মো. নুরুল করিম আরমান |
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা জোত মালিক কর্তৃক অবাধে অবৈধ কাঠ ব্যবসা চালু রাখতেই আমি ও আমার স্কুল পড়–য়া ছেলে মো. ইলিয়াছ উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে। এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর জোত মালিক সমিতির অফিসে গভীর রাতে মিটিং করে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা মতে ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে টিটি এন্ড ডিসির কাঠ ব্যবসায়ী ও কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট এর সামনের সড়কে আমার উপর হামলা করে। একপর্যায়ে সেখান থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় আমাকে টেনেহিচড়ে উপজেলা পরিষদের সম্মুখ প্রধান সড়কে নিয়ে গেলে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করেন। কিছুক্ষণ পরে উপজেলা শহরের কলা বাজারে আমার ছেলেকেও মারধর করেন জোত মালিক সমিতির কিছু সংখ্যক সদস্যরা। রবিবার বিকালে লামা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলাস্থ মিলনায়তনে আযোজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন-গাছ ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বেচু। এ সময় তিনি আরও বলেন, লামা জোত মালিকদের ব্যবসা যদি বৈধ হয়, তাহলে বন বিভাগ কেন তাদের ব্যবসায় হস্তক্ষেপ করবেন। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে লুটপাট ও অবৈধ ব্যবসা করে আসছেন লামা জোর মালিক সমিতি নেতারা। হামলার ঘটনায জড়িতদের বিরুদ্ধে আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
গাছ ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বেচু আরও বলেন, যারা আমি ও আমার ছেলের উপর হামলা করেছে, তারাই উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে রবিবার দুপুরে লামা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। আমাকে ও আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার নেতৃত্ব দেন- হারুদ, সেলিম, খোকন, বাবুল ও ফতেহ আলীসহ আরও সমিতির অন্য সদস্যরা। জোত মালিক সমিতি কর্তৃক আমার বিরুদ্ধে উপজেলার সাধারণ গাছ ব্যবসায়ী ও বাগান মালিক পক্ষের সংবাদ সম্মেলনে সরকারি রিজার্ভের গাছ থেকো, অসখ্য বন মামলার আসামী, অবৈধ গরু ব্যবসায়ী, সেনাবাহিনী বন বিভাগের নামধারী কথিত সোর্স ও চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে। আমি উদ্দেশ্য প্রনোদিত, মিথ্যা, বানোয়াট মানহানিকর ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় মো. আবছার, মো. জাকির, মো. আক্তার ও সাগর সহ অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ওমর ফারুক বেচুর ছেলে মো. ইলিয়াছ উদ্দিনের উপর হামলার প্রতিবাদে এদিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছেন ছাত্র সমাজ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জোত মালিক সমিতির নেতারা বলেন, টাকা লেন দেনের বিষয় নিয়ে শ্রমিকদের সাথে ওমর ফারুক বেচুর সমস্যা হয়। হামলার ঘটনায় জোত মালিক সমিতির কোন সদস্য জড়িত ছিলনা।