1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন’র কর্মবিরতি পালন লোহাগাড়ায় জাল টাকার নোটসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ঈদগাঁওয়ে চার মাসেও বই পায়নি শিক্ষার্থীরা লামা বিভাগের মাতামুহুরী বাঁশ মহাল নিলাম না দেয়ায় কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার লামায় ১০ জুয়াড়ি আটক, ভ্রাম্যমান আদালতে জেল-জরিমানা লামায় রাহবার ফাউন্ডেশন’র ফ্রী চিকিৎসা পেলেন অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষ মিয়ানমারে পাচারকালে ইউরিয়া সারসহ আটক ১০ পাচারকারী থানচির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলেন বিজিবি খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার ২ বান্দরবানে শতাধিক শিক্ষার্থীরা পেলেন এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা উপকরণ লামায় ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ’র নতুন সভাপতি মহেন্দ্র, সম্পাদক প্রণয় ও সাংগঠনিক দুর্জয় ত্রিপুরা আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন

লামায় ভারি বৃষ্টিপাত জনিত ভূমিধস দুর্যোগের সহনশীলতা ও সক্ষমতা বিষয়ক কর্মশালা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

মো. নুরুল করিম আরমান |
বান্দরবান ও কক্সবাজার এলাকার জনগোষ্ঠীকে ভারি বৃষ্টিপাত জনিত ভূমিধসের মত দুর্যোগের প্রতি সহনশীলতা অর্জনের পাশাপাশি সক্ষমতা বৃদ্ধি উপর অবহিতকরণ সভা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিবার পর্যায়ে সাধারণ মানুষ, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামোর ভূমিধসের ঝুঁকি কমাতে সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে এ কর্মশালার আয়োজন। গৃহিত প্রকল্পটির মাধ্যমে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার মোট ৯টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলাধীন বান্দরবান পৌরসভা, সুয়ালক এবং রাজবিলা ইউনিয়নে উক্ত প্রকল্পটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। লামা সদর উপজেলায় প্রকল্পটি ইউএসএআইডির অর্থায়নে সিআরএস এবং কারিতাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় তহজিংডংয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল দুপুরে লামা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল। এতে কারিতাস চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রতিনিধি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কর্মসূচী কর্মকর্তা ড্যানিয়েল সিপু গমেজ, তহজিংডংয়ের নির্বাহী পরিচালক জনাব চিং সিং প্রু, গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাথোওয়াইচিং মারমা ও রূপসী ইউপি চেয়ারম্যান জনাব সাচিংপ্রু মারমা প্রমুখ অংশ গ্রহণ করেন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কারিতাস বাংলাদেশ “ভূমিধসের পূর্ব সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তামূলক প্রকল্পের” প্রকল্প ব্যবস্থাপক রামবাদু ত্রিপুরা (স্টিভ), ডিআরআর স্পেশ্যালিস্ট মিজ প্রিয়াংকা নাগ, জেন্ডার ও সোস্যাল ইনক্লুশন কর্মকর্তা মিজ ফেনসি চাকমা এবং ডিআরআর অফিসার বিক্রম চাকমা। এছাড়াও বান্দরবাবন সদর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধি, সাংবাদিক প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিধি ও পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ প্রমুখ। সভার সঞ্চালনা করেন, তহজিংডং এর উপজেলা প্রকল্প সম্বনয়কারী পল রয়, স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক রামবাদু ত্রিপুরা (স্টিভ), পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন, ডিআরআর স্পেশ্যালিস্ট মিজ প্রিয়াংকা নাগ।
প্রকল্পটির লক্ষিত কার্যক্রমসমূহের মধ্যে ভুমিধসের আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কমিউনিটি/ইউনিয়ন পর্যায়ে মহড়ার আয়োজন, স্থানীয় বিভিন্ন ভাষায় ভুমিধস বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রকাশনা (লিফলেট, বিলবোর্ড, পোষ্টার) ছাপানো ও স্থাপন, কর্মএলাকায় ভুমির সংবেদনশীলতা যাচাইয়ের জন্য স্টাডি এবং জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে উপস্থাপন পূর্বক সঠিকতা যাচাই, কর্ম এলাকায় পাড়া ও খানা পর্যায়ে ঝুঁকি নিরূপন, কাজের বিনিময়ে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে ভুমিধস প্রতিরোধে জমি স্থিতিশীলকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন (পাহাড়ের ঢাল সুরক্ষা, বৃক্ষরোপন প্রভৃতি), বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী পাড়া/গ্রাম পর্যায়ে বৃষ্টিপাত পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও প্রশমনের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি প্রদান (ল্যাপটপ, প্রিন্টার ইত্যাদি) ভুমিধসের আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা বিষয়ে ওয়েব বেইজড প্লাটফর্ম তৈরি এবং তথ্য প্রসারে সহায়তা প্রদান, ভুমিধস আগাম সতর্কবার্তা বিষয়ক কাজের কর্মপরিকল্পনা পরিমার্জন/প্রণয়ন করা এবং জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে উপস্থাপন পূর্বক মতামত গ্রহণ, ভুমিধস সতর্ক সংকেত ব্যবস্থা এবং সতর্কতার কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের (বিডিআরসিএস, সিপিপি, সিভিল সোসাইটি এবং এসএমসি) জন্য সুরক্ষা সংবেদনশীল প্রাথমিক চিকিৎসা, অনুসন্ধান ও উদ্ধার বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ, জাতীয় পর্যায়ে ভুমিধসের আগাম সতর্কবার্তামূলক ব্যবস্থার পদ্ধতি, সর্বোত্তম অনুশীলন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ বিষয়ক কর্মশালা অন্যতম।
প্রকল্পটির সাথে বিশেষভাবে যুক্ত থাকবে উপজেলা প্রশাসন, পাহাড়ী এলাকায় বসবাসরত ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, যুব স্বেচ্ছাসেবক দল, মাল্টিপারপাস ডেভেলাপমেন্ট শেল্টার কমিটি, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত নেতৃত্ব (কারবারী, হেডম্যান, পাড়াসর্দার, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি (ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা), স্থানীয় পর্যায়ে সকল সরকারী প্রতিষ্ঠান (কৃষি, পরিবেশ, বনবিভাগ, ডিপিএইচই, এলজিইডি, শিক্ষা, আবহাওয়া অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, বিডিআরসিএস, সিপিপি, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় সরকার প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ২০২৫ সালের ১৪ জুন পর্যন্ত। পরীক্ষামূলক এই প্রকল্পটির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে প্রথমবারের মতো ভুমির সংবেদনশীলতা যাচাইয়ের পাশাপাশি বৃষ্টিপাতের মাত্রা পরিমাপ করে ভুমিধসের আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থা প্রনয়নের প্রয়াস চালানো হবে।
সভায় উপস্থিত প্রধান অতিথি মো. মোস্তফা জামাল বলেন, যেহেতু প্রকল্পটি বান্দরবান জেলায় নতুনভাবে কাজ করতে যাচ্ছে, সেহেতু সকল সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট