নিজেস্ব প্রতিবেদক |
বিশ্ব খাদ্য দিবস’২৪ উপলক্ষে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় বেসরকারী সংস্থা গ্রাম উন্নয়ন সংগঠনের (গ্রাউস) আয়োজনে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’র সহযোগিতায় ‘অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সহনশীল জীবিকার জন্য সহায়তা প্রকল্পের’ আওতায় উপজেলার সরই উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে সোমবার দুপুরে এ কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীতিপূর্ণ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো, আশ্রাফুজ্জামান।
এতে বিদ্যলয়ের সহকারী শিক্ষক জমির উদ্দিন ও গোলাম রসুল, সংস্থার প্যারামেডিক উম্মে হাবিবা তামান্না, ফিল্ড অর্গানাইজার মেমং মার্মা প্রমুখ বিশেষ অতিথি ছিলেন। আলোচনা শেষে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তিন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি অন্যসব উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সান্তনা পুরস্কার প্রদান করে গ্রাউস কর্তৃপক্ষ। এর আগে সংস্থার উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে সুষম খাবার পরিচিতি তুলে ধরতে আয়োজন করা হয় ‘খাদ্য কর্ণার’।
কর্ণারে আমিষ, শর্করা, স্নেহ পদার্থ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও পানি জাতীয় খাদ্য প্রদর্শন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে সুষম খাদ্যের পরিচিতি সহ মানব দেহের জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন প্যারামেডিক উম্মে হাবিবা তামান্না। এদিন উপজেলার গজালিয়া, ফাইতং ও লামা সদর ইউনিয়নেও একই আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালন করা হয়।
এ বিষয়ে সংস্থার প্যারামেডিক উম্মে হাবিবা তামান্না বলেন, দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্রতা দূরীকরণ, পুষ্টিমান উন্নয়ন ও টেকসই জীবিকায়নের লক্ষে গ্রাউস এর ‘ ‘অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সহনশীল জীবিকার জন্য সহায়তা’ প্রকল্পের আওতায় লামা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে উপজেলার সরই উচ্চ বিদ্যালয় সহ উপজেলার ফাইতং, গজালিয়া ও লামা সদর ইউনিয়নে এক যোগে খাদ্য দিবস পালন করা হয়। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের বয়স, চাহিদা ও পরিশ্রম অনুযায়ী সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এ সুষম খাদ্যের মাধ্যমে দেহের ক্ষয়পূরণ, বৃদ্ধিসাধন, শক্তি উৎপাদনসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয়ে থাকে বলেও জানান প্যারামেডিক উম্মে হাবিবা তামান্না।