1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় কার্প জাতীয় মাছের পোনা পেলেন ১০০ চাষি হাতিয়ায় পিডিবি’র দুই কর্মীকে চোর সন্দেহে মারধর, ১ জনের মৃত্যু চকরিয়া থানা হাজতে অফিস সহকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন লামা মুখ ফুটবল টুর্নামেন্ট’র শুভ উদ্বোধন লামায় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে কুইজ প্রতিযোগিতা আলী মিয়ার ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২২ আগস্ট বান্দরবানের রুমায় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের প্রতিবাদে মানববন্ধন নাইক্ষ্যংছড়িতে তথ্য অফিসের নারী সমাবেশ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী লামায়: ‘নতুন কুঁড়ি-২০২৫’ প্রচারণা বিষয়ক অবহিতকরণ লামায় সহকারি শিক্ষক সমিতির আহবায়ক সুলতান, সদস্য সচিব আজগর লামায় বিএডিসি’র অনিয়মিত শ্রমিকদের কর্মবিরতি লামায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ’র উদ্বোধন ঘুমধুম সীমান্তে আরাকান আর্মির সদস্য সন্দেহে দুই উপজাতি নাগরিক আটক! ঘুমধুমে রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার লোহাগাড়ায় ৭৫ লিটার চোলাই মদসহ আটক ২

লামায় জায়গা জবর দখল চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা, দখলকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

| নিজস্ব প্রতিবেদক |
বান্দরবান লামা উপজেলার মিরিঞ্জা টপ পর্যটন এলাকার মো. দুলাল মিয়া নামে এক ব্যক্তির জায়গা জবর দখলে নিতে প্রতিপক্ষ রিংরাও ¤্রাে পাহাড় ও বাগানের গাছ কেটে স্থাপনা নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একের পর এক আদালতের আদেশ উপেক্ষা করেই প্রতিপক্ষ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করছেন বলে ভুক্তভোগী দুলাল মিয়া। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, যে কোন মুহুর্তে আবারও ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা। জায়গা জবর দখলের হাত থেকে রক্ষা পেতে দুলাল মিয়া প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, মো. দুলাল মিয়া ও তার পিতা নুরুল ইসলামের নামে উপজেলার ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজার আর/২৬৭ ও আর/১৩১ মূলে মিরিঞ্জা এলাকায় ১০ একর তৃতীয় শ্রেণীর জায়গা আছে। বন্দোবস্তি পাওয়ার পর থেকে ওই জায়গায় বিভিন্ন ফলজ বনজ বাগান সৃজন করে ভোগ করে আসছেন তিনি। এর মধ্যে কিছু অংশ জায়গায় চংতাই মুরুং নামের এক ব্যক্তি নিজের জায়গা মনে করে কিছু গাছ বাগান সৃজন করেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে গাছ বাগানের বিষয়ে ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী চংতাই মুরুং একটি নাদাবী নামা প্রদানের পাশাাপাশি ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ গ্রহন করে জায়গা ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে দুলাল মিয়া ১৩১নং হোল্ডিং থেকে ৫০ শতক জমি পাশের ইনলাং ¤্রােকে লাগিয়ত দেন। সম্প্রতি এ জায়গার উপর পাশের রিংরাও ¤্রােদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা এ জায়গা জবর দখল করার জন্য বিভিন্ন পায়তারা শুরু করেন। এ ধারাবাহিকতায় গত ১৫ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে প্রতিপক্ষরা খামার বাড়ি ভাংচুর ও ২০ আগস্ট লোকবল নিয়ে সৃজিত বাগানের গাছ কাটার চেষ্টা করেন। এ সময় বাধা প্রদান করলে দুলাল মিয়াকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন তারা। পরে এ ঘটনায় দুলাল মিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ফৌজদারী অভিযোগ করেন (যাহার নং ৫৯/২৪)। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত ওই জায়গার উপর ১৪৫ ধারা মতে স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। এতে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে হন। এক পর্যায়ে মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রতিপক্ষরা দুলাল মিয়াকে প্রাণে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন। হুমকির শিকার হয়ে দুলাল মিয়া গত ২০ নভেম্বর লামা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এতেও তারা থেমে থাকেনি, তারা প্রতিনিয়ত বাগানে সৃজিত গাছ ও পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহ রাখেন। এক পর্যায়ে গত ৩১ অক্টোবর অপর মামলা নং ১২৫/২০২৪ দায়ের করলে আদালত ওই জায়গার উপর স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। অভিযুক্ত বিবাদীরা হলেন–মিরিঞ্জা পাড়ার বাসিন্দা চংতাই ¤্রাে’র ছেলে সামুয়েল ¤্রাে ও ডানিয়েল ¤্রাে, সিংনম ¤্রাের ছেলে রিংরাও ¤্রাে, অহাচন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে রুবেন ত্রিপুরা।
ভুক্তভোগী দুলাল মিয়া আরও জানান, সর্বশেষ বান্দরবান জজ কোর্ট এর আদেশের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পুলিশ স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য বিবাদীদের নোটিশ করেন। কিন্তু তারা আদালতের এ নিষেধাজ্ঞাও মানছেন না। এর আগেও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে একে একে তিনবার নোটিশ করা হয় কিন্তু তারা স্থিতাবস্থা বজায় না রেখে পাহাড় ও গাছ কেটে স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত রিংরাও ¤্রাে বলেন, আমরা দুলাল মিয়ার জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করছি না। আমাাদের জায়গা হলো ২৮৪নং ইয়াংছা মৌজায়। আর বাদী দুলাল মিয়ার জায়গা হলো ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজায়। তাই দুলাল মিয়াদের জায়গা জবর দখল করার প্রশ্নই উঠেনা। বরং তারাই আমাদের জায়গা জবর দখলের জন্য মামলা হামলা করছেন। তাছাড়া স্থিতাবস্থার আদেশের নোটিশ পাওয়ার পরও আমরা আদালতকে সম্মান জানিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছি। তবে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাদেরকে হয়রানির পাশাপাশি প্রশাসনকে বিভ্রান্তি করছেন দুলাল মিয়ারা।
এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের সহকারি উপ পরিদর্শক মো. ফারুকুর রহমান জানায়, আদালতের নির্দেশনা মতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বিরোধীয় জায়গায় বিবাদীদেরকে স্থাপনা নির্মাণ কিংবা কোন ধরণের কাজ না করতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এরপরও রিংরাও ¤্রাে’রা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট