লামা প্রতিনিধি |
পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষে সারা দেশের মত বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায়ও মেয়েদের জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে নুনারবিল সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণী ছাত্রীদের টিকা প্রদানের মাধ্যমে এ কর্মসূচীর উদ্ভোধন করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এখিং মার্মা। উপজেলার স্কুল ছাত্রী সহ কমিউনিটি পর্যায়ের ৬ হাজার ৯৬ জন কিশোরীকে টিদা প্রদানের লক্ষা মাত্রা নির্ধালণ করা হয়। টিকাদান কর্মসূচিতে সহায়তা করেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পোরটার ও স্বেচ্ছা সেবকরা। টিকা প্রদানের প্রথম দিন ৬৯১ জন ছাত্রী টিকা গ্রহন করেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, লামা উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ২৭টি হাই স্কুল, ১৩টি মাদ্রাসা ও ৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার খেকে আগামী ১৮কর্ম দিবসে এ টিকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে প্রথম ১০দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়–য়া ৫ হাজার ৫২৭ জন ছাত্রী ও পরবর্তী ৮ দিন কমিউনিটি পর্যায়ে আরও ৫৬৯ জন কিশোরীকে দেওয়া হবে এ টিকা। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ু ক্যানসার রুখে দিন’, -এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে শুরু হলো ‘এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি-২০২৪’।
প্রথম দিন ৬৯১ জনকে টিকা প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করে মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) রুপন কান্তি চৌধুরী বলেন, দুই ধাপে এই টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে স্কুলে এবং দ্বিতীয় ধাপে কমিউনিটি পর্যায়ে। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা, হেলথ্ ফর অল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই), ইউনিসেফ সহ পাঁচ সংস্থা এতে সহযোগিতা করে।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এখিং মার্মার জানান, নারীদের ক্যানসার জনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানাসর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ করে। পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানবহির্ভূত কিশোরীদের জন্য এই টিকা অধিকতর কার্যকর। জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট। ২৪ অক্টোবর থেকে ১৮ কর্মদিবসে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রী সহ ১০-১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদেরকে বিনামূল্যের এ টিকা নেওয়ার আহবান জানান ডা. এখিং মার্মা।