1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ১২:৪২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
আলীকদম সেনাবাহিনীর অভিযানে ৯ পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার রাঙামাটি পুলিশ উদ্ধার করলেন হারানো ৩০টি মোবাইল চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম ১৮ দিনের রিমান্ডে রামুতে বন্যহাতির হামলায় প্রাণ গেল শিশুর রামুতে পাহাড় ধসে শ্রমিকের মৃত্যু লামায় শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের পুষ্টিকর খাদ্য ও শিক্ষা সরঞ্জাম পেলেন ৩২৩ শিশু শিক্ষার্থী উখিয়ার ইউএনও, পেশাদারিত্ব ও কর্মগুণে নাগরিক সেবায় আলো ছড়াচ্ছেন লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ’র সাফল্য, মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেন ২৫ শিক্ষার্থী বন্ধ হয়ে গেল লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির সিনেমা হল : রইল না আর এ তিন উপজেলার চিত্তবিনোদনের কোন ব্যবস্থা দুর্গম আলীকদমে দুঃসাহসিকতার বলি: ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অব্যবস্থাপনার চিত্র নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন আলীকদমে ইয়াবা সহ ৩ জন আটক কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন, পূর্ণপ্যানেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হাসিম-আনছার প্যানেল জাতীয় নাগরিক কমিটি’র বান্দরবান জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন আলীকদমে নিখোঁজ দুই পর্যটকের মধ্যে এক নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ১ লামায় পর্যটন রিসোর্ট মালিকদের প্রতি সেনাবাহিনী’র নির্দেশনা

বৃষ্টির পর আসছে ঝড়, এরপর দাবদাহ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়ের কথা ডেস্ক |

দেশে কিছুদিন ধরেই আবহাওয়ার ‘বিচিত্র আচরণ’ লক্ষ করা যাচ্ছে। মার্চ মাসের শেষ দিকে সাধারণত গরম পড়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি প্রায় সারা দেশেই ঝড়বৃষ্টির খবর মিলছে। ফলে তাপমাত্রাও অনেকটা নেমে এসেছে। খবর বিবিসি বাংলার। বাংলাদেশে মার্চ, এপ্রিল ও মে এই তিন মাসকে বর্ষাপূর্ব মৌসুম হিসেবে ধরে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই তিন মাস সাধারণত স্থানীয়ভাবে বজ্রমেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টি নামায়। কখনো কখনো দেশের বাইরে আশপাশ থেকেও বজ্রমেঘ তৈরি হয়ে এসে বাংলাদেশের আকাশে পরিপক্বতা লাভ করে। এরপর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। কিন্তু আবহাওয়া অফিস বলছে, এবারে মার্চ মাসে বেশ ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রমেঘ তৈরি হয়েছে। যেটার ধরন অন্যবারের চেয়ে আলাদা।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘আমরা যদি ১৯৪৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেখি, দেখা যায় যে বজ্রমেঘ সাধারণত গড়ে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত ওপরে উঠতে পারে, যা কখনো কখনো ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যায়। কিন্তু এবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে বজ্রমেঘ তৈরি হয়েছে তার কনভিকশনটা অনেক ওপরে যায়নি। ফলে বৃষ্টিপাতটা মৌসুমি বৃষ্টিপাতের মতো হয়েছে টানা কয়েক দিন ধরে।’

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, তাপমাত্রা অনেক নেমে এসেছে এখন। একই সঙ্গে যোগ হয়েছে কালবৈশাখী। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে মেঘের ঘনঘটা বৃদ্ধি পাবে। এ দুই দিন মাঝারি ঝড়ের কথা বলছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে বাতাসের গতিবেগও থাকবে বেশি। আগামী দুই দিন ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কাও রয়েছে। তবে এই সময়টায় ব্যতিক্রম হচ্ছে গড় তাপমাত্রা। সাধারণত মার্চ মাসের শেষ দিকে তাপমাত্রা গড়ে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখা যায়, যা সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি পর্যন্ত ওঠে। কিন্তু সেই তাপমাত্রা এখন কমে গেছে।

গত শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট জানায়, ৩১ মার্চ রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি আর সর্বনিম্ন ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সঙ্গে বজ্রঝড়সহ বৃষ্টি হতে পারে বেশ কিছু জেলায়।

আবহাওয়াবিদরা মনে করেন, মার্চ মাসে এ রকম টানা পাঁচ দিন বিচ্ছিন্নভাবে সারা দেশে বৃষ্টিপাত খানিকটা অস্বাভাবিক। আগে সাধারণত মেঘ উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে এসে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্বে চলে যেত। কিন্তু এবার বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি লঘুচাপের কারণে বাংলাদেশে জলীয় বাষ্পের জোগান বৃদ্ধি পাওয়ায় মৌসুমি বৃষ্টির বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির একটা প্রভাবে এটা ঘটতে পারে। তবে বর্তমান আবহাওয়া সিমুলেশনের মাধ্যমে আরেকটু বিশ্লেষণ করে কারণ জানার চেষ্টা করবে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বাংলাদেশে এপ্রিল মাসকে কালবৈশাখীর সময় বলে মনে করা হয়। ১৯৮১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবহাওয়া অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এপ্রিল মাসে ১২ থেকে ১৩ দিন দেশজুড়ে কালবৈশাখী আঘাত হানে। একই সঙ্গে তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায়। আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এপ্রিল মাসে যেহেতু প্রকৃতি একটু বিরূপ থাকে, উত্তপ্ত থাকে, তাই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কখনো যা তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্য এ সময় বাড়তি সতর্কতা দরকার।

কালবৈশাখী সাধারণত আধা ঘণ্টা থেকে ২ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। এ সময় তাই বজ্রমেঘ বা পাহাড়ের মতো মেঘ দেখলে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। আর যারা প্রান্তিক কৃষক, খোলা মাঠে কাজ করেন তাদের আবহাওয়ার সতর্কসংকেত অনুসরণ করতে হবে। তাহলে বজ্রপাত এড়ানো সম্ভব। তবে বাংলাদেশে ঝড়প্রবণ এলাকায় বেশি বেশি বজ্রনিরোধক ‘লাইটনিং অ্যারেস্টার’ বসানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন আবহাওয়াবিদরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট