কক্সবাজার রামু উপজেলার বাঁকখালী নদী থেকে শান্তি বালা বড়ুয়া (৭২) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে রামুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। ২০ সেপ্টেম্বর, বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বাঁকখালী নদীর শিকল ঘাট ব্রিজের নিচে পানিতে ভাসমান অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। রামু উপজেলার পূর্ব রাজারকুল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার স্বপন বড়ুয়া জানায়, অত্র ওয়ার্ডের পূর্ব রাজারকুল বড়ুয়া পাড়ার টিপু বড়ুয়ার মা এবং মৃত সীমেন্দ্র বড়ুয়ার স্ত্রী শান্তি বালা (৭২)।
মৃত শান্তি বালা বড়ুয়ার ছেলে টিপু বড়ুয়া (৪৯) জানান, গত ১৭সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে প্রাকৃতিক কাজ সারতে প্রতিদিনের মত ঘরের বাহিরে যায়, কিন্তু স্বাভাবিক সময়ের মধ্যে ফিরে না আসায় বাড়ির সদস্যরা সন্দেহজনক স্থানে খোঁজাখুজি করে না পাওয়ায় সন্দেহ করেপাশে থাকা বাঁকখালী নদীতে পড়েছে।
এসময় স্বজনদের চেঁচামেচিতে এলাকাবাসীরা জড়ো হয়। পরে প্রশাসন এবং কক্সবাজার সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর দুটি ইউনিট ও ডুবুরি সহ বাঁকখালী নদীর আনাচ-কানাচে খোঁজ করতে থাকে।
অবশেষে ৩ দিন পরে ২০ সেপ্টেম্বর, বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে রামুর শিকল ঘাট ব্রিজের পানি নীচ হতে শান্তি বালা বড়ুয়ার লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হন রামুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যরা।
রামু ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহকারী কর্মকর্তা সুসেন বড়ুয়া জানান, নদী হতে স্থানীয় বালু খেকোরা যত্রতত্র বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তলে দেশে ছোটবড় গভীর অগভীর খাদ গর্ত হওয়ায় শান্তি বালার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়েছে। তবে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টার ফলে নিহতের বাড়ির আনুমানিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে শিকল ঘাট ব্রিজের নিচে আবর্জনায় আটকে থাকা অবস্থা হতে শান্তি বালাকে উদ্ধার করি এবং সংশ্লিষ্ট রামু থানায় খবর দিই। খবর পেয়ে রামু থানার এস আই ইমরান সঙ্গীয় ফোর্স সহ মৃতের সুরতহাল সম্পন্ন করে রামু থানায় নিয়ে যায় শান্তি বালা বড়ুয়ার মরদেহ।
করো বিরুদ্ধে মৃতের ওয়ারিশদের কোন অভিযোগ না থাকায়, নিছক দুর্ঘটনা মর্মে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ক্রমে স্থানীয় শ্বশাানে শান্তি বালা বড়ুয়া’র সদকার্য সম্পাদন করা হয়েছে বলে জানায় এমইউপি স্বপন বড়ুয়া।