনায় আগামী ৬ মাস পর্য্যন্ত জনস্বার্থে এ বান্দরবান জেলায় পরিবেশ ভারসাম্য বজায় রেখে ইটভাটা চালুর রাখার ব্যবস্থা গ্রহনে পরিবেশ,বন ও জলবায়ু উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন ঠিকাদার, নির্মাণ শ্রমিক, ইটভাটা শ্রমিক, পরিবহন সমিতির নেতৃবৃন্দসহ সচেতন মহল। শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়ে এ দাবী তুলেন তারা।
জেলার জনপ্রতিনিধি আমির হোসেন, মিন্টু, আবুল কালাম সহ অনেকে বলেন, শহর অঞ্চলের তুলনায় পার্বত্য এলাকায় বায়ু দূষণ যৌক্তিক পর্যায়ে আছে। তাছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে শিল্প কারখানা বা অন্য কোন ধরনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলা। এখানে গড়ে উঠা ইট ভাটাগুলোই অর্ধ লক্ষাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান ও অন্ন যোগানের একমাত্র ভরসাস্থল। এসব ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে দেশের বিরাজমান এ পরিস্থিতিতে গ্রামীন অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়বে, বেড়ে যাবে চুরি ডাকাতি রাহাজানি। তারা আরও বলেন, পার্বত্য জেলায় ঢালাও ভাবে পাহাড় কাটা হয় এ ধারনা ঠিক নয়। পাহাড় কাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন প্রতিনিয়ত আইনি পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। বাস্তবে যে সকল ইট ভাটা পাহাড় কাটার সাথে জড়িত নয়, যারা পুকুর বা বাঁধে ভরাট হয়ে যাওয়া মাটি থেকে ইট তৈরির মাটি যোগান দিয়ে থাকেন, তাদেরকে নিয়মনীতি মেনে জনস্বার্থে ইটভাটা চালুর অনুমতি দেওযার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টার মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করছি। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সাল পর্য্যন্ত মাটির তৈরি ইট বানানোর সরকারি গেজেট রয়েছে। এছাড়াও মাননীয় উচ্চ আদালতের আদেশও আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের আগে ইটভাটাগুলোর মালিকরা সরকারী বেসরকারী ঋণ নিয়ে প্রায় শত কোটি টাকা লগ্নি করেছেন। এসব ক্ষতি পোষাতে আগামী ছয় মাস সময় চেয়ে পরিবেশ,বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা বরাবরে আবেদনও করেন ভাটা মালিকরা। আগামী ছয় মাস পর তারা আর ইট ভাটা করবেন না বলে মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে লামা উপজেলার ইট ভাটা মালিক মো. খোরশেদ আজম জানায়, ইট ভাটা স্থানান্তরের ব্যবস্থা নিতে হলে সময়ের প্রয়োজন আছে। ভ্যাট ট্যাক্স ও জমির উন্নয়ন কর সহ প্রায় ১০ লাখ টাকা হারে সরকারী কোষাগারে জমা করেন প্রতি ভাটার মালিক। আগামী ৬ মাস ভাটা চালুর অনুমতি দিলে চলমান উন্নযন কাজ বাস্তবায়নের সুযোগ সহ বড় অংকের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে ইটভাটার মালিকরা।
ইটভাটায় নিয়োজিত শ্রমিক আনোয়ার হোসেন, জমির উদ্দিন, মাহফুজ, দেলোয়ার হোসেন ও কামাল উদ্দিন বলেন, প্রতি বছরের মত এবছরও আমরা ভাটা মালিক থেকে আগাম টাকা করে নিয়ে পরিবারের জন্য খরচ করেছি। এখন ভাটা বন্ধ থাকলে দেনার দায়ে পালিয়ে বেড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। তাই আমরা নিয়মনীতির মাধ্যমে ভাটা চালুর দাবী জানাই।
ইট ভাটা বন্ধের খবরের পর কয়েকটি ভাটায় মজুদ থাকা ইট দাম কয়েক হাজার টাকা বেড়ে গেছে বলে জানান প্রবিণ ঠিকাদার করিমুল মোস্তফা, ভুট্টু ও নুরুল আবচার সোহেল সহ অনেকে। তারা আরও জানান, এ জেলায় ইট ভাটা বন্ধ রাখা হলে সীমান্ত সড়কসহ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন বিভাগের চলমান রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ ও প্রক্রিয়াধীন টেন্ডারের কাজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ থমকে পড়বে। এতে পিছিয়ে পড়ে পার্বত্য এ জেলা।
এদিকে বান্দরবান জেলার ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস ও লামা উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোক্তার আহমদ এক সূরে বলেন, জেলার ইটভাটা গুলোতে স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙ্গালী মিলে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। আমরা ইটভাটার জন্য মাটি সংগ্রহ করি পুকুর থেকে। তারা আরও বলেন, সমতল জেলা থেকে পরিবহন করে ইট এনে বান্দরবান জেলায় উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব না। পাশ্ববর্তী জেলায় ইটভাটা করতে পারলে আমরা করতে পারবো কেন? আমরা আগামী ছয় মাসের জন্য ইটভাটা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টার নিকট বিনয়ের সহিত জোর দাবী জানাচ্ছি। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট