নিজস্ব প্রতিবেদক |
একের পর এক পাহাড় ও বৃক্ষ নিধন করে যোগানের মাধ্যমে পরিবেশ বিপন্ন করার দায়ে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ৪টি ইটভাটা মালিককে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক রুপায়ন দেব। পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সহ পুলিশ সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।
সূত্র জানায়, কোন রকম অনুমতি না নিয়ে উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থাানে কয়েকটি ইটভাটা গড়ে তোলা হয়। এসব ইটভাটার মালিকরাা ইট তৈরির জন্য ইটভাটা সংলগ্ন পাহাড় ও গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক রুপায়ন দেব বিভিন্ন অপরাধে এসবিডাব্লিউ’র মালিক গিয়াস উদ্দিন, ৫বিএম’র মালিক মো. জুনায়েদ, এমবিআই’র মালিক এনামুল হক ও ডিবিএম’র মালিক নাজেমুল ইসলামকে সর্বমোট ১১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। একই সময় ১৮০ ঘনফুট জ্বালানি কাঠ জব্দ করা হয়। এছাড়াও পাহাড় কেটে মাটি মজুত করার প্রমাণও মেলে। পরবর্তীতে এসব ভাটায় তৈরীকৃত কাঁচা ইট ও চুল্লির আগুন পানির সাহায্যে নিভিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমান আদালত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম যাতে শুরু করতে না পারে, সে বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলার বিভিন্ন অবৈধ ইট ভাটা গুলো বন্ধ রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান পরিচালনা করে লামা উপজেলায়।
এদিকে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো.রেজাউল করিম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিবেশ রক্ষায় তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং পরিবেশ ধ্বংসের সাথে জড়িত কাউকেই ছার দেওয়া হবে না।
ইটভাটায় অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপায়ন দেব বলেন, পাহাড় ও বৃক্ষ নিধনের দায়ে ৪টি ইটভাটা মালিককে ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত২০১৯) মোতাবেক এ জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারাই পরিবেশের ক্ষতি করে অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।