চলছে রমজান মাস এ কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে দেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে। রমজান শুরু থেকে জনশূন্য হয়ে আছে সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের পার্শ্ববর্তী পর্যটন স্পটগুলোতে হাজারের অধিক পর্যটকের দেখা মিলছে না ।
জানা গেছে, রমজানের শুরু থেকে কক্সবাজারে পর্যটক শূন্য। তাই পর্যটন জোন এলাকায় কলাতলী হোটেল-মোটেল ও কটেজগুলোর বুকিংও শূন্য। একই সাথে পর্যটন জোনের সব ধরনের খাবার হোটেলেও ক্রেতা না থাকায় বেশির ভাগ হোটেল ও রেস্তোরা বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে ঈদকে সামনে রেখে মেরামত ও নতুন করে সাজ সজ্জার কাজ শুরু করেছে অধিকাংশ হোটেল মোটেল -কটেজ ও রেস্টুরেন্টগুলো। একই সাথে ছাঁটাই করা হয়েছে অনেক কর্মচারিদেরও। এদিকে রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে সৈকতের কলাতলী মোড়ে দেখা যায়, পুরো কিলোমিটার জুড়ে পর্যটক শূন্য বীচ। বেলা চারটার দিকে ও সুগন্ধা বীচের চিত্র ও ছিল একই রকম।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী ওয়ার্ড বীচের ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী তৌহিদুর ইসলাম বলেন, রোজা শুরু হাওয়ার পর থেকে কক্সবাজার একদম পর্যটক নেই। গত তিন দিনে একটি কক্ষও ভাড়া দিতে পারে নি। তবে সময়ে রুম গুলোর মেরামতের সিন্ধান্ত নিয়েছি।কারণ ঈদের দিন থেকে পর্যটক আসতে শুরু করবে। একই কথা জানিয়েছেন হান্ডি রেস্তোরার মালিক নুরুল আলম সিকদার। তিনি জানান, এই মূহুর্তে কক্সবাজারে একদম পর্যটক নেই। অন্যান্য বছর কিছুটা পর্যটক থাকলেও এবারে একদম নেই।ঈদ মৌসুমকে সামনে রেখে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
পর্যটক না থাকায় এ সময়কে মেরামত,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সাজ-সজ্জার সময় হিসেবে নিয়েছেন মালিকরা। আগামী মৌসুমের উপযোগী করতে এখন অধিকাংশ হোটেল-মোটেল-কটেজ ও রেস্টুরেন্টে মেরামত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সাজ-সজ্জার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
হোটেল আইল্যান্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল কবির পাশা বলেন, পুরো রমজান মাস পর্যটক আসবে না। ফলে বুকিং শূন্য থাকবে সব কক্ষ। এখন হোটেলকে নতুন রূপে তৈরির উপযুক্ত সময়। তাই হোটেলের কক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ফ্রন্ট ডেস্ক থেকে শুরু করে বাহ্যিক স্থানগুলোকেও নতুন করে সাজানো হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, স্বাভাবিক ভাবে রমজান মাসে পর্যটক তেমন থাকে না। এবার কিন্তু পর্যটক শূন্যতা বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে সব ধরনের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে বুকিং শূন্য রয়েছে।
শুধু হোটেল-রেস্টুরেন্ট নয়, রমজানের কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোও বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে সৈকত এলাকার ঝিনুক, আচার, মাছ ফ্রাই এবং কাপড়ের দোকানগুলো প্রায় বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, প্রকাশক : প্রদীপ কান্তি দাশ, সম্পাদক : মো. নুরুল করিম আরমান, আইন বিষয়ক উপদেষ্ঠা : এ্যডভোকেট ফয়সাল আজিজ।
সম্পাদকীয় কার্ষালয় : প্রেসক্লাব ভবন (দ্বিতীয় তলা), প্রধান সড়ক, লামা পৌরসভা, বান্দরবান
ই-মেইল paharerkatha@gmail.com, মোবাইল: ০১৭৫০৪৪৪৯৯৬/০১৮১৪৮৪৫০৭৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত