মো. এমরান হোসেন, ফটিকছড়ি |
ফটিকছড়ির ১৮ চা বাগানে প্রকৃতি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। গত ২৯ মার্চ বৃষ্টিতে গাছ গাছালি ও পত্রপল্লব থেকে রুক্ষতা মুছে গেছে। চা বাগানগুলোতে গেলে প্রকৃতির এই রূপান্তর সহজেই অনুভ‚ত হয়। কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলেন, দীর্ঘ খরা পরিস্থিতির পর এই বৃষ্টি যেন আশীর্বাদ হিসেবেই নেমেছে। সাধারণত ডিসেম্বর মাসে কয়েক পশলা বৃষ্টিপাত হয়, কিন্তু এবার ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারি মাসে বৃষ্টি হয়নি। টানা খরা চলে ফেনী জেলার চেয়েও বড় এ উপজেলায় । ২০ মার্চ সামান্য বৃষ্টি হলেও তাতে চা- বাগানগুলো থেকে রুক্ষতা কাটেনি। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২৯ মার্চে বৃষ্টি হলে চা বাগানের স্বস্তি ফিরে আসে। এই বৃষ্টির ফলে পুর্নিং (আগা ছাঁটাই) করা চা-গাছে দ্রæত গজাতে শুরু করবে। এতে খুশি চা-বাগান সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বর্তমানে দেশের ১৬২টি চা বাগানের মধ্যে ২১টি রয়েছে চট্টগ্রামে। তৎমধ্য ফটিকছড়ি উপজেলাতে রয়েছে ১৮টি চা বাগান। দেশের মোট চায়ের ১০ শতাংশ উৎপাদন হয় ফটিকছড়ির চা বাগান থেকে। প্রকৃতির অপররূপ সৌন্দর্য্যে ভরপুর ৩০৮ বর্গমাইলের ফটিকছড়ি উপজেলার পাহাড়ি এলাকা জুড়ে গড়ে উঠে এসব চা বাগান। ফটিকছড়ির চা বাগানগুলো হচ্ছে- কর্ণফুলি চা বাগান, কৈয়াছড়া চা বাগান, উদালিয়া চা বাগান, বারমাসিয়া চা বাগান, এলাহীনুর চা বাগান, রাঙাপানি চা বাগান, আছিয়া চা বাগান, নাছেহা চা বাগান, আধার মানিক চা বাগান, দাঁতমারা চা বাগান, নিউ দাঁতমারা চা বাগান, হালদা ভ্যালী চা বাগান, পঞ্চবটি চা বাগান, মা জান চা বাগান, মোহাম্মদ নগর চা বাগান, নেপচুন চা বাগান, রামগড় চা বাগান ও চৌধুরী টি স্টেট। চট্টগ্রাম চা সংসদ এসোসিয়েশনের সদস্য, রাঙাপানি চা বাগানের ম্যানাজার উৎপল বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টির কারণে চা বাগানে সুবজ প্রাণ ফিরে পেয়েছে । বাগানে এই বৃষ্টিতে বিশেষভাবে উপকৃত হয়। চট্টগ্রামে চা এর প্রথমে নিলাম ১৭ এপ্রিল হতে যাচ্ছে আর দ্বিতীয় নিলাম ২ মে হবার কথা রয়েছে বলে তিনি জানান।