1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন আলীকদমে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে দুই জনকে জরিমানা বান্দরবানে ২১ কিলোমিটার হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত লোহাগাড়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সাউন্ড হেলথ হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি বান্দরবানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খাদ্যশষ্য প্রদান করলেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএস মং রাঙ্গামাটিতে তরুণী ধর্ষণ মামলায় এক যুবক আটক খাগড়াছড়িতে অপহরণের ৭ দিন পর চবি’র ৫ শিক্ষার্থী মুক্ত বিদ্যুৎ চলে গেলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রোগীদের দুর্ভোগ লামায় নিবন্ধিত জেলেরা পেলেন বিনামূল্যে উন্নত জাতের ছাগল লামায় ‘কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ’ বিষয়ক রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন লামায় “ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক” প্রশিক্ষণ চকরিয়া ভূয়া নৌবাহিনী সদস্য পরচিয়ে প্রতারণায় এক দম্পতি গ্রপ্তোর

বিবর্ণ পাহাড়ে সবুজ বিপ্লব : এবার বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার পেল লামার কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

লামা প্রতিনিধি |
বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার পেল বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের বোধিছড়াস্থ ‘কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন’। এবারে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। রাজধানী ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের এগ্রো রিসোর্সের কো-অর্ডিনেটর রাবিয়া নাজরীন। বুধবার সকালে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৪ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ও বৃক্ষরোপণে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখার জন্যে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২৩ প্রদান করা হয়।
জানা যায়, সরই ইউনিয়নে রয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বিস্তৃত কোয়ান্টামম। যা এখন প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। কোয়ান্টাম পরিবারের সদস্যদের সঙ্ঘবদ্ধ দান, আন্তরিক শ্রম ও সহযোগিতায় ২৬ বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে এ জনপদ। বাংলাদেশের অন্যতম স্বাস্থ্যকর ও প্রকৃতিবান্ধব এ জনপদটি এখন প্রায় হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ৩০০ প্রজাতির পাখি ও ২০০ প্রজাতির প্রজাপতির নিরাপদ আবাসস্থল। শুধু তায় নয়, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এখানে আড়াই সহস্রাধিক বঞ্চিত শিশু-কিশোরের একটি শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, যার নাম কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ। আরো রয়েছে যোগ ও ধ্যানচর্চার জন্যে আত্মিক জাগরণ ভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সেবামূলক উদ্যোগ।
এ বিষয়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার মাসুদ পারভেজ বলেন, শুরুর চিত্রটি এমন ছিল না। ১৯৯৮ সালে অল্প কিছু ভূমি সংগ্রহ করে শুরু হয়েছিল এ জনপদ নির্মাণের কাজ। সে-সময় পুরো জায়গাটা ছিল আগাছায় পূর্ণ, আর পোড়া পাহাড়। শতবর্ষী সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল। বর্ষার শেষে আগাছা নির্মূলের জন্যে পাহাড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হতো। এত অনুর্বর আর অস্বাস্থ্যকর ছিল যে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় জায়গাটিকে বলা হতো ক্যাষ্টা (নিকৃষ্ট) জায়গা। মশা আর ম্যালেরিয়া ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। তাই শুরুর দিকে গাছ লাগানো ও চারাগুলোকে বাঁচানোই ছিল অনেক বড় এক ্যালেঞ্জ। কিন্তু হাল ছেড়ে দেবে না কোয়ান্টামের কর্মীরা। বর্ষাকালে সারাদেশ থেকে গাছের চারা সংগ্রহ করা হলো। কিন্তু কর্দমাক্ত পথে গাড়ি চলাচল সম্ভব নয়। তাই তারা মাথায় করে চারা নিয়ে যেত। চারা লাগানোর পরে বর্ষা মৌসুম শেষ। সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী মে মাস পযন্ত বৃষ্টি নেই। তখন তারা স্থানীয় টেকনিক অনুসরণ করল। প্রতিটি গাছের গোড়ায় মাটির কলসি দিয়ে দেয়া হলো। কলসিতে ছিদ্র করে কাপড়ের সলতে দিয়ে সারাদিন ধরে চারা গাছে পানি দেয়া হতো। ক্রমাগত বনায়ন ও যতœায়নের ফলে রূক্ষ, ঊষর লামার কোয়ান্টামম ধীরে ধীরে পরিণত হয়ে উঠতে লাগল শীতল আর সবুজে সুশোভিত।
পরবর্তী কয়েক বছরে প্রকৃতিকে আরো সমৃদ্ধ করতে শুরু হয় ব্যাপক সবুজায়ন কার্যক্রম। সারাদেশের স্বেচ্ছাকর্মীদের সহযোগিতায় প্রতিবছর বর্ষায় লক্ষাধিক ফলদ, বনজ, ভেষজ ও ফুলের চারা রোপণ করা হয়।
অর্গানিয়ার মাসুদপারভেজ আরও জানান, বর্তমানে কোয়ান্টামমে প্রায় এক হাজার প্রজাতির দেশি-বিদেশি, বিরল ও বিলুপ্ত প্রায় উদ্ভিদ রয়েছে। বৈলাম, কুম্ভি, কুরচি, হাড়গোজা, চালমুগরা, ধারমারা, নাগলিঙ্গম, রঙ্গন, কুসুম, মিলেশিয়া, নাইচিচি উদাল, তমাল, হিজল, পাদাউক, কেলিকদম, বান্দরহুলা, সিভিট, কামদেব, চুন্দুল, বাঁশপাতা, লোহাকাঠ, মুসকন্দ, ঢুলিচাঁপা, বরুণ, উদয় পদ্ম, হিমঝুড়ি-সহ বিভিন্ন দেশি বিরল বৃক্ষের পাশাপাশি বাওবাব, কাইজেলিয়া আফ্রিকানা, রাজঅশোক, নেপোলিয়ান হ্যাট, মাদাগাস্কার জেসমিন, সোলান্ড্রা, এজেলিয়া, মেক্সিকান ফ্লেইম ভাইন, বহুনিয়া গ্যালপিনি, ফিডেল উড-ট্রিসহ বিভিন্ন বিদেশি উদ্ভিদ প্রজাতির ফুলের গাছ রোপিত হয়েছে কোয়ান্টামমে।
সব মিলিয়ে গত ২৬ বছরের এই সুদীর্ঘ যাত্রার পুঁজি ছিল একমাত্র বিশ্বাস ‘আমরা পারি’। এই বিশ্বাসেরই রূপান্তর ঘটেছে সঠিক পরিকল্পনায়, কঠোর পরিশ্রমে ও সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় গড়ে ওঠা কোয়ান্টামমের এখনকার চিত্রে। এক সময়ের রূক্ষ বিবর্ণ পাহাড় আজ পত্র-পু®প-পল্লবে প্রস্ফুটিত এক আলোকিত জনপথে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার মাসুদ পারভেজ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট