| নিজস্ব প্রতিবেদক |
দিন দিন বেড়েই চলেছে জায়গা জমি বিরোধ। এ ধারাবাহিকতায় বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি এক পরিবারের সৃজিত বাগানের ৩০ বছর বয়সী ২৮টি সেগুন গাছ কেটে জায়গা জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের দু:খ পাহাড়ে ঘটনাটি ঘটে। এতে বাগান মালিকের প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উছাইনুং মার্মা বাদী হয়ে পৌরসভা এলাকার চাম্পাতলী পাড়ার বাসিন্দা প্রতিপক্ষ মো. জাফরের ছেলে মো. মন্নানের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লামা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদেরকে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী উছাইনুং মার্মা।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজায় উছাইনুং মার্মার স্বামী আপ্রুসে মার্মার ৫ একর তৃতীয় শ্রেণীর জায়গা আছে। বহু কায়িক শ্রম ও অর্থ ব্যয়ে সেগুন বাগান সৃজন করে দীর্ঘ বছর ধরে জায়গা ভোগ করে আসছেন। সম্প্রতি এ জায়গার উপর পাশের মো. মন্নানদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা এ জায়গা জবর দখলে নিতে বিভিন্ন পায়তারা শুরু করেন। একপর্যায়ে গত ২ ডিসেম্বর পূর্বপরিকল্পিতভাবে মন্নানরা বাগানের ২৮টি সেগুন গাছ কেটে ফেলে। পরবর্তীতে তারা কেটে ফেলা গাছ থেকে অর্ধেক গাছ শ্রমিক লাগিয়ে সরিয়ে নেন। খবর পেয়ে বাগান মালিক উছাইনুং মার্মা জবরদখলকারী মন্নানদের গাছ কাটায় বাধা প্রদান করেন এবং প্রতিকার চেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজা হেডম্যানকে দায়িত্ব দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন মন্নানরা। তারা মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) কেটে ফেলা ১৪টির মত গাছ আগুনে পুড়ে দেন। উছাইনুং মার্মা জানায়, মন্নানরা আমাদের সৃজিত ২৮টি গাছ কেটে ও পুড়ে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মো. মন্নান জানান, আমরা আমাদের বাবার নামীয় ও ভোগদখলীয় জাযগায় কাজ করছিলাম। আমার বাবা বহু কষ্টে বাগানটি সৃজন করেন। এরপরও অভিযোগ করার কারণে আমরা কাজ বন্ধ রাখি এবং উছাইনুং মার্মার জাযগার পাশে যাইনি। বরং উছাইনুং মার্মারা আমাদের জায়গার কিছু অংশ পিলার স্থাপনের মাধ্যমে দখলে নিয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে আমরাও অভিযোগ করবো।
২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজা হেডম্যান মংক্যচিং মার্মা বলেন, মন্নানরা গাছ কেটে আগুন লাগানোর ঘটনা শুনেছি। উছিংনুং মার্মার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত চলছিল। এছাড়া বিষয়টি সমাধা না হওয়া পর্যন্ত দুই পক্ষকে বিরোধীয় জায়গায় না যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। এদিকে এ ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান, লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. রিদুয়ান।
প্রধান সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, প্রকাশক : প্রদীপ কান্তি দাশ, সম্পাদক : মো. নুরুল করিম আরমান, আইন বিষয়ক উপদেষ্ঠা : এ্যডভোকেট ফয়সাল আজিজ।
সম্পাদকীয় কার্ষালয় : প্রেসক্লাব ভবন (দ্বিতীয় তলা), প্রধান সড়ক, লামা পৌরসভা, বান্দরবান
ই-মেইল paharerkatha@gmail.com, মোবাইল: ০১৭৫০৪৪৪৯৯৬/০১৮১৪৮৪৫০৭৩
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত