1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
উখিয়ার ইউএনও, পেশাদারিত্ব ও কর্মগুণে নাগরিক সেবায় আলো ছড়াচ্ছেন লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ’র সাফল্য, মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেন ২৫ শিক্ষার্থী বন্ধ হয়ে গেল লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির সিনেমা হল : রইল না আর এ তিন উপজেলার চিত্তবিনোদনের কোন ব্যবস্থা দুর্গম আলীকদমে দুঃসাহসিকতার বলি: ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অব্যবস্থাপনার চিত্র নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন আলীকদমে ইয়াবা সহ ৩ জন আটক কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন, পূর্ণপ্যানেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হাসিম-আনছার প্যানেল জাতীয় নাগরিক কমিটি’র বান্দরবান জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন আলীকদমে নিখোঁজ দুই পর্যটকের মধ্যে এক নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ১ লামায় পর্যটন রিসোর্ট মালিকদের প্রতি সেনাবাহিনী’র নির্দেশনা লামায় বিএনপি’র ঈদ পুর্ণমিলনী লামায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল’র মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী আলীকদমে মাতামুহুরী নদীতে ভেসে আসা লাশটি নড়াইলের জুবাইরুল ইসলাম লামা ও আলীকদমে পর্যটক সুরক্ষায় ‘টুরিস্ট সাপোর্ট অ্যাপস’ আলীকদমে অপহৃত দুলালকে উদ্ধার করেছে বিজিবি লামায় করোনায় আক্রান্ত এক শিক্ষার্থী

বান্দরবানে এক সেচ নালায় পাহাড়ের ১০০ একর জমি এখন তিন ফসলি

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ২২৬ বার পড়া হয়েছে

পাহাড়ের কথা ডেস্ক |

বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের উদালবনিয়া এলাকার বাসিন্দা কৃষক সাগ্যউ মারমা। ছয় একর ধানি জমি রয়েছে তার। সেই জমিতে কেবল বর্ষাকালেই ধান চাষ করতে পারতেন তিনি। সেচের অভাবে শীতে মৌসুমি ফসল চাষেরও কোনো সুযোগ ছিল না। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের একটি সেচনালার কারণে এখন সেই জমি তিন ফসলি।
সাগ্যউ মারমা বলছিলেন, সেচনালা প্রকল্পের কারণে এখন তো পানির অভাব নেই। গত বছর থেকে জমিতে প্রথমবারের মত বোরো ধান লাগানো হচ্ছে। এবার ছয় একর জমিতে কাটারিভোগ, শংকর ও বিনা-১২ জাতের ধান লাগানো হয়েছে জানিয়ে এই মারমা কৃষক বলেন, ‘এখন শুধু আমন ও বোরো ধান নয়। যখন যে মৌসুম শুরু হবে তখন সেই ফসলও লাগানো হবে। আশেপাশে স্থানীয় বাজারে আমাদের এখানকার উৎপাদিত শাক-সবজি বিক্রি করা হবে’। কেবল সাগ্যউ মারমা নয়; এই এলাকার ৬০ জন কৃষক এখন তাদের ১০০ একর জমি নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। পানির অভাবে থাকা এ এলাকায় সেচনালার কারণে হঠাৎ পরিবর্তনের ঢেউ লেগেছে। ২০২৩ সাল থেকে ১০০ একর এই ধানি জমি বোরো চাষের আওতায় চলে এসেছে।
উপজেলা সদর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে রাজবিলা ইউনিয়নের উদালবনিয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাজবিলা খালের পাশে বসানো হয়েছে বিদ্যুৎচালিত একটি পাম্প হাউস। সেখান থেকে সেচনালার মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় পানি। ধানের চারা রোপণ করা পর্যন্ত প্রয়োজনমত জমিতে পানি ব্যবহার থাকেন কৃষকরা।
সেচের পানি পেয়ে ১০০ একর ধানি জমিতে এখন বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বীজতলা থেকে কেউ তুলে আনছেন ধানের চারা। যার যার জমিতে সেই ধানের চারা রোপন করছেন। আবার মই দিয়ে কেউ কেউ জমি প্রস্তুত করছেন ধানের চারা রোপণ করতে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত বলেন, এলাকাবাসীর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ব্যয়ে ১ হাজার ১৬ মিটার দৈর্ঘ্য সেচনালা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে কৃষকরা তিনবার চাষাবাদের সুযোগ পাচ্ছেন।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং সেচনালা প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন। এ সময় কৃষকদের কমবাইন্ড হারভেস্টার মেশিনও দেওয়া হয়।
রাজবিলা ইউনিয়ন ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক লুলামং মারমা বলেন, ‘সেচ ব্যবস্থাপনার জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া পাম্প হাউস পরিচালনার জন্য দুজন কৃষক দায়িত্বে রয়েছেন। তারা কার কখন কী পরিমাণ পানি প্রয়োজন হবে এগুলো দেখাশুনা করে থাকেন। জমির পরিমাণ অনুযায়ী এখানে কৃষককে সেচের খরচ দিতে হয়। এক কানি বা ৪০ শতক জমির সেচের জন্য এক হাজার টাকা খরচ দিতে হয়। ফেব্রæয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সেচকাজ চলে। বর্ষাকালে তো আমনের জন্য সেচের প্রয়োজন হয় না। এ ছাড়া মৌসুমি ফসলের জন্যও সেচের ব্যবহার করা যায়’।
লুলামং মারমার নিজেরও চার একর জমি আছে এখানে। কিছু জমিতে জিঙ্কসমৃদ্ধ ব্রি ধান-৭৪, ব্রি ধান-৮৯ ও হাইব্রিড ধান লাগিয়েছেন। প্রদর্শনী প্লট হিসেবে এক বিঘা জমিতে রপ্তানিযোগ্য ধান বিনা-২৫ এবং বাকি ১ একর জমিতে কাটারিভোগ ধান লাগানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিনা-২৫ ধান হেক্টরপ্রতি সাত থেকে সাড়ে সাত টন এবং কাটারিভোগ সাড়ে ৮ টনের মত উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে’।
উদালবনিয়া এলাকায় কৃষক রুইপ্রু অং মারমা তার চার একর জমিতে জিঙ্কসমৃদ্ধ ব্রি ধান-৭৪, ব্রি ধান-১০০ ও বঙ্গবন্ধু ধানের জাত লাগিয়েছেন। বলেন, এখন পানির জন্য কোনো চিন্তা করতে হয় না। শুধু আগাছা বড় হয়ে উঠলে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। তাছাড়া সময়মত প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। এসব কাজগুলো কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী করা হয়ে থাকে।
রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য অং প্রু মারমা বলেন, পাহাড়ি এলাকায় এমনিতে সমতল ধানি জমি কম। যেটুকু জমি আছে তাও আমন ধান ছাড়া চাষাবাদের কোনো সুযোগ নেই। এখন সেচনালা প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০ একর ধানি জমি বোরো চাষের আওতায় এসেছে। এতে করে এলাকায় কৃষি উৎপাদন আরও বাড়বে।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এম এম শাহ নেওয়াজ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কৃষকদের সুবিধার জন্য সেচনালা প্রকল্পের মধ্যে আধুনিক কমবাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিনও দেওয়া হয়েছে। এগুলো কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। এ ছাড়া কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট