নাজিম উদ্দীন রানা,লোহাগাড়া-চট্রগ্রাম।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চুনতি লাইটহাউস ও ক্লাব একাত্তরের যৌথ উদ্যোগে “যুক্তির সমরে মুক্তির মিছিল” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গত ২০ ও ২১শে ফেব্রুয়ারি দুই দিন ব্যাপী “একুশে বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৩” অনুষ্ঠিত হয়।
চুনতি লাইটহাউস নলেজ সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসা, চুনতি ফাতেমা বতুল মহিলা মাদ্রাসা, চুনতি সরকারি মহিলা কলেজ, চুনতি উচ্চ বিদ্যালয়, চুনতি মেহেরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বীর বিক্রম জয়নুল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়। যুক্তি ও তর্কের প্রাণবন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন হন
চুনতি মেহেরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় দল এবং রানার আপ হয় চুনতি ফাতেমা বতুল মহিলা মাদ্রাসা দল।
বিজয়ী দলের হাতে শিরোপা তুলে দেন চুনতি লাইটহাউসের সভাপতি সুরাইয়া জান্নাত এফ.সি.এ ও চুনতি সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর দ্বীন মোহাম্মদ মানিক।
দু-দিন ব্যাপী এ বিতর্কে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর হামিদুল হোসাইন সিদ্দিকী, বিতার্কিক, লেখক ও সংগঠক রোটারিয়ান ছাইফুল হুদা ছিদ্দিকী ও চুনতি লাইটহাউসের নির্বাহী কমিটির সদস্য কসশাফুল হক শেহজাদ।
বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন স্বনামধন্য বিতর্ক সংগঠন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দীন মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্না মজুমদার, যুগ্ম-সম্পাদক রিদোয়ান আলম আদনান, চুনতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সিনিয়র শিক্ষক রুকন উদ্দিন খান, চুনতি হাকিমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া সাহেল, চুনতি লাইটহাউসের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান আশিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থি রুবাব মিসওয়ার।
পুরষ্কার বিতরণপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন “জ্ঞানার্জনের সৃজনশীল একটি মাধ্যম হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য বিতর্ক চর্চার ভূমিকা অপরিসীম”। গ্রাম পর্যায়ে এ নধরণের একটি বিতর্ক সহায়ক পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ নেওয়ায় তাঁরা চুনতি লাইটহাউস ও ক্লাব একাত্তরের প্রশংসা করেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে আগামিতে এ ধরনের আয়োজন চলমান রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
বিচারকমন্ডলীর রায়ে চূনতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জারিফ আযহান সিদ্দিকী “একুশে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৩” এর সেরা বিতার্কিক এবং মেহেরুন্নেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোকসানা আক্তার ফাইনালের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হন।