এম. কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি |
রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কটির কুতুকছড়ি বাজার বাইপাস সড়কের বেহাল দশা। এই যান চলাচলের সড়ক যেন মরণ ফাঁদ।
মূল সড়কের পুরাতন বেইলি ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে। তাই বিকল্প রাস্তা হিসেবে খালের উপর একটি অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ বসিয়ে কোন রকম দায়সারা একটি সড়ক তৈরি করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
স্থানীয় জীবন চাকমা বলেন, কষ্ট করে যানবাহন চলাফেরা করতে হয় এই সড়ক দিয়ে। এক কথায় মরণ কাঁধে নিয়ে পাড় হতে হয় এই কুতুকছড়ি বাজার সংলগ্ন বাইপাস সড়কটি। এটা আসলে কি সড়ক নাকি পুকুর? সড়কটিতে অসংখ্য গর্ত, খানা খন্দও কাদাভরা জমিতে পরিণত হয়েছে। যোগাযোগের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কটি। যেন দেখভাল করার কেই নেই। সড়ক ও জনপথ বিভাগ যেন চোখে কালো চশমা পড়েছে। রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিকল্প সড়কটি শক্ত এবং মজবুত করে নির্মাণ করা হলে আজ এ দশা হত না। প্রতিদিন এই সড়কটি দিয়ে শত শত যানবাহন চলাফেরা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। পুরাতন সড়কের উপর দিয়ে যে নতুন ব্রিজটি হচ্ছে তা কবে নাগাদ শেষ হবে তার কোন হদিস নাই। কাজ শুরু করেছে বর্ষাকালে। বৃষ্টি বাদল দিয়ে ঠিক মত ব্রিজের কাজ করতে পারছে না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তবে এটি সম্পূর্ণ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অবহেলা বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের বাসযাত্রী হোসেন আলী বলেন, বাসটি যখন বাইপাস সড়কে উঠে তখন মনে মনে আল্লাহকে স্মরণ করি। মনে হয় যে কোন সময় বাসটি উল্টে যেতে পারে। আমরা যাত্রীরা কাঁধে মৃত্যু নিয়ে এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করছি। বৃষ্টি পানি জমে গিয়ে সড়কের মধ্যে পুকুরের মত সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তাই দ্রুত সড়কটি মেরামত করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে অনুরোধ করছি। যেহেতু এটি একটি পর্যটক ভ্রমণকারী সড়ক তাই সড়কটি অবহেলার নজরে না দেখাই ভাল।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, বর্ষাকাল যার কারণে বাইপাস সড়কে পানি জমে রাস্তাটি সামান্য নষ্ট হয়েছে। খুব শিগগিরই রাস্তাটি মেরামত করা হবে। আর নতুন ব্রিজের কাজ চলমান। আশা করি ২০২৪ সালের প্রথম দিকে ব্রিজের কাজ শেষ হবে।