1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১২:৫২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
লামার সরই ইউনিয়নে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আয়োজন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আলীকদমে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ গজালিয়ায় কৃষকদলের বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি লামায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো ‘কাব কার্নিভাল ২০২৫’ নাইক্ষ্যংছড়িতে যুবককে হত্যা ঘুমধুম সীমান্তে ২০ হাজার ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা আটক নাইক্ষ্যংছড়িতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কলেজ নেতা গ্রেফতার তিন পার্বত্য জেলায় বিষবৃক্ষ তামাক ছেড়ে ইক্ষু চাষে ফিরেছেন ১ হাজার ৪২৭ চাষি, উৎপাদন করেন ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮০০ টন আখ ও ৯২.৮ মেট্রিক টন গুড় লামায় রিসোর্ট ম্যানেজার অপহরণ, আটক ৩ বান্দরবানে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সভাপতি আলমগীর, সম্পাদক রুমু বান্দরবানে জীবনরক্ষার সামগ্রী ছাড়াই বিপজ্জনক ভ্রমনে পর্যটকরা, প্রাণ যাচ্ছে একের পর এক ঘুমধুম সীমান্তে ফেরে বিজিবির অভিযানে ১লাখ পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময় : তিন সন্ত্রাসী আটক : অস্ত্র ও সরঞ্জাম জব্দ নাইক্ষ্যংছড়িতে ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: সামনে-পেছনে শুধু মৃতদেহ, ভেসে আসছে কান্নার শব্দ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩
  • ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

ওড়িশায় বালেশ্বরের কাছে বাহানগাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে চেন্নাই থেকে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া  সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। ছবি: ডয়চে ভেলে  তিনটি ট্রেনের প্রায় সব কামরা পড়ে আছে মাটিতে। কোনো কামরা পুরোপুরি উল্টে গেছে। চাকা ওপরে উঠে গেছে। আশপাশে, সামনে-পেছনে শুধু মৃতদেহ। চারপাশ থেকে ভেসে আসছে কান্নার শব্দ। ছবি তুলছি। আর সেই সঙ্গে ভয়ংকর মন খারাপ গ্রাস করছে আমাকে। অতি কষ্টে চোখের জল চেপে ধরে ছবি তুলে যাচ্ছি। এভাবে ঘটনা বর্ণনা করেছিলেন ডয়েচে ভেলের বিশেষ প্রতিবেদন ওড়িশার সত্যজিৎ সাউ।

ওড়িশায় বালেশ্বরের কাছে বাহানগাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে চেন্নাই থেকে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া  সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। দুর্ঘটনার পর এখানে পৌঁছে দেখছি ভয়ংকর ছবি।

এমন দৃশ্য যা দেখে মাঝেমধ্যেই আঁতকে উঠছি। আতঙ্কিত হচ্ছি। চোখের সামনে যা দেখছি, তাতে একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, কী করে এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে! একটা কামরার ওপরে উঠে গেছে একটা ইঞ্জিন। অধিকাংশ কামরা আর দাঁড়িয়ে নেই। প্রায় সব পড়ে গেছে মাটিতে। কোনোটা গিয়ে পড়েছে রেললাইনের পাশের নয়ানজুলিতে।

কিছু সময় আগেও যারা বেঁচে ছিল, তারা এখন লাশ মাত্র। রেল মন্ত্রণালয় তাদের সংখ্যা জানাচ্ছে। একটু পর পরই সেই সংখ্যা বাড়ছে। শুরুতে ছিল ৩৩, এখন ২৩৮। কোথায় গিয়ে সেই সংখ্যা থামবে তা বুঝতে পারছি না। অ্যাম্বুলেন্সের তীক্ষ্ণ হুটারের শব্দ মাঝেমধ্যেই কানে আসছে। প্রার্থনা করছি, যাদের নিয়ে যাওয়া হলো হাসপাতালে, তারা যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।

চোখের সামনে এই মৃত্যুর মিছিল সহ্য করতে পারছি না। যতই পেশাদার চিত্রসাংবাদিক হই না কেন, নিজের কাজের দিকে যতই মন দেওয়ার চেষ্টা করি না কেন, সামনের এই দৃশ্যের একটা অভিঘাত তো থাকবেই।

কিছু জায়গায় লাইন বলে কিছু নেই। লোহার লাইন ভেঙে গেছে। কংক্রিটের স্লিপার ভেঙেচুরে গেছে। কামরা থেকে বের করা হচ্ছে রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ। সেই দেহ তোলা হচ্ছে ম্যাটাডোরে। স্বজনদের খুঁজছে মানুষ। তাদের আশা একটাই, যদি এখনো কামরার ভেতরে বেঁচে থাকে তারা। জানি না, তাদের আশা পূরণ হবে কি না, তবে তারাও শিউরে উঠছে, যখন মৃতদেহ বের করা হচ্ছে।

স্থানীয় মানুষ বলছে, মালগাড়ি গিয়ে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। সেই ট্রেন লাইচ্যুত হয়। উল্টোদিক থেকে আসছিল সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। উল্টে যাওয়া কামরায় ধাক্কা লেগে সেই ট্রেনের অধিকাংশ কামরা উল্টে যায়। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা রেল কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা যাবে। সেটা ভবিষ্যতের কথা। বর্তমান হলো, মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। সূত্র- আজকের পত্রিকা

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট