সিলেটে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়।
জেলা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাইয়্যেদ আহমেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভারতের মেঘালয়। এতে জেলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
দেশে ভূমিকম্পের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল সিলেট। একাধিক চ্যুতি সক্রিয় থাকায় সিলেটকে ভূমিকম্পের ‘ডেঞ্জার জোন’ বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
গত দুই বছরে সিলেটে অন্তত ১৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে, তবে এ দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় সিলেটে নেই কার্যকর উদ্যোগ। ২০২১ ও ২০২২ সালে কয়েক দফা ভূমিকম্পের পর ঝুঁকি মোকাবিলায় কিছু উদ্যোগ নেয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে সংগঠিত ভূমিকম্পের অন্তত ২০টির উৎপত্তিস্থল ছিল দেশের অভ্যন্তরে, যার মধ্যে ১১টি হচ্ছে সিলেট অঞ্চলে। বাকি সাতটি ছিল সীমান্ত এলাকাসহ আশপাশের দেশগুলোতে। একাধিক বিশেষজ্ঞ জানান, বারবার ভূমিকম্প হওয়ার অর্থ এখানকার চ্যুতির লাইনগুলো সক্রিয় আছে।
সিলেটে ২০২১ সালের মে ও জুনে পরপর ছয় দফা ভূমিকম্প হয়। এরপর বড় ভূমিকম্পে ক্ষতি কমিয়ে আনতে নগরের সব বহুতল ভবনের ভূমিকম্প সহনীয়তা পরীক্ষা ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ওই সময় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে নগরের বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার এলাকার কিছু ভবন পরীক্ষা করা হয়। এ বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ছিলেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও পুর প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম।
তিনি বলেন, সিলেটের ভবনগুলো গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিভাবে। ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভবনই ভূমিকম্পের কথা চিন্তা না করে তৈরি করা হয়েছে। এগুলো ভূমিকম্প প্রতিরোধকভাবে নির্মাণ করা হয়নি। ফলে সাত মাত্রার ভূমিকম্প হলেই ৮০ শতাংশ বহুতল ভবন ভেঙে পড়তে পারে।