1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
এন.ওয়াই.এম ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের পারিবারিক গাভী পালন প্রশিক্ষণ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে কেন রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি বান্দরবান ৩০০নং আসনে জাবেদ রেজাকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে লামায় বর্ণাঢ্য পদযাত্রা ফের সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত দু’জন প্রতিবন্ধীর পাশে দাঁড়ালেন সাতকানিয়া–লোহাগাড়ায় মানবিক ফাউন্ডেশন লামায় এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা সামগ্রী সেলাই মেশিন প্রদান আলীকদমে মাতামুহুরি নদী থেকে লাশ উদ্ধার  লামায় এনসিপি’র উদ্যোগে আন্ত উপজেলা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’র উদ্ভোধন বান্দরবান ৩০০ নং আসনের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আলীকদমে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা লামায় কোমর পানি পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের যেতে হয় বিদ্যালয়ে, ব্রীজের দাবী এলাকাবাসীর লামার মিরিন্জা ভ্যালীতে আগুনে পুড়ে গেল জুৃম ঘর লামায় স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংষ্কার করলেন টমটম মালিক ও চালকরা সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত, নিহত ৪ বিএনপি যেসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করতে পারে লামায় সড়কে গাড়ি উল্টে চালক নিহত

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: সামনে-পেছনে শুধু মৃতদেহ, ভেসে আসছে কান্নার শব্দ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩
  • ৩২০ বার পড়া হয়েছে

ওড়িশায় বালেশ্বরের কাছে বাহানগাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে চেন্নাই থেকে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া  সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। ছবি: ডয়চে ভেলে  তিনটি ট্রেনের প্রায় সব কামরা পড়ে আছে মাটিতে। কোনো কামরা পুরোপুরি উল্টে গেছে। চাকা ওপরে উঠে গেছে। আশপাশে, সামনে-পেছনে শুধু মৃতদেহ। চারপাশ থেকে ভেসে আসছে কান্নার শব্দ। ছবি তুলছি। আর সেই সঙ্গে ভয়ংকর মন খারাপ গ্রাস করছে আমাকে। অতি কষ্টে চোখের জল চেপে ধরে ছবি তুলে যাচ্ছি। এভাবে ঘটনা বর্ণনা করেছিলেন ডয়েচে ভেলের বিশেষ প্রতিবেদন ওড়িশার সত্যজিৎ সাউ।

ওড়িশায় বালেশ্বরের কাছে বাহানগাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে চেন্নাই থেকে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া  সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। দুর্ঘটনার পর এখানে পৌঁছে দেখছি ভয়ংকর ছবি।

এমন দৃশ্য যা দেখে মাঝেমধ্যেই আঁতকে উঠছি। আতঙ্কিত হচ্ছি। চোখের সামনে যা দেখছি, তাতে একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, কী করে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে! একটা কামরার ওপরে উঠে গেছে একটা ইঞ্জিন। অধিকাংশ কামরা আর দাঁড়িয়ে নেই। প্রায় সব পড়ে গেছে মাটিতে। কোনোটা গিয়ে পড়েছে রেললাইনের পাশের নয়ানজুলিতে।

কিছু সময় আগেও যারা বেঁচে ছিল, তারা এখন লাশ মাত্র। রেল মন্ত্রণালয় তাদের সংখ্যা জানাচ্ছে। একটু পর পরই সেই সংখ্যা বাড়ছে। শুরুতে ছিল ৩৩, এখন ২৩৮। কোথায় গিয়ে সেই সংখ্যা থামবে তা বুঝতে পারছি না। অ্যাম্বুলেন্সের তীক্ষ্ণ হুটারের শব্দ মাঝেমধ্যেই কানে আসছে। প্রার্থনা করছি, যাদের নিয়ে যাওয়া হলো হাসপাতালে, তারা যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।

চোখের সামনে এই মৃত্যুর মিছিল সহ্য করতে পারছি না। যতই পেশাদার চিত্রসাংবাদিক হই না কেন, নিজের কাজের দিকে যতই মন দেওয়ার চেষ্টা করি না কেন, সামনের এই দৃশ্যের একটা অভিঘাত তো থাকবেই।

কিছু জায়গায় লাইন বলে কিছু নেই। লোহার লাইন ভেঙে গেছে। কংক্রিটের স্লিপার ভেঙেচুরে গেছে। কামরা থেকে বের করা হচ্ছে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ। সেই দেহ তোলা হচ্ছে ম্যাটাডোরে। স্বজনদের খুঁজছে মানুষ। তাদের আশা একটাই, যদি এখনো কামরার ভেতরে বেঁচে থাকে তারা। জানি না, তাদের আশা পূরণ হবে কি না, তবে তারাও শিউরে উঠছে, যখন মৃতদেহ বের করা হচ্ছে।

স্থানীয় মানুষ বলছে, মালগাড়ি গিয়ে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। সেই ট্রেন লাইচ্যুত হয়। উল্টোদিক থেকে আসছিল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। উল্টে যাওয়া কামরায় ধাক্কা লেগে সেই ট্রেনের অধিকাংশ কামরা উল্টে যায়। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা রেল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা যাবে। সেটা ভবিষ্যতের কথা। বর্তমান হলো, মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। সূত্র- আজকের পত্রিকা

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট