1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে কেন রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি বান্দরবান ৩০০নং আসনে জাবেদ রেজাকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে লামায় বর্ণাঢ্য পদযাত্রা ফের সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত দু’জন প্রতিবন্ধীর পাশে দাঁড়ালেন সাতকানিয়া–লোহাগাড়ায় মানবিক ফাউন্ডেশন লামায় এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা সামগ্রী সেলাই মেশিন প্রদান আলীকদমে মাতামুহুরি নদী থেকে লাশ উদ্ধার  লামায় এনসিপি’র উদ্যোগে আন্ত উপজেলা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’র উদ্ভোধন বান্দরবান ৩০০ নং আসনের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আলীকদমে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা লামায় কোমর পানি পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের যেতে হয় বিদ্যালয়ে, ব্রীজের দাবী এলাকাবাসীর লামার মিরিন্জা ভ্যালীতে আগুনে পুড়ে গেল জুৃম ঘর লামায় স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংষ্কার করলেন টমটম মালিক ও চালকরা সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত, নিহত ৪ বিএনপি যেসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করতে পারে লামায় সড়কে গাড়ি উল্টে চালক নিহত লামায় হাজার হাজার নারী পুরুষের প্রতিরোধের মুখে ইটভাটায় অভিযান চালাতে পারেনি পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানি দল

লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সেবিকাসহ জনবল সংকট, সেবা বঞ্চিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিসহ প্রায় ৩ লাখ মানুষ, দ্রুত জনবল সংকট নিরসনের দাবী উপজেলাবাসীর

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

মো. নুরুল করিম আরমান | 
বান্দরবান জেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ লামা উপজেলা। বেসরকারী হিসেবে মতে এ উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ও বাঙ্গালী মিলে প্রায় ৩ লাখ মানুষের বসবাস। অথচ এখানের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে ২৩জন চিকিৎসকের স্থলে মাত্র ২ জন ও ২৭ জন স্থলে রয়েছেন মাত্র ৭ জন সেবিকা। ফলে জনবহুল এ উপজেলা ও পাশের চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নবাসীকে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হাফিয়ে উঠছেন কর্তব্যরত এ কয়জন চিকিৎসক ও সেবিকারা। এছাড়া ২০২৩ সালের বর্ষার ভয়াবহ বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে এক্স-রে মেশিন, এনেস্থিশিয়া মেশিন, ইসিজি মেশিনসহ অপারেশন থিয়েটারের যাবতীয় মেশিনারিজ বিনষ্ট হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গরীব অসহায় জনসাধারণ। খোদ নবাগত লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম এ তথ্য জানান।

দ্রুত শূণ্যপদে চিকিৎসক ও সেবিকাসহ অন্য সব জনবল পদায়নের দাবী তুলে তিনি আরো জানান, সামান্য দুর্ঘটনায় আহত রোগী ও প্রসুতি মায়ের চিকিৎসার জন্য রোগীকে দৌঁড়তে হয় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে। এখানের জনসাধারণ অধিকাংশ গরীব ও অসহায়। তাই অনেকের পক্ষে অন্যত্র গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেয়া সম্ভব হয়না। তাই জনবল সংকট নিরসন অতীব জরুরী হয়ে উঠেছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, সমতলের তুলনায় উপজেলাটি পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় স্থানীয়রা ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হন বেশি। প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগে ২০০ থেকে ৩০০ রোগী সেবা নেন ও অভ্যান্তরীণ বিভাগে শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। এসব রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আমার বিশ্রামের সুযোগ হয়না। অথচ নিয়ম হলো দিনে একজন ডাক্তার ১০ জন রোগী দেখবেন। অপরদিকে ভর্তিকৃত শতাধিক রোগীকে ২৪ ঘন্টা সেবা দেয়া দিচ্ছেন সাতজন সেবিকা। টানা ডিউটি করতে গিয়ে সেবিকারাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানান সিনিয়র সেবিকা নিলীমা রানী। শুধু তায় নয়, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেন্টাল, চক্ষু, মহিলা ও শিশুরোগসহ প্রসুতি বিভাগ কোন চিকিৎসক নেই দীর্ঘদিন ধরে। আন্তবিভাগে ভর্তিকৃত রোগী মৌসুমী বেগম, আনোয়ার হোসেন ও রিংরং মুরুংসহ অনেকে বলেন, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় ওয়ার্ডগুলো।

তাছাড়া টয়লেটগুলো অপরিস্কার। দরজা জানালাগুলো বেশিরভাগ অকেজো। এতগুলো রোগী সামলাতে সেবিকারা হিমসিম খাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশার বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার কাউন্সিলার মো. সাইফুদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও সেবিকা না থাকায় দুর্গম পাহাড়ি এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিসহ গরীব ও অসহায় মানুষ ন্যায্য চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। এছাড়া ঔষধ সংকট ত লেগেই আছে। সাধারণ সর্দিকাশি, জ¦র, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, ভাইরাস, পেটের নানা অসুখের ঔষধ স্যালাইন, কিছুই এখানে পাওয়া যায় না।

বিদ্যুৎ চলে গেলে পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ভুতুড়ে অবস্থায় পরিণত হয়। মোট কথা জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নিজেই এখন রোগী। চিকিৎসক, সেবিকা, রোগ নির্ণয়ক মেশিনারিজ, অন্য জনবল ও বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী তুলেন মানবাধিকার কর্মী এ রুহুল আমিন। তিনি বলেন, দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকট নিরসন করা না হলে এলাকাবাসি আন্দোলনে নেমে পড়বে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট