দেশজুড়ে চলছে তীব্র লোডশেডিং। এর মধ্যে এবার আরেক দুঃসংবাদ। কয়লা সংকটে দেশের সবচেয়ে বড় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রায় উৎপাদন কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে লোডশেডিং আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে পায়রার দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে কয়লা সংকটের কারণে গত ২৫ মে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়।
এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সমগ্র বরিশাল, খুলনা ও ঢাকার কিছু অংশের বিদ্যুৎ সরবরাহের উৎস।
পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র বলছে, কেন্দ্রটির কয়লা আমদানি করে চীনা অংশীদার প্রতিষ্ঠান সিএমসি। তাদের পাওনা অর্থ ৬ মাসের নির্ধারিত সময় না দেয়ায় চীন সরকার বাংলাদেশে কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
কয়লার অভাবে কেন্দ্রটির বন্ধ হওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক বকেয়া পাওনা থেকে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানির উদ্যেগ নিয়েছে, সেই কয়লা আগামী ২৫ জুনের আগে কেন্দ্রে এসে পৌঁছাবে না। ফলে এই কেন্দ্র উৎপাদনে না আসা পর্যন্ত সেটির বিদ্যুৎ ঘাটতি থেকেই যাবে।
এদিকে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের খবরে সারাদেশে লোডশেডিং নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) দেশের সব উপজেলায় মাইকিং করে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে অনুরোধ করছে। নড়াইল, বরিশালসহ বেশ কিছু এলাকায় এ ধরনের মাইকিং করা হয়েছে। সূত্র-দৈনিক বাংলা।