| নিজস্ব প্রতিবেদক |
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিরোধীয় জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম লাইনঝিরির আগায় ঘটনাটি ঘটে। শুধু তায় নয়, স্থাপনা নির্মাণে বাধা প্রদান করায় আবুল হাসেম সহ পরিবারের অন্যদেরকে প্রাণ নাশের হুমকিও দেন প্রতিপক্ষ আব্দুর রহিমরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগে জানা যায়, ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজার আর/২৯নং হোল্ডিং মূলে নজির আহমদের ৫ একর তৃতীয় শ্রেণীর জায়গা আছে। ১৯৮২-৮৩ সালে বন্দোবস্তি পাওয়ার পর ওই জায়গায় বিভিন্ন ফলজ বনজ বাগান সৃজন করে ভোগ করে আসছেন। নজির আহমদের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশরা এ জায়গা ভোগ দখলে আছেন। সম্প্রতি জায়গার মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রুপসীপাড়া ইউনিয়নের হাফেজ পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল লতিফের ছেলে মো. আব্দুর রহিম ও আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের রেপাড়াপাড়ি এলাকার বাসিন্দা বশির আহমদের ছেলে মো. ইয়াছিনের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা এ জায়গা জবর দখলে নিতে বিভিন্ন ভাবে অপচেষ্টা চালায়। এ ধারাবাহিকতায় গত ২৯ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আব্দুর রহিম ও মো. ইয়াছিনের নেতৃত্বে আরও ১৫-২০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে নজির আহমদের জায়গা ঘর নির্মাণ করেন। পরে এ স্থাপনার নাম দেয়া হয় মিরিঞ্জা রিসোর্ট। রিসোর্টের কটেজে পর্যটকদের রাত্রী যাপনের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। এতে রাত দিন মদ, ইয়াবা ও গাঁজা বেচাকেনা সহ আসর বসে। খবর পেয়ে নজির আহমদের ওয়ারিশরা এসবের বাধা প্রদান করলে আব্দুর রহিম ও ইয়াছিনরা প্রাণ নাশ সহ মিথ্যা মামলায় জড়িতে হয়রানির হুমকি দেন। পাশাপাশি পরবর্তীতে এ ঘটনায় নজির আহমদের ছেলে ভুক্তভোগী আবুল হাশেম (৭৭) বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারী অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত ১৪৫ ধারা মতে স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। আদেশ মতে, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বিরোধীয় জায়গায় কোন ধরনের কাজ না করতে উভয় পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে নিষেধ করেন পুলিশ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আব্দুর রহিম ও মো. ইয়াছিনরা স্থাপনা নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখেন বলে জানান আবুল হাশেমরা।
এদিকে আবুল হাসেম জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও আব্দুর রহিমরা জায়গায় কটেজ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রখেছেন। কারো কথাই শুনছেন না তারা।
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। মদ গাজা আর ইয়াবা বিক্রির অভিযোগ মোটেও সত্য নয়।
এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. নুরুজ্জামান জানায়, আদালতের নির্দেশনা মতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে উভয় পক্ষকে বিরোধীয় জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ কিংবা কোন ধরণের কাজ না করতে একাধিকবার নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও আব্দুর রহিমরা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রধান সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, প্রকাশক : প্রদীপ কান্তি দাশ, সম্পাদক : মো. নুরুল করিম আরমান, আইন বিষয়ক উপদেষ্ঠা : এ্যডভোকেট ফয়সাল আজিজ।
সম্পাদকীয় কার্ষালয় : প্রেসক্লাব ভবন (দ্বিতীয় তলা), প্রধান সড়ক, লামা পৌরসভা, বান্দরবান
ই-মেইল paharerkatha@gmail.com, মোবাইল: ০১৭৫০৪৪৪৯৯৬/০১৮১৪৮৪৫০৭৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত