বান্দরবান প্রতিনিধি |
বান্দরবান জেলায় দিন দিন বেড়ে চলছে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি বছরে এই পর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ১৩৯ জন। এর মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ জন, যা জেলার অন্যসব উপজেলার চেয়ে বেশি। এদিকে ডেঙ্গু রোগী বাড়লেও এখনো জেলার কোথাও কোন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এর তথ্যমতে জানা যায়, বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, আলীকদম, লামা এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ৫৮জন, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১৪ জন, রুমা উপজেলায় ৩জন, থানচি উপজেলায় ১৪জন, লামা উপজেলায় ১৩জন,আলীকদম উপজেলায় ৩৫জন এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাতে ২জন রোগী সনাক্ত হয়।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাঈন উদ্দীন মোর্শেদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় একজন সহ এ পর্যন্ত ১৩ জন রোগীর শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। তবে এক পর্যন্ত কোন রোগী মারা যায়নি। দুই তিন জন সুস্থ হয়ে বাড়ীও ফিরেছেন। যারা ভর্তি আছেন তাদেরকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। আশা করি সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন। অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বান্দরবানে আরো ৬জন নতুন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে বান্দরবান সদরে ২জন, লামা উপজেলায় ১জন ও আলীকদম উপজেলায় ৩ জন রয়েছে।
তবে যারা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদেরকে পুনরায় এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ওই এলাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাই আক্রান্ত ব্যক্তিকে মশার কামড় থেকে বিরত থাকতে বেশী সতর্কতা অবলম্বন করা এবং সব সময় মশারী ব্যবহার সম্ভব না হলে, মশা বিতারক ক্রিম যেন অবশ্যই ব্যবহার করে সেদিকে লক্ষ্য রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা.মো. মাহাবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আতংকিত না হয়ে বরং সচেতন হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে।