1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ০৩:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
রোয়াংছড়িতে সংবর্ধনায় মাওসেতুং তঞ্চঙ্গ‍্যা বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ-জেএসএস গোলাগুলি, নিহত ১ ডুলাহাজারা কলেজের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তনে বিপাকে শিক্ষার্থীরা, পুনর্বহালের দাবি ঈদের ছুটিতে খুলছে রুমার পর্যটন, যেসব জায়গায় যাওয়া যাবে বান্দরবান জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন : জেরী আহবায়ক, জাবেদ সদস্য সচিব নির্বাচিত লামায় ঈদ উল আযহা নামাজ’র সময় সূচী লামায় পর্যটন স্পটে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার লামায় জীনামেজু টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট শিক্ষকরা পেলেন ঈদ উপহার চকরিয়ায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ১ নাইক্ষ্যংছড়িতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা পেলেন ঈদ উপহার লামায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল সিঙ্গাপুর জিমন্যাস্টিকস ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জয় করে নিলেন লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের জিমন্যাস্টরা লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়িতে বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত লামায় পুষ্টি বিষয়ক চিত্রাঙ্কন কুইজ ও উপস্থিত বক্তৃতার পুরস্কার বিতরণ

হাইকোর্টের রায় : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে বৈবাহিক অবস্থা লেখা বাধ্যতামূলক নয়

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৪০৯ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা লেখা বাধ্যতামূলক করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের রুল আংশিক মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খাইরুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনিক আর হক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মেয়েটি এখন কী করবে?’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ফারিহা ফেরদৌস ওনাহিদ সুলতানা জেনি। ওই পত্রিকার সংবাদ অনুসারে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ জুন দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ধর্ষণের শিকার হন মেয়েটি। ধর্ষকের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেওয়ার জন্য গ্রামের লোকজন চাপ দিতে থাকেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে এ নিয়ে সালিশও হয়। কিন্তু সেখানে অভিযুক্ত যুবক সবকিছু অস্বীকার করেন। সালিশ বৈঠক ভেঙে যায়। প্রতিপক্ষের হুমকির মুখে মেয়ের পরিবার মামলা করতে পারে না। একপর্যায়ে সন্তানসম্ভবা হলে মেয়েটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। তখন ওসিসি থেকেই ধর্ষণ মামলা করা হয়। মামলার পর পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ওই যুবক, মেয়ে এবং তার সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় প্রমাণ হয় ওই যুবকই শিশুটির বাবা। আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়। আদালত ওই মেয়েটিকে ‘মহিলা সহায়তা কর্মসূচি’র রাজশাহী বিভাগীয় আবাসনকেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেখানে থাকা অবস্থায় মেয়েটির এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালে ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।

আবাসনকেন্দ্রে থাকতেই এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৪.১৯ পেয়ে এসএসসি পাস করে। পরে সেখানেই থেকে এইচএসসি পরীক্ষায়ও অংশ নেন। পরবর্তীতে আইনজীবী আশুরা খাতুন এবং জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী দিল সেতারার সহযোগিতায় মেয়েটিকে বাড়িতে রেখে আসেন। এরই মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এবার জিপিএ-৩.১৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি।

এদিকে ২০১৭ সালের ৩০ মে আদালতের রায়ে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। আদালতের রায়ে সন্তানের দায়ভার বাবাকে নিতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাবার ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সন্তান হওয়ার কারণে বিবাহিত না হলেও তাকে ফেলা হয়েছে বিবাহিত নারীর কাতারে। তিনি নার্সিং কলেজের ফরমই পূরণ করতে পারবেন না। বিয়ে না করলেও তার সন্তান রয়েছে। তাকে এখন বিবাহিত নারী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। অথবা ফরমে তাকে স্বামী পরিত্যক্তা লিখতে হবে। মেয়েটি কোনো দলেই পড়েন না।

এ অবস্থায় রিটের পর হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রুল জারি করেন। রুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাওয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এবং এ বিষয়ে একটি অর্থপূর্ণ নীতিমালা কেন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। এছাড়াও মেয়েটিকে অবিলম্বে নার্সিং কলেজে ভর্তি করতে নির্দেশ দেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৫ বছর পর রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট