1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
রাঙামাটি পুলিশ উদ্ধার করলেন হারানো ৩০টি মোবাইল চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম ১৮ দিনের রিমান্ডে রামুতে বন্যহাতির হামলায় প্রাণ গেল শিশুর রামুতে পাহাড় ধসে শ্রমিকের মৃত্যু লামায় শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের পুষ্টিকর খাদ্য ও শিক্ষা সরঞ্জাম পেলেন ৩২৩ শিশু শিক্ষার্থী উখিয়ার ইউএনও, পেশাদারিত্ব ও কর্মগুণে নাগরিক সেবায় আলো ছড়াচ্ছেন লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ’র সাফল্য, মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেন ২৫ শিক্ষার্থী বন্ধ হয়ে গেল লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির সিনেমা হল : রইল না আর এ তিন উপজেলার চিত্তবিনোদনের কোন ব্যবস্থা দুর্গম আলীকদমে দুঃসাহসিকতার বলি: ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অব্যবস্থাপনার চিত্র নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন আলীকদমে ইয়াবা সহ ৩ জন আটক কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন, পূর্ণপ্যানেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হাসিম-আনছার প্যানেল জাতীয় নাগরিক কমিটি’র বান্দরবান জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন আলীকদমে নিখোঁজ দুই পর্যটকের মধ্যে এক নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ১ লামায় পর্যটন রিসোর্ট মালিকদের প্রতি সেনাবাহিনী’র নির্দেশনা লামায় বিএনপি’র ঈদ পুর্ণমিলনী

লামায় বহিরাগত এক প্রভাবশালী লীজ নিলেন রাবার প্লট, দখলে নিলেন খেটে খাওয়া ৫ স্যাটেলারের বন্দোবস্তিকৃত পাহাড়ি জায়গা! ৩ বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

লামা প্রতিনিধি |
বহিরাগত এক প্রভাবশালী রাবার প্লট লীজ নিয়ে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার খেটে খাওয়া ৫ স্যাটেলারের বন্দোবস্তিকৃত হোল্ডিং জায়গা জবর দখলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রুহুল আমিন নামের বহিরাগত এ প্রভাবশালী জায়গা দখলে নেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী স্যাটেলাররা। শুধু তায় নয়, এ ঘটনায় স্যাটেলারদের ৩টি বসতঘর ভাংচুর ও লুট করা হয় বলেও দাবী করা হয়েছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মিরিঞ্জা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী স্যাটেলাররা হলেন- ইয়াংছা মৌজার আর/১৯৩ এর মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন, আর/৪৮৫ এর মালিক জবিয়ক হক, আর/৪৮৬ এর মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন, আর/৪৮৪ এর মালিক সৈয়দ আহমদ, আর/৪২৯ এর মালিক মো.ছাইফুল ইসলাম। জায়গা জবর দখল ও হামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগে জানা যায়, ১৯৮২-৮৩ সালে উপজেলার ইয়াংছা মৌজার মিরিঞ্জা এলাকায় আর/১৯৩ মূলে মোয়াজ্জেম হোসেনের ৫ একর, আর/৪৮৪ হোল্ডিং মুলে সৈয়দ আহমদের ৫ একর, আর/৪৮৫ হোল্ডিং মূলে জবিয়ক হকের ৫ একর, আর/৪৮৬ নং হোল্ডিং মূলে মোয়াজ্জেম হোসেনের ৫ একর, আর/৪২৯ নং হোল্ডিং মূলে মালিক মো.ছাইফুল ইসলাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে সরকার কর্তৃক ৫ একর করে জায়গা বন্দোবস্তি পায়। বন্দোবস্তি পাওয়ার পর মালিকরা স্ব স্ব হোল্ডিং এর চিহ্নিত জায়গায় বসতঘর ও ফলদ বনজ বাগান সৃজন করে ভোগ দখলে যান। তৎকালীন সময় ম্যালেরিয়া রোগের সাথে পাল্লা দিয়ে তৎকালীন শান্তি বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে হোল্ডিং মালিকরা উপজেলা সদরে আশ্রয় নেয়। এ সুযোগে রুহুল আমিন নামের বাহিরাগত এ ব্যক্তি ২৫ একর রাবার প্লট লীজ দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্যাটেলারদের জায়গা জবর দখলে নিয়ে প্রায় ৪-৫ একর জায়গায় রাবার বাগান সৃজন করেন। ২০১৩সালে রুহুল আমিন এ জায়গা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এম এ মিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে নাফিয়া তাজ সাবরিনা চৌধুরীর কাছে বিক্রি করে দেন। এরই মধ্যে স্যাটেলাররা পুণরায় জায়গাতে বসতঘর নির্মান করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসতিও শুরু করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য থানায় বৈঠকেরও আয়োজন হয়। এ ফাঁকে নাফিয়া তাজ সাবরিনা চৌধুরীর হয়ে স্থানীয় আবদুল খালেক মেম্বারের নেতৃত্বে ৫০-৫২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে গত শুক্রবার দিনগত রাতে স্যাটেলারদের তিনটি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে খেটে খাওয়া স্যাটেলারদের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
ভুক্তভোগী মোয়াজ্জেম হোসেন, জবিয়ক হক, মোয়াজ্জেম হোসেন ও মো.ছাইফুল ইসলামের ওয়ারিশ কবির, রাশেদ আলী ও করিম জানায়, জায়গা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে বিষয়টি মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বৈঠক বসার কথা ছিল। কিন্তু আব্দুল খালেকরা জায়গা তার মালিকের দেখানোর জন্য আমাদের বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেন। আমরা বহিরাগতদের হাত থেকে আমাদের জায়গা উদ্ধার ও হামলার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে পাশের হোল্ডিং এর জায়গার মালিক নওয়াব আলী (৮০) ও আবুল হোসেন মিয়া (৭৭) জানান, মোয়াজ্জেম হোসেন, জবিয়ক হক, মোয়াজ্জেম হোসেন ও মো.ছাইফুল ইসলাম সহ আমরা অনেকে একসাথে বন্দোবস্তি পেয়ে জায়গায় বসবাস করি। কিন্তু বহিরাগত রুহুল আমিনরা প্রভাব খাটিয়ে জায়গা তাদের দাবী করে অযথা ঝামেলা শুরু করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নাফিয়া তাজ সাবরিনা চৌধুরীর জায়গার কেয়ারটেকার আবদুল খালেক বলেন, আমরা কারো ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করিনি। মো. কবির, রাশেদ আলী ও মো. করিম নিজেরাই ঘর নির্মাণ করে আবার নিজেদের ঘর ভংচুর করে আমারদেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। এছাড়া তারা যে জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছেন, সে জায়গা আমার মালিক নাফিয়া তাজ সাবরিনা চৌধুরীর।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বহিরাগত কেউ অন্যায় ভাবে স্যাটেলারদের জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করলে, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট