1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
সাতকানিয়া-লোহাগাড়া মানবিক ফাউন্ডেশনের ফ্রি চিকিৎসা সেবা আলীকদমে অনুষ্ঠিত হলো ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স আল্ট্রা ম্যারাথন’ লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক বছরে ৪৫৭ নরমাল ডেলিভারি লামায় ইটভাটায় প্রশাসনের অভিযান, ৪ ইটভাটাকে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা নাইক্ষ্যংছড়িতে বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়নে ‘বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ’র কমিটি ঘোষণা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট শান্তিচুক্তির ২৮ বছর, যা বলছে জেএসএস আজ থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে! তিন পার্বত্য জেলার স্কুলে বসছে স্টারলিংক সংযোগ কক্সবাজারের গ্রামে গ্রামে ভোটারসহ সাধারণ মানুষের ভালবাসায় সিক্ত সালাহ উদ্দিন আহমদ লামায় এইডস প্রতিরোধে জনসচেতনতা মূলক প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন আলীকদমে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৮ বছর পূর্তি উদযাপন থানচির দুর্গম পাহাড়ের বুলুপাড়ায় ৫৭ বিজিবি’র অর্থায়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়

রামুর টিলাপাড়া-সওদাগর পাড়া সড়ক বৃষ্টি হলেই যেন পুকুর

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩০৩ বার পড়া হয়েছে

সোয়েব সাঈদ, রামু |

কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা টিলাপাড়া-সওদাগর পাড়া সড়কের কাপেটিং কাজে ঠিকাদারের চরম অবহেলায় যাতায়াতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ১০ হাজার জনসাধারণ। এক কিলোমিটার সড়ক খনন করার পর সংস্কার কাজ এক মাস ধরে বন্ধ থাকায় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। এ কারণে ওই সড়কে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে খনন করা সড়কে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। ফলে আশপাশের গ্রামের হাজার হাজার মানুষ, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাগামী ছাত্রছাত্রীরাও চলাচলে দুর্ভোগের সম্মুখিন হচ্ছেন।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম জানিয়েছেন- সড়কটির সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। সড়কজুড়ে এখন গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে যায়। গাড়িও চলছেনা। মানুষের দুর্ভোগ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, একবছর আগে সড়কটির সংস্কার কাজের দায়িত্ব পান উখিয়া উপজেলার বাসিন্দা ঠিকাদার শাহজাহান। এরপর পুরো শুষ্ক মৌসুম চলে গেলেও তিনি কাজ শুরু করেননি। এমনকি ওই ঠিকাদারকে কাজের তাগাদা দেয়ার জন্য খুঁজেও পাওয়া যায়নি। পরে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর এ কাজের টেন্ডার বাতিল করে ঠিকাদারকে চিঠি দেন। পরে ওই ঠিকাদার জেলা এলজিইডি অফিসে তদবির করে চলতি বর্ষা মৌসুমে কাজ শুরু করেন। কাজ শুরুর সময় ঠিকাদার তাকে (চেয়ারম্যান) যেতে বললেও তিনি ভরা বর্ষা মৌসুম হওয়ায় যাননি।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ও সরওয়ার আলম জানান, কয়েকমাস আগে কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা টিলাপাড়া হয়ে সওদাগর পাড়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং কাজ শুরু হয়। সংস্কার কাজের শুরুতে পুরনো ইট ও মাটি তুলে সড়কটি খনন করা হয়। কয়েকটি স্থানে সড়কের পাশেই রাখা হয় নির্মাণ সামগ্রীর স্তুপ। কিন্তু কাজ শুরু হওয়ার মাসখানেক পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রহস্যজনক কারণে কাজ বন্ধ করলে শুরু হয় জনদুর্ভোগ। সড়কটিতে বন্ধ হয়ে যায় সকল প্রকার যান চলাচল।
উখিয়ারঘোনা সাইমুম সরওয়ার কমল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সম্প্রতি উখিয়ারঘোনা সড়কের এই এক কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কয়েকমাস পূর্বে কাজ শুরু করেন। কিছুদিন কাজ করার পর মাস-দেড়েক আগে হঠাৎ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন এ সড়কে গাড়ি চলাচল করতে পারছেনা। লোকজনও চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বিদ্যালয়ে আসা শত শত ছাত্রছাত্রী যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তাই সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রæত সময়ে সম্পন্ন করা এখন এলাকাবাসীর গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। এ জন্য তিনি সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
উখিয়ারঘোনা সাইমুম সরওয়ার কমল উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এক মাসেরও বেশি সময় সড়কটির কাজ বন্ধ রয়েছে। গাড়িও চলছেনা। তাই দূরের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী শতাধিক অটোরিক্সা, ইজিবাইক (টমটম) চালক। এ কারণে সংসারের জীবিকা নির্বাহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বলেও জানান একাধিক অটোরিক্সা ও টমটম চালক।
রামু উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মঞ্জুর হাসান ভূঁইয়া জানিয়েছেন- শুরুতে কয়েকজন ইটভাটা মালিক কাজে বাঁধা দেন। এ কারণে যথাসময়ে কাজ হয়নি। প্রথমেই সড়কে ইটের খোয়া ফেলে দিতে পারলে গাড়ি চলাচল সম্ভব হতো। এখন বালি আর বৃষ্টি পানি একাকার হয়ে সড়ক কাদাময় হয়ে গেছে। কাজের মেয়াদ বেশি না থাকায় ঠিকাদারকে বর্ষার মধ্যেই কাজ শেষ করার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছিলো। এরপরও তিনি সহসা সরেজমিন পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য অভিযুক্ত ঠিকাদার মো. শাহজাহানের মোবাইল ফোনে একাধিক কল করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট