বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা পৌরসভায় সরকারের ওএমএস কেন্দ্রে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হয় অসংখ্য নিম্ন আয়ের মানুষকে। চাহিদার তুলনায় ওএমএস চালের বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল হওয়ায় দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘক্ষন সাধারণ দরিদ্র মানুষকে ওএমএস কেন্দ্রের চালের জন্য এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে খালি হাতে বাড়ী ফিরে যেতে হচ্ছে। পাহাড়ী ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চল বিবেচনায় ওএমএস চালের বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য খাদ্য উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছে সাধারন মানুষ।
অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের এই লামা পৌরসভায় সরকারের ন্যায্য মূল্যের ওএমএস এর ৬টি কেন্দ্র রয়েছে। সপ্তাহে ৫ দিনে প্রতিদিন ২ মে. চাল ২টি কেন্দ্রে বিক্রয় করা হয়। ছোট নুনার বিল পাড়ায় পলি দাশ (৪০), লাইন ঝিরি ছরোয়ার উদ্দিন (৩৮) ও লামা মুখ এলাকায় উথোয়াই মার্মা (৩০) জানান, বর্তমানে চালের মূল্য বেশী। ওএমএস কেন্দ্রে দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে খালি হাতে বাড়ী ফিরে যেতে হচ্ছে। বাজার থেকে উচ্চ মূল্যে চাল কিনে খাওয়া আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।
লামা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মোঃ সাইফুদ্দিন জানান, প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায়, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ চাল পাচ্ছে না। কেন্দ্রে এসে বেশিরভাগ মানুষ চাল না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে। বাজার থেকে চাল কিনতে নিম্ন আয়ের এই মানুষগুলো হিমশিম খাচ্ছে। লামা পৌরসভার সাব্কে মেয়র আমির হোসেন জানান, পাহাড়ী এলাকায় চালের সংকট এমনিতেই বেশী। তাছাড়া এলাকায় গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যা বেশী। সরকার ওএমএস এর যে বরাদ্দ দিচ্ছে তা প্রয়োজণের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। পৌরসভার প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে চাহিদা মোতাবেক চাল বরাদ্দ করার জন্য তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান।
লামা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সেলিম হেলালী জানান, সরকার লামা পৌরসভার জন্য প্রতিদিন ২ মে. টন ওএমএস চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। তবে চালের যথেষ্ট চাহিদা আছে।