রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি |
রাঙামাটির রাজবন বিহারের সেতুর ওপর দিয়ে একবারে ২০ জনের বেশি মানুষ না চলাচলের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এটি অমান্য করে অনেক সময়ই বেশি মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন সেতুটি। বিশেষ করে বন বিহারে প্রতি শুক্রবারের ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন বড় অনুষ্ঠানে চাপ বাড়ে সেতুটিতে।
রাজবন বিহার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা বলছেন, গত বছর প্রথম সেতুটি দিয়ে চলাচলকারীরা অস্বাভাবিকভাবে দুলুনি টের পান। বিষয়টি নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর সেতুর ওপর ২০ জনের বেশি মানুষ চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এলজিইডি। কিন্তু বিকল্প পথ ঘুরে আসার বিড়ম্বনা থেকে বাঁচতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেক সময়ই একসঙ্গে অনেক পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থী পারাপার করছেন সেতু দিয়ে। পুণ্যার্থী সুনির্মল চাকমা (৪৫) বলেন, সেতুর মাঝখানে আসলে দুলছে তা অনুভব হয়। মানুষ বেশি হলে তা বাড়ে। তখন ভয় হয়।
সর্মিস্তা তঞ্চঙ্গ্যা (৪০) বলেন, সামনে কঠিন চীবর দান। এখানে হাজার হাজার মানুষ হবে। তখন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সাইফুল ইসলাম (৩০) বলেন, পুণ্যার্থী ছাড়াও পর্যটক রাজবন বিহারে যান। সেতুর এক পাশ বন্ধ করে দেওয়ায় গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। যেখানে গাড়ি পথে এক মিনিটের দূরত্ব সেখানে ১৫ মিনিট সময় লাগছে। এটি পুনর্নির্মাণ করা দরকার।
এদিকে দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুতে ছোট বড় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রাজবন বিহার কর্তৃপক্ষ।
বিহার পরিচালনা কমিটির সদস্য স্নেহাশীষ চাকমা বলেন, সেতুর বিষয়টি এলজিইডি ও জেলা পরিষদকে জানানো হয়েছে। এলজিইডি থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানানো হয়েছে সেতুর ওপর ২০ জনের অধিক পারাপার না হওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী সেতুর পাশে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। কিন্তু মানুষ সেটি মানছে না।
এলজিইডির রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী আহামদ শফি বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে দেখেছি সেতুর কোথাও ফাটল নেই। সেতুটি আজকাল ভেঙে পড়বে সেটা না। তবে অতিরিক্ত চাপ যেন না পড়ে সে জন্য লোকজনের চলাচলের চাপ কমাতে হবে। সে হিসেবে আমরা সতর্কতা দিয়েছি। চীবর দানে বেশি মানুষ হবে। তাই সতর্ক থাকবে হবে। নতুন সেতু করতে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখেছি। অনুমোদন হলে কাজ করব।
উল্লেখ্য, রাঙামাটির রাজবন বিহারের যাওয়ার জন্য ২০০২ সালে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে বড়ুয়া পাড়ায় ৮২ মিটার দৈর্ঘ্যর একটি গার্ডার সেতু নির্মাণ করে এলজিইডি।