রং বেরঙের ডিজিটাল ব্যানার। পথে পথে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ব্যানার। দুই শতাধিক বাহারি তোরণ। সবখানে সাজ সাজ রব। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি ) বিকেলে এভাবেই বরণ হতে চলেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বান্দরবান ৩০০ আসনে টানা ৭ বারের নির্বাচিত সাংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিং,এমপি। বান্দরবানের রাজার মাঠে দেয়া হবে নাগরিক সংবর্ধনা। তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
বীর বাহাদুর এমপি’র পিএস সাদেক হোসেন চৌধুরী জানান, বীর বাহাদুর সড়ক পথেই আসবেন। তবে বান্দরবান চট্টগ্রাম সড়কের দোহাজারীতে প্রথমেই স্থানীয়রা বীর বাহাদুরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকে তোরণ তৈরি করে শুভেচ্ছা জানাবেন বীর বাহাদুর, এমপিকে।
জেলা আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১, ৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পার্বত্য বান্দরবান থেকে ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৮ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বীর বাহাদুর উশৈসিং। এছাড়াও ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তির পূর্বে এ সংক্রান্ত সংলাপ কমিটির সদস্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ১৯৯৮ সালে উপমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রথমবার এবং ২০০৮ সালে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় দ্বিতীয়বার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও নবম জাতীয় সংসদের সংসদ কমিটি এবং পার্বত্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। প্যানেল স্পীকার ছিলেন, যার ফলে ২০১৩ সালের ২২ জুলাই তিনি খন্ডকালীন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষী পদ দাশ জানান, বান্দরবানের নেতা কর্মীরা কেরাণীহাট থেকেই সাতবারের নির্বাচিত সাংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিং’কে বরণ করবেন। এসময় থাকবে ৫০০ মোটর সাইকেল এবং ১০০ গাড়ি। পরে বিকেল ৩টায় বান্দরবান রাজার মাঠে বীর বাহাদুরকে দেয়া হবে গণসংবর্ধনা। প্রায় ২০ হাজার মানুষ এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, বীর বাহাদুর উশৈসিং’এমপি টানা সাতবারের নির্বাচিত সাংসদ। তিনি খুবই অভিজ্ঞ মানুষ। সারা বাংলাদেশে তার সুনাম আছে। এলাকার মানুষ তাকে অনেক ভালোবাসেন । তার সময়ে পাহাড়ি বাঙালির মধ্যে সম্প্রতী বজায় আছে। তাই ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে তাকে সর্বস্তরের মানুষ নাগরিক সংবর্ধনা দিচ্ছে।