রাঙামাটির বিলাইছড়ি থানা এলাকার ধুপশীল হতে যৌথ বাহিনী গোপন সূত্রে ভারতীয় ২০ লাখ রুপিসহ এক গরু ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ মে) সকাল ৯টায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে রাঙামাটি আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিলাইছড়ি থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৫ মে) যৌথবাহিনী গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১নং বিলাইছড়ি ৭নং ওয়ার্ড ধুপশীল সড়ক ওপর থেকে মো.বদি আলমকে(৭০) গ্রেপ্তার করে। এবং তাকে তল্লাশি করে ভারতীয় ২০ লাখ রুপি (দশ বান্ডিল) এবং বাংলাদেশি নগদ ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা এবং ব্যবহারিত একটি বাটন মোবাইল উদ্বার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যবাসয়ী চট্রগ্রাম জেলার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সাং -দক্ষিণ নিশ্চিন্তপুর ২নং হোচনাবাদ ৬নং ওয়ার্ড ইউনিয়নের মৃর্ত বাদশা মিয়ার ছেলে।
বিলাইছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন (ওসি) জানান, গ্রেপ্তার বদি নিজেকে একজন গরু ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেয়। তিনি ভারত সীমান্ত এলাকা হতে জুড়াছড়ি দমদমিয়া গবাইছড়ি ও বরকল হতে অবৈধ পথে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গরুসহ বিভিন্ন পণ্য আনা নেয়া করত। ভারতীয় মজুড়াছড়ি এবং বিলাইছড়ি থানার সীমান্ত এলাকা দিয়ে দীর্ঘ বছর যাবত ধরে অবৈধ মুদ্রা দিয়ে চোরাকারবারি করে আসছে। এছাড়া চোরাই পথে গরু এনে কাপ্তাই উপজেলা নতুনবাজার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও চট্রগ্রাম বেঁচাকিনা করত। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তা স্বীকার করেন।
বিলাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন (ওসি) জানান, সে দীর্ঘ ৩০/৪০ বছর যাবত গরুর ব্যবসা করে জানি। কিন্ত গরু ব্যবসার আড়ালে সীমান্ত এলাকা হতে কিছু উপজাতীয়দের সাথে আতাঁত করে চোড়াই পথে অবৈধভাবে ভারতীয় রুপি নিয়ে চোরা কারবারি করে তা জানা ছিল না। এবং বৃদ্ধ বলে তাকে কেউ সন্দেহ করতোনা। অবশেষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত ব্যবসায়ীকে যৌথবাহিনী গ্রেপ্তার করে। এবং যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে চোরাই সিন্ডেকেটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে। গ্রেপ্তারকৃত বদির বিরুদ্ধে বিলাইছড়ি থানায় মামলা করা হয়েছে এবং রাঙামটি আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।