1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৭:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন আলীকদমে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে দুই জনকে জরিমানা বান্দরবানে ২১ কিলোমিটার হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত লোহাগাড়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সাউন্ড হেলথ হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি বান্দরবানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খাদ্যশষ্য প্রদান করলেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএস মং রাঙ্গামাটিতে তরুণী ধর্ষণ মামলায় এক যুবক আটক খাগড়াছড়িতে অপহরণের ৭ দিন পর চবি’র ৫ শিক্ষার্থী মুক্ত বিদ্যুৎ চলে গেলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রোগীদের দুর্ভোগ লামায় নিবন্ধিত জেলেরা পেলেন বিনামূল্যে উন্নত জাতের ছাগল লামায় ‘কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ’ বিষয়ক রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন লামায় “ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক” প্রশিক্ষণ চকরিয়া ভূয়া নৌবাহিনী সদস্য পরচিয়ে প্রতারণায় এক দম্পতি গ্রপ্তোর

লামায় স্বাধীণতার ৫৩ বছরেও ১২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৭টিতেই স্থাপিত হয়নি শহীদ মিনার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ১৬০ বার পড়া হয়েছে

লামা প্রতিনিধি |
বছর ঘুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলে দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুতি নিতে থাকে দেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষ। কিন্তু বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করতে পারেনা। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান কোন কোন সময় অস্থায়ীভাবে কাঠ-বাঁশ কিংবা কলাগাছ দিয়ে প্রতিকী শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানায়। অভিযোগ উঠেছে, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ৫৩ বছর পরও অদ্যাবদি উপজেলার ১২৭টির মধ্যে ১১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এখনো স্থাপন করা হয়নি শহীদ মিনার। এ কারণে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা দেশ মাতৃকার টানে ভাষা দিবসে সকল বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের যথাযথভাবে সুযোগ পাচ্ছে না। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবী তুলেন শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয়রা। এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার থাকলে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা সহজে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা পেত বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ৩টি কলেজ, সরকারি প্রাথমিক ৮৫টি ও ৪টি রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৫ কিন্ডার গার্টেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ১৪টি। এছাড়া বেসরকারি বিদ্যালয় ও মাদরাসাসহ মিলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে অন্তত ১৯টি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ১৩ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়ায় ব্যস্থ রয়েছে প্রতিদিন। অপর দিকে উপজেলায় আড়াই লাখের কাছাকাছি জনগণের বসবাস। তথ্য প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সারাদেশের মতো এ উপজেলাও এখন প্রযুক্তিখাতে অনেকাংশে এগিয়ে গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে গত দুই দশকে। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি সাধন হয়েছে আগের চেয়ে অনেকগুণ। শুধুমাত্র পিছিয়ে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপনের ক্ষেত্রে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি, সরকারী মাতামুহুরী কলেজে একটি, কোয়ান্টাম কসমো স্কুল এন্ড কলেজে একটি, চাম্বি স্কুল এন্ড কলেজে একটি, ডলুছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি, লামামুখ উচচ বিদ্যালয়ে একটি, গজালিয়া উচচ বিদ্যালয়, মেরাখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি, ৩নং রিপুজিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি, ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি শহীদ মিনার রয়েছে। বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো নির্মাণ করা হয়নি শহীদ মিনার। ফলে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর ভাষা দিবসের মত গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উপজেলা সদরের বা ইউনিয়ন সদরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না বানিয়ে শুধু আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও প্রভাত ফেরী করেই দিবসটি পালন করা হয়। তবে স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে গত দুই বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি শহীদ মিনার তৈরি করে দেন বলে জানান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার। স্থায়ীভাবে কোন শহীদ মিনার না থাকায় প্রতি বছর ভাষা দিবসে অস্থায়ীভাবে বাঁশ কাঠ দিয়ে নিজেরা শহীদ মিনার তৈরি করে শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোতে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয় বলে জানান রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মার্মা। তিনি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জোর দাবী জানান।
সরজমিন নুনারবিল মডেল, রাজবাড়ী, লামামুখ, ছাগল খাইয়া, লাইনঝিরি, কলিঙ্গাবিল পাড়া ও সাবেক বিলছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শহীদ মিনার নেই। প্রধান শিক্ষক জাহেদ সরোয়ার বলেন, সরকারীভাবে কোন বরাদ্দ না থাকায় শহীদ মিনার নির্মাণ করা যায়নি। তাই একুশে ফেব্রুয়ারি এলে লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারেই শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয়।
এ বিষযে লামা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ও প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়–য়া বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার না থাকার ব্যাপারটি জাতির জন্য বড় দুর্ভাগ্য।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায় না। তবে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেসব প্রতিষ্ঠানে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, ৩০০নং আসনের এমপি বীর বাহাদুর সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
এদিকে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তুনু কুমার দাশ বলেন, প্রজন্মের কাছে মাতৃভাষার অর্জন-ইতিহাস উপস্থাপন করার জন্য অবশ্যই শহীদ মিনার জরুরি। সেক্ষেত্রে বরাদ্দ সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট