মো. নুরুল করিম আরমান |
ফের অবৈধভাবে তোলা বালু মহালে অভিযান পরিচালনা করেছে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা প্রশাসন। রবিবার বিকেলে পৌরসভা এলাকার ছাগল খাইয়াস্থ মাতামুহুরী নদীর তীরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় জব্দ করা হয় আনুমানিক ৪০ হাজার ঘনফুট বালু। অভিযানের সময় বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রে এস এম হাসানও উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র পাহাড়ি ছড়া, খাল ও নদী থেকে অবৈধাবে বালু তুলে পাচার করে আসছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার বিকাল ৩টার দিকে পৌরসভা এলাকার ছাগল খাইয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় একটি বালুর স্তুপ জব্দের পর ছাগল খাইয়া মৌজা হেডম্যান মংক্যচিং মার্মার জিম্মায় রাখা হয়। এছাড়া অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে বালু চক্রের কেউ না থাকায় আটক করা যায়নি। অভিযাানে সহযোগিতা করেন লামা থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন সময় এসব বালু চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে জেল জরিমানা করে প্রশাসন। এতেও বন্ধ হয়নি অবৈধভাবে বালু তোলা, সুযোগ পেলেই চক্রটি পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে বালু তোলা শুরু করে।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন বলেন, মাতামুহুরী নদী থেকে বালু তুলে পাচারের উদ্দেশ্যে স্তুপ করা একটি বালু মহাল জব্দ করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত (১১ জুলাই) দুইটার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.মঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে বগাইছড়ি ও মালুম্মা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় বালু উত্তোলন চক্রের দুই সদস্যকে হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ১৫ ধারায় আটক আব্দু শুক্কুরকে ২ মাসের ও আলতাজ মিয়াকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.মঈন উদ্দিন।