1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বান্দরবানের রুমায় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের প্রতিবাদে মানববন্ধন নাইক্ষ্যংছড়িতে তথ্য অফিসের নারী সমাবেশ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী লামায়: ‘নতুন কুঁড়ি-২০২৫’ প্রচারণা বিষয়ক অবহিতকরণ লামায় সহকারি শিক্ষক সমিতির আহবায়ক সুলতান, সদস্য সচিব আজগর লামায় বিএডিসি’র অনিয়মিত শ্রমিকদের কর্মবিরতি লামায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ’র উদ্বোধন ঘুমধুম সীমান্তে আরাকান আর্মির সদস্য সন্দেহে দুই উপজাতি নাগরিক আটক! ঘুমধুমে রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার লোহাগাড়ায় ৭৫ লিটার চোলাই মদসহ আটক ২ নাইক্ষ্যংছড়িতে আটক ছাত্রের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন বাংলাদেশ পুলিশ মেধা বৃত্তি পেল বান্দরবানের নওরীন জাহান রাইসা বান্দরবানে বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক ব্রিফিং কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ ৬ জন গ্রেফতার আজিজনগর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান জসিম ও তার ছেলে নিহাল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার নাইক্ষ্যংছড়িতে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে আটক- ১

লামা-আলীকদমের মানুষ প্রথম পাবেন ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪
  • ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবান প্রতিনিধি |
২০৩০ সাল নাগাদ ম্যালেরিয়া নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার, তবে সারা দেশের মধ্যে পার্বত্য তিন জেলায় ম্যালেরিয়ার সংক্রমণের বেশি। বিশেষ করে বান্দরবান জেলায় ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি, এজন্য বর্তমান চলমান সেবা দিয়ে সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) বিকালে বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত ম্যালেরিয়া নির্মূলে গবেষণা “ সবার জন্য টিকা এবং সবার জন্য ঔষধ ” শীর্ষক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিং এ গবেষণা বিষয়ক উপস্থাপনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও প্রধান গবেষক অধ্যাপক (ডা:) মো. আবুল ফয়েজ।
বান্দরবানের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এমএম নয়ন সালাউদ্দিন এর সঞ্চালনায় এ আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পরিবার পরিকল্পনার সহকারি পরিচালক ডা. অংচালু মারমা।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও প্রধান গবেষক অধ্যাপক (ডা:) মো.আবুল ফয়েজ বলেন, চলমান সেবার মধ্যে মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য কীটনাশকযুক্ত মশারি এবং অন্যান্য চলমান প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বাড়ির কাছের স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে দ্রুত ম্যালেরিয়া রোগ নির্ণয় করা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীকে স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়া। তিনি আরো বলেন, ম্যালেরিয়া নির্মূলের চলমান সেবার পাশাপাশি সবার জন্য ম্যালেরিয়ার টিকা এবং ঔষধ প্রয়োগ হতে পারে যুগোপযোগী পদক্ষেপ। সে লক্ষ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূলের নতুন টিকার কার্যকারিতা নিয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে।
এই গবেষণায় যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত ম্যালেরিয়ার টিকা ব্যবহার করা হবে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডঐঙ) অনুমোদিত এই টিকা ইতিমধ্যে ৭৭% উচ্চ কার্যক্ষমতা আছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি ম্যালেরিয়ার জন্য উদ্ভাবিত ২য় টিকা এবং উৎপাদন করেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। গবেষণাটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বান্দরবান জেলার লামা ও আলীকদম উপজেলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১০০টি পাড়ার প্রায় ১০ হাজার মানুষকে নির্বাচিত করা হবে এবং ১০০ গ্রামের ১০হাজার মানুষকে দৈবচয়নের মাধ্যমে সমানভাবে মোট চারটি ক্লাস্টার বা গ্রপে ভাগ করা হবে ।
গবেষণাটিতে নির্বাচিত ১০০টি পাড়ায় বসবাসরত ছয় মাসের অধিক বয়সী সকল অধিবাসীকে গবেষণার বিষয়ে অবহিত করে সম্মতি পাওয়া সাপেক্ষে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য সরবরাহকৃত ম্যালেরিয়ার টিকা, ঔষধ ও চলমান সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। গবেষণা চলাকালীন যে কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ ও সহায়তা পাওয়া যাবে। তবে গর্ভবতী মা ও এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণের পরিকল্পনা করেছেন এমন কেউ, বাচ্চাকে দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মা, ম্যালেরিয়ার অন্য টিকা গ্রহণ করেছেন কিংবা ম্যালেরিয়ার জন্য গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত হিসেবে টিকা পাচ্ছেন এমন কেউ, চিকিৎসা পাচ্ছেন এমন মারাত্মক অসুস্থ কেউ, গবেষণার ঔষধ বা টিকার পূর্ববর্তী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ইতিহাস আছে এমন কাউকে এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও প্রধান গবেষক অধ্যাপক (ডা:) মো. আবুল ফয়েজ আরো জানান, এই গবেষণায় জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচি, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্বাবধানে ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, ব্র্যাক, সিআইপিআরবি, মাহিদল অক্সফোর্ড রিসার্চ ইউনিট, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড ও জেনার ইনস্টিটিউট, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সম্পৃক্ত রয়েছে। গবেষণা শেষে আগামী বছর থেকে লামা ও আলীকদম উপজেলায় উদ্ভাবিত ম্যালেরিয়ার এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট