1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে পা উড়ে গেছে কিশোরের রোয়াংছড়িতে বিএনপি’ র সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণী কর্মসূচি উদ্বোধন লামায় তুলা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাধারণ তুলা কৃষক প্রশিক্ষণ লামার ফাইতং ইউনিয়নে কৃষক দলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন নাইক্ষ্যংছড়িসীমান্তের ঘুমধুমে ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা যুবক আটক নয়াপাড়া কৃষি কল্যাণ সমবায় সমিতির উদ্যোগে বার্ষিক পূর্ণমিলনী ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আজিজনগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’র শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নাইক্ষ্যংছড়িতে ঝরনায় নিখোঁজ ছাত্র মেহরাবের লাশ ৪ দিনে মিলল রেজুব্রীজে আলীকদম সেনাবাহিনীর অভিযানে ৯ পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার রাঙামাটি পুলিশ উদ্ধার করলেন হারানো ৩০টি মোবাইল চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম ১৮ দিনের রিমান্ডে রামুতে বন্যহাতির হামলায় প্রাণ গেল শিশুর রামুতে পাহাড় ধসে শ্রমিকের মৃত্যু লামায় শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের পুষ্টিকর খাদ্য ও শিক্ষা সরঞ্জাম পেলেন ৩২৩ শিশু শিক্ষার্থী উখিয়ার ইউএনও, পেশাদারিত্ব ও কর্মগুণে নাগরিক সেবায় আলো ছড়াচ্ছেন

বান্দরবানে কেএনএফ’র তৎপরতায় বাড়ছে আতঙ্ক

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩
  • ৩১৭ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবান প্রতিনিধি |

সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) আবারও তৎপর হয়ে উঠেছে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি এলাকায়। সেখানে বেশ কয়েকটি পাড়ার সংযোগ সড়ক কেটে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে বিস্ফোরক আইইডি। বন্ধ হয়ে গেছে রনিন পাড়াসহ কয়েকটি পাড়ায় যান চলাচল। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী টহল ও অভিযান জোরদার করেছে। এসব ঘটনায় ওই এলাকার সাধারণ লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে কেএনএফ’র সশস্ত্র সদস্যরা রোয়াংছড়ির দুর্নিবার পাড়া, কেপলং পাড়া, রনিন পাড়া সংযোগকারী রাস্তায় বড় গর্ত তৈরি করেছে। এসব গর্তের কারণে ওই পাড়াগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আশেপাশের পাড়াগুলো থেকে চলতি আমের মৌসুমে স্থানীয়রা আম সরবরাহ করতে পারছেন না। যান চলাচল বন্ধ হয়ে বিভিন্ন জাগায় দুর্ভোগের মুখে পড়েছে পাড়ার লোকজন। এছাড়া পাড়াগুলোর আশেপাশে চলাচলকারী রাস্তাগুলোতে আইইডি বসাচ্ছে সশস্ত্র সদস্যরা। এই বিস্ফোরকের কারণে এলাকায় আতঙ্ক আরো বেশি ছড়িয়েছে। এদিকে রোয়াংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, রনিন পাড়া এলাকায় রাস্তায় বড় গর্ত করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনার খবর পেয়েছি আমরা। ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পাড়ায় এখন যানবাহন চলাচল করছে না। তবে এলাকার লোকজন যারা দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে, তাদের কিছুদিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে ভিজিএফ কর্মসূচির মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এলাকার যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন সজাগ রয়েছে বলে তিনি জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান চহাই মং জানান, এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার জুম চাষীরা বিপাকে পড়েছে। তারা জুমে উৎপাদিত ফসল ফলমূল বাজারে নিয়ে আসতে পারছেন না। এ অবস্থা চলতে থাকলে এলাকায় খাদ্য সংকট বাড়বে। অপরদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কিছুদিন বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি কেএনএফ’র সশস্ত্র সদস্যরা এলাকায় আবারও তৎপর হয়ে উঠেছে। এলাকায় জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে তারা। তবে এলাকায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় অভিযান ও টহল দুটোই বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এলাকায় শান্তি স্থাপন ও কেএনএফ’র সশস্ত্র সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লাকে প্রধান করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। তবে কমিটির পক্ষ থেকে কেএনএফ’র সাথে যোগাযোগ হয়েছে কিনা এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

কেএনএফ এর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এলাকার সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন নিপীড়ন বেড়ে যাওয়া ও তাদের দাবি-দাওয়া মেনে না নেয়ায়, তারা বেশ কিছু এলাকায় তৎপরতা আবারো বাড়িয়েছে।
পাহাড়ি জনপদে নতুন আতঙ্ক : গহীন পাহাড়ে ক্যাম্প করে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিল একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠি। সামরিক কায়দায় পারদর্শী করে তুলছে ঘরছাড়া বিপদগামী তরুণদের। পাহাড়ি জনপদে নতুন এই আতঙ্কের নাম কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি- কেএনএ।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে বান্দরবানের বোম জাতিগোষ্ঠীর রাজনৈতিক সংগঠন কেএনএফ এর অঙ্গ সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএ।
জানা যায়, এর শতাধিক সদস্য তিন বছর আগে গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য যায় মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে। ২০২১ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল ফিরে আসে। ওই দলটিই গুপ্ত হামলা চালাচ্ছে সেনাবাহিনীর ওপর।
আত্মপ্রকাশের পর কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি এবং বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলার সমন্বয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি করে। জঙ্গি সংগঠনটি মূলত বম জনগোষ্ঠী নির্ভর হলেও পার্বত্য অঞ্চলের পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, ম্রো ও খুমি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব দাবি করে।
এই দলের প্রধান নাথান বম। রুমা উপজেলার এডেনপাড়ার অধিবাসী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে নাথান বম কোথায় আছেন, তা নিশ্চিত নয়। কথিত আছে, তিনি ভারতের মিজোরাম সীমান্তবর্তী এলাকায় বসে কলকাঠি নাড়ছেন।
অনুসন্ধান বলছে, সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির হাতে ৩ সেনা সদস্যসহ ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের অপহরণের ঘটনা ১১টি। মুক্তিপণ আদায় করেছে দেড় কোটি টাকার মতো। তবে নির্যাতনের প্রকৃত সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
রাঙ্গামাটি-বান্দরবান মিলিয়ে মোট ৭টি মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামাসহ আসামি সংখ্যা প্রায় ৬শ। কেএনএ সদস্য ও জঙ্গি মিলিয়ে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৪৭ জন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট