1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন আলীকদমে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে দুই জনকে জরিমানা বান্দরবানে ২১ কিলোমিটার হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত লোহাগাড়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সাউন্ড হেলথ হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি বান্দরবানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খাদ্যশষ্য প্রদান করলেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএস মং রাঙ্গামাটিতে তরুণী ধর্ষণ মামলায় এক যুবক আটক খাগড়াছড়িতে অপহরণের ৭ দিন পর চবি’র ৫ শিক্ষার্থী মুক্ত বিদ্যুৎ চলে গেলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রোগীদের দুর্ভোগ লামায় নিবন্ধিত জেলেরা পেলেন বিনামূল্যে উন্নত জাতের ছাগল লামায় ‘কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ’ বিষয়ক রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন লামায় “ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক” প্রশিক্ষণ চকরিয়া ভূয়া নৌবাহিনী সদস্য পরচিয়ে প্রতারণায় এক দম্পতি গ্রপ্তোর

লামায় বহিরাগত এক প্রভাবশালী লীজ নিলেন রাবার প্লট, দখলে নিলেন খেটে খাওয়া ৫ স্যাটেলারের বন্দোবস্তিকৃত পাহাড়ি জায়গা! ৩ বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

লামা প্রতিনিধি |
বহিরাগত এক প্রভাবশালী রাবার প্লট লীজ নিয়ে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার খেটে খাওয়া ৫ স্যাটেলারের বন্দোবস্তিকৃত হোল্ডিং জায়গা জবর দখলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রুহুল আমিন নামের বহিরাগত এ প্রভাবশালী জায়গা দখলে নেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী স্যাটেলাররা। শুধু তায় নয়, এ ঘটনায় স্যাটেলারদের ৩টি বসতঘর ভাংচুর ও লুট করা হয় বলেও দাবী করা হয়েছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মিরিঞ্জা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী স্যাটেলাররা হলেন- ইয়াংছা মৌজার আর/১৯৩ এর মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন, আর/৪৮৫ এর মালিক জবিয়ক হক, আর/৪৮৬ এর মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন, আর/৪৮৪ এর মালিক সৈয়দ আহমদ, আর/৪২৯ এর মালিক মো.ছাইফুল ইসলাম। জায়গা জবর দখল ও হামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগে জানা যায়, ১৯৮২-৮৩ সালে উপজেলার ইয়াংছা মৌজার মিরিঞ্জা এলাকায় আর/১৯৩ মূলে মোয়াজ্জেম হোসেনের ৫ একর, আর/৪৮৪ হোল্ডিং মুলে সৈয়দ আহমদের ৫ একর, আর/৪৮৫ হোল্ডিং মূলে জবিয়ক হকের ৫ একর, আর/৪৮৬ নং হোল্ডিং মূলে মোয়াজ্জেম হোসেনের ৫ একর, আর/৪২৯ নং হোল্ডিং মূলে মালিক মো.ছাইফুল ইসলাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে সরকার কর্তৃক ৫ একর করে জায়গা বন্দোবস্তি পায়। বন্দোবস্তি পাওয়ার পর মালিকরা স্ব স্ব হোল্ডিং এর চিহ্নিত জায়গায় বসতঘর ও ফলদ বনজ বাগান সৃজন করে ভোগ দখলে যান। তৎকালীন সময় ম্যালেরিয়া রোগের সাথে পাল্লা দিয়ে তৎকালীন শান্তি বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে হোল্ডিং মালিকরা উপজেলা সদরে আশ্রয় নেয়। এ সুযোগে রুহুল আমিন নামের বাহিরাগত এ ব্যক্তি ২৫ একর রাবার প্লট লীজ দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্যাটেলারদের জায়গা জবর দখলে নিয়ে প্রায় ৪-৫ একর জায়গায় রাবার বাগান সৃজন করেন। ২০১৩সালে রুহুল আমিন এ জায়গা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এম এ মিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে নাফিয়া তাজ সাবরিনা চৌধুরীর কাছে বিক্রি করে দেন। এরই মধ্যে স্যাটেলাররা পুণরায় জায়গাতে বসতঘর নির্মান করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসতিও শুরু করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য থানায় বৈঠকেরও আয়োজন হয়। এ ফাঁকে নাফিয়া তাজ সাবরিনা চৌধুরীর হয়ে স্থানীয় আবদুল খালেক মেম্বারের নেতৃত্বে ৫০-৫২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে গত শুক্রবার দিনগত রাতে স্যাটেলারদের তিনটি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে খেটে খাওয়া স্যাটেলারদের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
ভুক্তভোগী মোয়াজ্জেম হোসেন, জবিয়ক হক, মোয়াজ্জেম হোসেন ও মো.ছাইফুল ইসলামের ওয়ারিশ কবির, রাশেদ আলী ও করিম জানায়, জায়গা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে বিষয়টি মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বৈঠক বসার কথা ছিল। কিন্তু আব্দুল খালেকরা জায়গা তার মালিকের দেখানোর জন্য আমাদের বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেন। আমরা বহিরাগতদের হাত থেকে আমাদের জায়গা উদ্ধার ও হামলার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে পাশের হোল্ডিং এর জায়গার মালিক নওয়াব আলী (৮০) ও আবুল হোসেন মিয়া (৭৭) জানান, মোয়াজ্জেম হোসেন, জবিয়ক হক, মোয়াজ্জেম হোসেন ও মো.ছাইফুল ইসলাম সহ আমরা অনেকে একসাথে বন্দোবস্তি পেয়ে জায়গায় বসবাস করি। কিন্তু বহিরাগত রুহুল আমিনরা প্রভাব খাটিয়ে জায়গা তাদের দাবী করে অযথা ঝামেলা শুরু করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নাফিয়া তাজ সাবরিনা চৌধুরীর জায়গার কেয়ারটেকার আবদুল খালেক বলেন, আমরা কারো ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করিনি। মো. কবির, রাশেদ আলী ও মো. করিম নিজেরাই ঘর নির্মাণ করে আবার নিজেদের ঘর ভংচুর করে আমারদেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। এছাড়া তারা যে জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছেন, সে জায়গা আমার মালিক নাফিয়া তাজ সাবরিনা চৌধুরীর।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বহিরাগত কেউ অন্যায় ভাবে স্যাটেলারদের জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করলে, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট