প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা জানিয়েছেন বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এখিং মারমা। এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও প্রিন্ট পত্রিকায় ‘লামায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ’, ‘সেবা প্রার্থীদের গায়ে গন্ধ’ ও ‘স্বাস্থ্য কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতায় ক্ষুব্ধ জনতা’-শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি তার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। একটি মহল নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলে ব্যর্থ হয়ে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এখিং মারমাকে সামাজিক, দাপ্তরিক ও পারিবারিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করিয়েছেন মাত্র।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, সমাজসেবা কার্যালয়’র অধীনে রোগী কল্যাণ সমিতির আওতায় বিনামূল্যে ঔষধ প্রদানের ক্ষেত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর হতে প্রদত্তব্যবস্থাপত্র অনুসারে ঔষধ সরবরাহ করা হয় এবং প্রতিমাসের সরবরাহকৃত ঔষধের বিল পরবর্তী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে দাখিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় তা না করে, বিগত ৯ মাসের বিল একসাথে দাখিল করেন। প্রদত্ত বিলে ১৩৯জন রোগী দেখানো হলেও ব্যবস্থাপত্র রয়েছে ১১২ জন রোগী। হিসেবে গড়মিল হওয়ায় বিলসমূহ অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য রাখা হয়। এছাড়াও রোগী কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাওয়ায় মূলত সমাজসেবা দপ্তর তার উপর ক্ষিপ্ত হন। তাকে বিভিন্নভাবে বিলে স্বাক্ষর প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ঔষধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় হতে চাপ প্রয়োগ করা হয়।
এছাড়া কোন সেবা গ্রহিতা কাগজে সনাক্ত স্বাক্ষর নিতে গেলে সেবাপ্রার্থীদের সাক্ষাত ও প্রয়োজনীয় সই না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়,-এমন অভিযোগ মোটেও সত্য নয়। তিনি দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি সম্মানিত জনসাধারণের সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে সদাশয় সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক লামা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর’র অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতেছেন। জনসাধারণ সেবা প্রাপ্তির জন্য পৌরসভা কার্যালয় হতে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রাপ্তির নির্ধারিত ফরম গ্রহণ পূর্বক আবেদন করে থাকেন। ফরমের সাথে সেবার ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করার জন্য নির্দেশনা সম্বলিত একটি টোকেনও দেয়া হয়। সুপারিশ প্রদানের ক্ষেত্রে সকল কাগজপত্র যাচাই পূর্বক তার দপ্তর সুপারিশ প্রদান করে থাকেন। সেবা গ্রহিতার আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক না থাকলে, সেগুলো ফেরত পাঠানো হয়। প্রতিটি আবেদনপত্রে কি কি অসম্পূর্ণ রয়েছে তা আবেদনপত্রের উপর সুনির্দিষ্ট নোটও দেওয়া হয়। যেহেতু দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি পৌর কাউন্সিলর’ দায়িত্ব পালন করতেছেন, সেহেতু সেবা গ্রহিতাগণের আবেদন সমূহ যথাযথভাবে যাচাই পূর্বক স্বাক্ষর প্রদানের জন্য অফিস ফাইলে দেয়ার অনুরোধ করা হয়।
তিনি কোন সেবা গ্রহীতা কিংবা প্রশাসনের কোন দপ্তরকে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবহান জানিয়ে আরও জানান, তিনি একজন গাইনী এন্ড অব্স বিষয়ে এম.এস ডিগ্রীধারী। গর্ভবতী মায়েদের নরমাল ডেলিভারী এবং সিজারিয়ান সেবা প্রদানে অভ্যস্ত তিনি। কাজেই গায়ের গন্ধ নিয়ে নানান অজুহাতে সেবা গ্রহিতাদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও প্রপাগন্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়। শেষে এহেন মিথ্যা তথ্য সম্বলিত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এখিং মারমা।