বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির কার্যালয়ে ডাকাতির ঘটনায় লুন্ঠিত এক কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকার মধ্যে ২১ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে (১৬ মে) ও শনিবার দুপুরে ( ১৭ মে) পৌরসভা এলাকার সাবেক বিলছড়ি এলাকার একটি পাহাড়ের ঢালু ও বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব টাকা উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে উদ্ধার করা হয় বাড়ির অদূরে পাহাড়ের চুড়ার মাটির নীচ থেকে ২লাখ ৬৭ হাজার, আবদুর রহিমের বাড়ী থেকে ৫০ হাজার ও করিমের বাড়ী থেকে ১৮ লাখ টাকা । ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত করিম নামক এক যুবকের মা আনোয়ারা বেগমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব টাকা উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশ।
এর আগে পুলিশ লামা পৌরসভা ও চকোরিয়া উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৭ জনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছে- চকরিয়া উপজেলার পূর্ব ভেউলা ইউপির নয়াপাড়া ২নং ওয়ার্ডের পদ্মাছড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে মারুফুল প্রকাশ আরিফ (৩০), চকরিয়া লক্ষাচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মাজেরপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে নাঈমুল ইসলাম (সাগর) (৩১), লামা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মৃত সাহেব আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৩৬) ও ডাকাতিতে জড়িত লামা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাবেকবিলছড়ি এলাকার আবদুল করিমের মা আনোয়ার বেগম (৪৫)। টাকা উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো তোফাজ্জল হোসেন জানান, আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক অভিযান চালিয়ে ডাকাতির এই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির অবশিষ্ট টাকা ও আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আসামী আরিফ ডাকাতি ঘটনায় জড়িত ও অপরাধ স্বীকার করে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। গত ৯ মে রাতে লামা পৌরসভার লাইন ঝিরিঝিরিতে অবস্থিত আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির কার্যালয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৪-১৫ জনের মুখোশ পরা ডাকাতরা আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লকার থেকে ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরদিন এ ঘটনায় লামা থানায় মামলা করা হয়।