1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বান্দরবানে অবৈধ সকল ইটভাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ লোহাগাড়ায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ চোর আটক লামায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত আটক লামায় আমতলী কমিউনিটি ক্লিনিক’র নব নির্মিত ভবন উদ্বোধন লামায় প্রাকৃতিক দূর্যোগে আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিকল্পনা বৈধকরণ সভা বান্দরবানে অক্সিজেন সংযোগে বিলম্বে ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রামুতে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩ জন কুতুব‌দিয়ায় এন‌সি‌পি নেতার বিরু‌দ্ধে মামলা বাংলাদেশি ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত লামায় রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট’র উপজেলা পর্যায়ের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত আলীকদম বিজিবি’র উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান মিয়ানমারের অভ্যান্তরে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক গুরুতর আহত লামায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন, সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির  উদ্যোগে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে ফেস্টুন স্থাপন

হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ হওয়ায় ঠিকমতো চলছেনা জেলেদের সংসার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩
  • ২৩৬ বার পড়া হয়েছে

 

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি |

 

প্রজনন মৌসুমে কাপ্তাই লেকে মৎস আহরণ বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও দীঘিনালার প্রায় ৪ হাজারের বেশি জেলে। কর্মহীন জেলেদের প্রতি মাসে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় মাত্র ২০ কেজি চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। তবে জেলেদের দাবি সরকারি এ সহায়তা পর্যাপ্ত নয় । অপ্রতুল বরাদ্দের কথা স্বীকার করে আরও বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় মৎস উন্নয়ন কর্পোরেশন ।

কাপ্তাই লেকে মাছ ধরে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলার প্রায় ৪ হাজার জেলে পরিবারের সংসার চলে। মে থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রজনন মৌসুম হওয়ায় কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এসময় জেলেরা বেকার হয়ে পড়ে। কর্মহীন ও দুস্থ জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে সরকার। পরিবার প্রতি দেয়া হয় মাত্র ২০ কেজি চাল। জেলেদের দাবি সরকারিভাবে পাওয়া রেশন পর্যাপ্ত নয় । ২০ কেজি চাল দিয়ে ৫ দিনের বেশি চলে না। চাল পেলেও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে তারা।

স্থানীয় জেলেরা জানান, আমাদের পরিবারের সদস্য ৮ থেকে ১৪ জন। সরকার ২০ কেজি চাল দেয়। এটা দিয়ে আমাদের ৪-৫ দিন সংসার চলে। মাসের বাকি দিনগুলি আমাদের খেয়ে, না খেয়ে থাকতে হয়। সরকারিভাবে রেশনের পরিমাণ বৃদ্ধির দাবি জানান মৎসজীবী নেতারা ।

মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল খায়ের বলেন, জেলেরা সারা বছর মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। বছরে মে থেকে জুলাই তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এই সময়টাতে জেলেরা খুব কষ্টে থাকে। সরকার যদি জেলেদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়, তাহলে জেলেরা কোন রকমে বেঁচে থাকতে পারবে।

জানা যায়, জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল অপ্রতুল বলে স্বীকার করেছে স্থানীয় মৎস উন্নয়ন কর্পোরেশন। বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ মৎসউন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

মহালছড়ি হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন উপকেন্দ্রর প্রধান মো. নাসরুল্লা জানান, জেলেদের পরিবার প্রতি ২০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের কাছে অপ্রতুল মনে হয়েছে। জেলেদের বরাদ্দ বাড়িয়ে ২০ কেজির পরিবর্তে ৩০ কেজি চাল বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। তথ্যানুযায়ী ২০২১-২২ অর্থ বছরে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপকেন্দ্রে মৎস আহরণ থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট