লামা প্রতিনিধি |
বেশ কয়েক বছর ধরে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার মাটি ও পরিবেশের ব্যাপক হারে ক্ষতি করে আসছে তামাক চাষ। এ চাষে স্বাস্থ্য হানিও হচ্ছে সংশ্লিূষ্ট কৃষক সহ স্থানীয়দের। তাই এ চাষের বিকল্প হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় আখ চাষের উদ্যোগ নেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। এ ধারাবাহিকতায় বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এ প্রকল্পের আওতায় ২৫জন কৃষককে আখ চাষের প্রদর্শণী দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে সোমবার কলিঙ্গাবিল গ্রামের কৃষক রাবেয়া বসরী’র আখ ক্ষেতে আয়োজন করা হয় কৃষক মাঠ দিবস। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকেল্পর আওতায় সম্ভাব্য ও চলমান উপকারভোগী কৃষকদের নিয়ে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ, প্রকল্পের কনসালটেন্ট কৃষিবিদ ক্যছেন, সুগারকেন সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুজন দে, জুনিয়র কনসালটেন্ট বসন্ত কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বৈজ্ঞানিক সহকারী তিতু চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মাঠ দিবসে ৬০ জন কৃষক-কৃষানী অংশ গ্রহন করেন। দিবসে আখ চাষের অনুভুতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন কৃষাণী রাবেয়া বসরী।
দিবসে কৃষকদের উদ্দেশ্যে অতিথিরা বলেন, তামাক চাষের তুলনায় আখ চাষে খরচ ও পরিমশ্রম অনেক কম। আর লাভও দ্বিগুন। এছাড়া আখের শিকড় থেকে পাতা পর্যন্ত সবই মানুষের উপকারে আসে। কিন্তু তামাক চাষের ফলে জমি উর্বরতা হারানোর পাশাপাশি তামাক চাষী নিজের, পরিবারের অন্য সদস্যদের ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করে থাকে। তাই সবাইকে নিজের, পরিবেশের ও দেশের কথা চিন্তা করে তামাক চাষ পরিহার করে বিকল্প আখ চাষে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রকল্পের কনসালটেন্ট কৃষিবিদ ক্যছেন। তিনি বলেন, শুধু লামা উপজেলায় নয়, এ প্রকল্পের আওতায় তিন পার্বত্য জেলার প্রতিটি উপজেলায়ও আখ চাষ সম্প্রসারণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।
প্রধান সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, প্রকাশক : প্রদীপ কান্তি দাশ, সম্পাদক : মো. নুরুল করিম আরমান, আইন বিষয়ক উপদেষ্ঠা : এ্যডভোকেট ফয়সাল আজিজ।
সম্পাদকীয় কার্ষালয় : প্রেসক্লাব ভবন (দ্বিতীয় তলা), প্রধান সড়ক, লামা পৌরসভা, বান্দরবান
ই-মেইল paharerkatha@gmail.com, মোবাইল: ০১৭৫০৪৪৪৯৯৬/০১৮১৪৮৪৫০৭৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত