মো. নুরুল করিম আরমান |
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ভিকটিমদের আইনগত এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জেলা পুলিশের আয়োজনে এ মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষ্যে থানা মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বান্দরবান পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম। বুধবার দুপুরে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন’র সভাপতিত্বে মতবিনিময়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জিনিয়া চাকমা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম ও আলীকদম থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মির্জা জহির উদ্দিন বিশেষ অতিথি ছিলেন। এতে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, নারী-নেত্রী, নারী ও শিশু নির্যাতনের ভুক্তভোগী প্রমুখ অংশ গ্রহণ করেন। এ আয়োজনে সহযোগিতা করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ।
মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথি বান্দরবান পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম বলেন- পুলিশ, বিচার বিভাগ, নির্যাতনের শিকার নারী-শিশু ও সুশীল সমাজ সবাই মিলে নারী নির্যাতন বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে। নির্যাতিত নারীদের পাশে পুলিশ সবসময় আছে, থাকবে। ভুক্তভোগীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। তাদের কাউন্সেলিং করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে হবে। অনেক নির্যাতিত নারী ও শিশু ঘটনার পর মামলা করতে চায় না, তাই তাদের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেটের প্রভাবে আমাদের সন্তানরা ভুল পথে পরিচালিত হয়। তারা ভুল করছে কি না, মা-বাবার তা দেখতে হবে। ১৬ বছরের নিচে সবাই শিশু। তাদের ভুল শুধরে দিয়ে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসতে হবে। শিশুরা ঝরে গেলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফেসবুক-ইউটিউব কেন্দ্রিক আমাদের সন্তানরা অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েরা যেন মাদকের সঙ্গে আসক্ত না হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল পোস্টের কারণে সমাজে খারাপ প্রভাব পড়ে। এছাড়া সম্প্রতি লামা পর্যটন নগরী হিসেবে সারাদেশে পরিচিতি পেয়েছে। পর্যটকদের সুরক্ষা দিতে হবে। উদ্যোক্তারা লামাকে তুলে ধরছেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সচেতন থাকতে হবে।
শেষে উপস্থিত ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতে মানবিক সহায়তার নগদ টাকা ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন বান্দরবান পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার।