1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ০২:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন’র কর্মবিরতি পালন লোহাগাড়ায় জাল টাকার নোটসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ঈদগাঁওয়ে চার মাসেও বই পায়নি শিক্ষার্থীরা লামা বিভাগের মাতামুহুরী বাঁশ মহাল নিলাম না দেয়ায় কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার লামায় ১০ জুয়াড়ি আটক, ভ্রাম্যমান আদালতে জেল-জরিমানা লামায় রাহবার ফাউন্ডেশন’র ফ্রী চিকিৎসা পেলেন অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষ মিয়ানমারে পাচারকালে ইউরিয়া সারসহ আটক ১০ পাচারকারী থানচির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলেন বিজিবি খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার ২ বান্দরবানে শতাধিক শিক্ষার্থীরা পেলেন এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা উপকরণ লামায় ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ’র নতুন সভাপতি মহেন্দ্র, সম্পাদক প্রণয় ও সাংগঠনিক দুর্জয় ত্রিপুরা আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন

লামায় মিথ্যা অভিযোগ তুলে লুলাইং মৌজা হেডম্যানকে হয়রানির অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩
  • ২১৪ বার পড়া হয়েছে

লামা প্রতিনিধি |
মিথ্যা অভিযোগ তুলে বান্দরবানের লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লুলাইং মৌজা হেডম্যান সিংপাশ ম্রোকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে একটি কুচক্রী মহল বান্দরবান জেলা প্রশাসক সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে নামে বেনামে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে এ হয়রানি করছেন বলে জানান হেডম্যান সিংপাশ ম্রো। এদিকে হেডম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হয়রানির প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, লুলাইং মৌজার ১১ পাড়া কারবারী ও বিভিন্ন পাড়ার ১৪৭ বাসিন্দা।
জানা যায়, লুলাইং মৌজায় ১৪টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি পাড়া রয়েছে। এর মধ্যে ১৯৯৪ সালে সিনওয়াই ম্রো নামের এক ব্যক্তি লুলাইং হেডম্যান পাড়ার কারবারী হিসেবে নিযুক্ত হন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ২০১০ সালের দিকে স্ব-পরিবারে পাশের কুইছড়া পাড়ায় চলে যান সিনওয়াই ম্রো। লুলাইং হেডম্যান পাড়া ছেড়ে অনত্র্য চলে যাওয়ার কারণে সিনওয়াই ম্রো কে বিধি মোতাবেক কারবারী পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। কারবারী পদ থেকে অব্যাহতির পেছনে হেডম্যান সিংপাশ ম্রো’র হাত রয়েছে মর্মে সন্দেহ করতে থাকেন সিনওয়াই ম্রো। এর জের ধরে সিংপাশ ম্রোর সাথে সিনওয়াই ম্রো’র মানমালিন্য শুরু হয়। এছাড়া হেডম্যান সিংপাশ ম্রো ২০১৫ সাল থেকে লুলাইংমুখ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ বিদ্যালয়ের জমি দাতা হলেন পাইয়া ম্রো। এ দলিলের স্বাক্ষী হলেন কারবারী সিনওয়াই ম্রো। লোভের বশীভূত হয়ে দানকৃত জায়গা পূণরায় জোর পূর্বক দখলের চেষ্টা করেন পাইয়া ম্রো ও সালাওয়াদ ম্রো। এমনকি সিনওয়াই ও পাইয়া ¤্রােরা বিদ্যালয়ের বারান্দায় বর্গা চাষীর দ্বারা তামাক সবজি চাষাবাদ, তামাক চুল্লী স্থাপন করার পাাশাপাশি গরু ছাগল বেঁধে রেখে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছেন। এসব কাজের প্রতিবাদ করলে পাইয়া ম্রো ও সিনওয়াই ম্রোআরও হেডম্যান সিংপাশ ম্রো উপর আরও ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে গত ৫ জানুয়ারী স্থানীয় কিছু জনসাধারণকে কুপ্ররোচনা দিয়ে ক্ষিপ্ত করে সিংপাশ ম্রোকে হেডম্যান পদ থেকে অপসারণের জন্য বান্দরবান জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল দায়ের করেন। অভিযোগে ৪২ জন স্থানীয় বাসিন্দার স্বাক্ষর থাকলেও এর মধ্যে ১৫ জনের স্বাক্ষর জাল বলে জানা গেছে। স্বাক্ষরকারী ওই ১৫ জন ব্যক্তি অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না। এছাড়া সর্বশেষ অভিযোগকারী মেনসিং ম্রো লুলাইং মৌজার বাসিন্দাও নন। তিনি ভিন্ন মৌজার বাসিন্দা হয়েও লুলাইং মৌজার গাছ বাঁশ বিক্রি করে এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি করেন। তার অনৈতিক কর্মকান্ডে বাধা দিলে হেডম্যানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগে স্বাক্ষর করেন মেনসনিং ম্রো বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের জাযগা দখলে নিতে না পেরে দানকৃত জায়গা পূণরায় তাদের দাবী করে আমোক্তার নামামুলে মো. আবু ছিদ্দিক নামের এক ব্যক্তি দ্বারা বান্দরবান জেলার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলাও করা হয় (মামলা নং ১৫২/২১)। পরে বিদ্যালয়ের জায়গা রক্ষা করতে সাংবাদিক সম্মেলন করায় বিভিন্ন হুমকি ধমকির শিকার হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরীও করেন হেডম্যান সিংপাশ ম্রো।
অপরদিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে নির্বাহী অফিসার গত ১৩ এপ্রিল উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে অভিযোগের শুনানি করেন। এতে সিনওয়াই ম্রোরা উত্থাপিত অভিযোগের প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার।
অভিযোগের বিষয়ে পাইপ্রু পাড়া কারবারী ঙান ওয়াই ম্রো, চংকক পাড়া কারবারী চংকক ম্রো ও তলই পাড়া কারবারী মেনছা ম্রো বলেন, সিনওয়াই ম্রো ও পাইয়া ম্রো কর্তৃক হেডম্যান সিংপাশ ম্রোর বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। তারা নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হেডম্যান সিংপাশ ম্রোকে হয়রানি করছে মাত্র। হেডম্যানের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদও জানান তারা। একইভাবে প্রতিবাদ জানান স্থানীয় পানঝিরি পাড়ার বাসিন্দা মেনয়ং ম্রো, লূলাইং নয়াপাড়ার বাসিন্দা পারিং ম্রো ও হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা তংপ্রে ম্রোসহ অনেকে।
লুলাই মৌজা হেডম্যান সিংপাশ ম্রো বলেন, মূলত কারবারী পদ থেকে অপসারণ ও বিদ্যালয়ের জায়গা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করেই আমাকে ভূল বুঝে সিনওয়াই ম্রো ও পাইয়া ম্রো প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক অভিযোগ করে হয়রানি করছেন। তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা মোটেও সত্য নয়, সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যা তদন্তকালে প্রমাণ দিতে পারেনি সিনওয়াই ম্রোরা। বিভ্রান্তি ছড়াতেই এ অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবী করেন সিংপাশ ম্রো। তবে হেডম্যান সিংপাশ ম্রো বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য বলে দাবী করেন সিনওয়াই ম্রোরা।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তাফা জাবেদ কায়সার বলেন, লুলাইং মৌজা হেডম্যান সিংপাশ ম্রো বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করে ইতিমধ্যে প্রতিবেদন বান্দরবান জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট