লামা প্রতিনিধি |
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি এলাকার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ উৎসব উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। বই বিতরনকে কেন্দ্র করে বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারী সকাল থেকে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের পদুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। পরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কী রাণী দাশ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা প্রধান অতিথি ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্ব নাথ দে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিরি দাতা সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও বিদ্যুৎসাহী সদস্য উসুই ঞোয়াই মার্মা জয়, সাংবাদিক মো. ফরিদ উদ্দিন, মো. নুরুল করিম আরমান ও নাজমুল হুদা প্রমুখ। এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারীগন ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বছরের প্রথম দিন নতুন বই’র গন্ধে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা।
এদিকে একই দিন উপজেলার সব কটি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেও বই বিতরন করা হয়। এসব বিদ্যালয়ে বিতরণ উদ্ভোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ, পৌরসভা মেয়র জহিরুল ইসলাম ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল।
১৯৮৭ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ম্রা থোয়াই অং চৌধুরীর নেতৃত্বে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। প্রধান শিক্ষক বিশ্ব নাথ দে’র একান্ত প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ৬০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি মার্মা, মুরুং, ত্রিপুরা ও চাকমা সম্প্রদায়ের।
এতে ১৪জন শিক্ষক ও ৭ জন কর্মচারী রয়েছেন। এখানে স্থাপিত হয় হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, শেখ রাসেল কর্ণার, গ্রন্থাগার ও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সততা ষ্টোর। প্রতিবছর এ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৮০% বলে জানান প্রধান শিক্ষক বিশ্ব নাথ দে। স্থানীয় গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা বলেন, বিদ্যালয়টি এখানে স্থাপিত না হলে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হত ইউনিয়নের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি সহ শত শত ছেলে মেয়ে। তাদের পক্ষে উপজেলা সদরে গিয়ে পড়ালেখা করা কোন মতেই সম্ভব হত না। প্রধান শিক্ষক বিশ্ব নাথ দে’র অক্লান্ত পরিশ্রম আর দ্ক্ষতায় আজ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টিত হয়েছে, দুর্গম এ ইউনিয়নে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে।