1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
ঘুমধুম সীমান্তে ফেরে বিজিবির অভিযানে ১লাখ পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময় : তিন সন্ত্রাসী আটক : অস্ত্র ও সরঞ্জাম জব্দ নাইক্ষ্যংছড়িতে ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি লামায় বিভিন্ন অপরাধে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা নাইক্ষ্যংছড়িতে অনুষ্ঠিত হলো কাব কার্নিভাল-২০২৫ লামায় ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একজনের পা বিচ্ছিন্ন রোয়াংছড়িতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে পা উড়ে গেছে কিশোরের রোয়াংছড়িতে বিএনপি’ র সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণী কর্মসূচি উদ্বোধন লামায় তুলা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাধারণ তুলা কৃষক প্রশিক্ষণ লামার ফাইতং ইউনিয়নে কৃষক দলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন নাইক্ষ্যংছড়িসীমান্তের ঘুমধুমে ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা যুবক আটক নয়াপাড়া কৃষি কল্যাণ সমবায় সমিতির উদ্যোগে বার্ষিক পূর্ণমিলনী ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

বান্দরবানে ২য় দফায় কেএনএফ ও শান্তি কমিটির বৈঠক

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪
  • ২১৫ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়ের কথা ডেস্ক |

পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেক কেটে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বৈঠকের শুরু হয়। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার রুমা উপজেলার বেথেল পাড়ার কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠককে ঘিরে বেথেল পাড়ায় নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ বিজিবিসহ মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,এর আগে, দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক হয়। এরপর গত ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর দীর্ঘ চার মাস পর আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ১৩ জন সদস্য অংশ নেন। অপরদিকে রয়েছেন কেএনএফ’স রিপ্রেজেন্টেটিভ ফর পিস ডায়ালগের সেন্ট্রাল কমিটি ও টিম লিডার লালজংময়, সাংগঠনিক সম্পাদক লালসাংলম, সংগঠনটির প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা লালএংলিয়ানসহ আটজন সদস্য। বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্টা কমিটির এবং কেএনএফ উভয় পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলে।

এসময় কেএনএফ এর কারাবন্দী ২৩ জনকে ৩ মাসের মধ্যে মুক্তি প্রদান, বেসামরিক নাগরিকদের প্রত্যাবাসন, পূর্নবাসনে সরকারি উদ্যোগ গ্রহন, অন্ন, বস্ত্র, বাসন্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা নিশ্চিতকরন। শান্তি চুক্তি সম্পাদন না হওয়া পর্যন্ত ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া ৫ শতাধিক বম জনগোষ্ঠীর মানুষকে সরকারি ভাবে দেশে ফিরিয়ে না আনাসহ ৬ দফা দাবি আলোচনায় উপস্থাপন করা হয়।

বৈঠকে কেএনএফ এর সেন্ট্রাল কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লাল জং ময় বলেন, শান্তি কমিটির সাথে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের আলোচনা সফল ও সন্তোষজনক হয়েছে।

আরো জানা যায়, বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চেয়ারম্যান ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) এস এম মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত পলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল করিমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফ’র বিপথগামী সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে ২০২৩ সালের জুন মাসে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করা হয়। এরপর পর থেকে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে এই শান্তি কমিটি। এর ফলে পাহাড়ে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড ও আতংক কিছুটা কমে আসে।

বৈঠকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি ক্য শৈ হ্লা বলেন, কেএনএফ এর দাবী বাস্তবায়ন করে দ্রুত পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে কাজ চলছে।

কেএনএফ এর সংঘাতময় পরিস্থিতির কারনে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে জেলায় পর্যটক যাতায়তে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি ও পরে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসন। একই বছরের ১৫ নভেম্বরের পর ১৩২ টি পরিবারের ৫৪৮ জন ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নেয়। রুমা সদরে ১৪০ মারমা নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় গ্রহন করলেও তারা পরে বাসায় ফিরে যায়। ২৩ সালের ১০ মার্চ রাঙামাটির বিলাইছড়ির ৪নং বড়থলি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এর ৩টি পাড়া থেকে ৫৬ পরিবারের ২২০জন তংচঙ্গ্যা রেইছা ও রোয়াংছড়ি সদরে আশ্রয় গ্রহন করে। এই ঘটনায় ৫ সেনা সদস্য নিহত ও কেএনএফ সদস্যসহ নিহত হয় আরো ১৬ জন, অপহরণের শিকার হয় অন্তত ২৬ জন। এর ফলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্য ধস ও জনজীবনে অস্থিরতা বিরাজ করে। কেএনএফ এর সাথে জঙ্গী সংগঠনের যোগসাজস আছে দাবী করে যৌথ বাহিনী এসময় পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৬৮ জন জঙ্গী ও কেএনএফ এর বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়, এসময় বিপুল পরিমান অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট