নিজস্ব প্রতিবেদক |
গ্রামের নারীদের অধিকার আর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস। বেসরকারী সংস্থা গ্রাম উন্নয়ন সংগঠনের (গ্রাউস) এমপাওয়ারমেন্ট প্রকল্পের উদ্যোগে সুইজারল্যান্ড দূতাবাস ও গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা’র অর্থায়নে উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি গজালিয়া ইউনিয়নে দিবসটি পালন করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে বুধবার সকালে ‘আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যতের জন্য গ্রামীণ নারীরা প্রকৃতিকে টিকিয়ে রেখেছেন’-এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে আয়োজিত র্যালি শেষে অনুষ্ঠিত হয় গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে এক আলোচনা সভা। জিএফএ কন্সাল্টিং গ্রুপ, জিএমবিএইচ জার্মানী’র সহযোগিতায় প্রকল্পের সহকারি কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা;র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উসাচিং মার্মা।
নাগরিকতা: সিভিক এনগেজমেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে পরিচালিত দিবসে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শিরিন আক্তার ও চশৈনু মার্মা, সচিব মংচিং মার্মা, গজালিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ কাজী তৈফিকুল আলম প্রমুখ বিশেষ অতিথি ছিলেন। এতে অর্ধশতাধিক নারী স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, সভ্যতা আর প্রযুক্তির দিক দিয়ে উন্নয়নের ধারায় পৃথিবী এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে রয়েছে বিশেষ করে গ্রামের নারী সমাজ। তাই গ্রামীণ নারীদের যেদিন মৌলিক অধিকার পুরোপুরি নিশ্চিত হবে সেদিন থেকে, যেদিন গ্রামীণ নারীরাও শহরের নারীদের সাথে সমান তালে এগিয়ে যাবে।

এতে করে একদিকে যেমন দেশে নারীর ক্ষমতায়ন হবে ঠিক তেমনি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাবেন একজন অধিকার সচেতন মা। আর এভাবেই একদিন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমান ভূমিকা পালন করবে এদেশের নারীরা। ১৯৯৫ সালে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালনের প্রস্তাব গৃহীত হয় বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
প্রধান সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, প্রকাশক : প্রদীপ কান্তি দাশ, সম্পাদক : মো. নুরুল করিম আরমান, আইন বিষয়ক উপদেষ্ঠা : এ্যডভোকেট ফয়সাল আজিজ।
সম্পাদকীয় কার্ষালয় : প্রেসক্লাব ভবন (দ্বিতীয় তলা), প্রধান সড়ক, লামা পৌরসভা, বান্দরবান
ই-মেইল paharerkatha@gmail.com, মোবাইল: ০১৭৫০৪৪৪৯৯৬/০১৮১৪৮৪৫০৭৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত