লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি |
বান্দরবানের লামায সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা থেকে সন্তানের মুক্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করলেন হতদরিদ্র অসহায় এক মা। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি পাগলীর আগা গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ফাতেমা বেগম। রবিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. রমজান আলী, সর্দার সোনা মিয়া, আবু সিদ্দিক, কামাল সর্দার, সলিমুল্লাহ, রুবেল সওদাগর, জহুরা খাতুন ও জান্নাতারা বেগম সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ হোসেনের বিধবা মা ফাতেমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ছেলে সাঈদ হোসেন ঘটনার ৫-৭ দিন আগে থেকে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে চকরিয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিল। ঘটনার দিন আমার ছেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে প্রসূতি স্ত্রীকে নিয়ে পাগলির আগা হয়ে বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় সাঈদ হোসেনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এক পর্যায়ে অস্ত্রসহ আটক ব্যক্তিদের সাথে আমার ছেলেকেও ৫৪ ধারায় গ্রেফতার (সাধারণ ডায়েরী নং ৬১২, তারিখ- ১৬/০৩/২৩ইং এবং কুমারী পুলিশ ক্যাম্প সাধারণ ডায়েরী নং ৩১৪, তারিখ- ১৫/০৩/২৩ইং) দেখিয়ে কোর্টে চালান দেয়া হয়। আমার ছেলে কোন দিন কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিল না। আমার ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ। একটি কুচক্রী মহল প্রতিহিংসা মূলক পুলিশকে প্ররোচিত করে আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একমাত্র ছেলে ছাড়া আমার আর কেউ নেই। সেই একমাত্র পরিবারের উপার্জনক্ষম। তাই সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আমার ছেলে সাঈদ হোসেনের মুক্তি চাই।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য কুতুব উদ্দিন মিয়া বলেন, দীর্ঘ ৪-৫ বছর যাবত সাঈদ হোসেন আমার অফিসে গ্রাম্য শালিসীর বৈঠকের আয়োজনের কাজে নিয়োজিত আছে। তার স্বভাব চরিত্র ভালো বিধায় তাকে আমার এখানে কাজ দিয়েছিলাম। ঘটনার সময় আমি বান্দরবান সদরে ছিলাম। পরে মোবাইল ফোনে অস্ত্র সহ দুই ব্যক্তি আটকের ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে তাৎক্ষনিক লামা থানা পুলিশকে জানাই। আরও জানতে পারি যে, ঘটনার অনেক্ষণ পর সাঈদ হোসেন প্রসূতি স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ীতে ফেরার সময় কিছু জিঙ্গাসাবাদ করার নাম করে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৫৪ ধারার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাসফেক্ট এর ভিত্তিতে আটক সাঈদ হোসেন সহ অপর দুই জনকে অস্ত্র আইনের মামলায় আসামী করা হয়েছে।