1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বান্দরবানের রুমায় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের প্রতিবাদে মানববন্ধন নাইক্ষ্যংছড়িতে তথ্য অফিসের নারী সমাবেশ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী লামায়: ‘নতুন কুঁড়ি-২০২৫’ প্রচারণা বিষয়ক অবহিতকরণ লামায় সহকারি শিক্ষক সমিতির আহবায়ক সুলতান, সদস্য সচিব আজগর লামায় বিএডিসি’র অনিয়মিত শ্রমিকদের কর্মবিরতি লামায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ’র উদ্বোধন ঘুমধুম সীমান্তে আরাকান আর্মির সদস্য সন্দেহে দুই উপজাতি নাগরিক আটক! ঘুমধুমে রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার লোহাগাড়ায় ৭৫ লিটার চোলাই মদসহ আটক ২ নাইক্ষ্যংছড়িতে আটক ছাত্রের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন বাংলাদেশ পুলিশ মেধা বৃত্তি পেল বান্দরবানের নওরীন জাহান রাইসা বান্দরবানে বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক ব্রিফিং কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ ৬ জন গ্রেফতার আজিজনগর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান জসিম ও তার ছেলে নিহাল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার নাইক্ষ্যংছড়িতে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে আটক- ১

আলীকদমে সরকারের পানি শোধনাগার প্রকল্পের সাড়ে ১১ কোটি টাকা জলে যাবে !

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪
  • ১৫১ বার পড়া হয়েছে

এ যেনো এক লাগামহীন ঘোড়ার গল্প, সময়ের পর সময় শেষ হলেও কাজের কোনো সমাপ্তি নেই। লাগামহীন ঘোড়ার এই গল্পটি বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার পানি শোধনাগার প্রকল্পের। সংশ্লিষ্টরা প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দাবি করে পানির সংযোগ নেওয়ার জন্য গ্রাহকদের আহবান জানালেও এখন পানির সংযোগ নিতে তেমন সাড়া মিলছেনা গ্রাহকদের। ফলে সরকারের সাড়ে ১১ কোটি টাকা জলে যাবে বলে মনে করছে অনেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আলীকদম উপজেলা পরিষদের পাশে ছাবের মিয়া পাড়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর স্থানীয়দের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে ২০১১ সালের ১১ জুন প্রকল্পটির কাজ শুরু করে, দীর্ঘ ১৪ বছর অতিক্রম হলেও পানি শোধানাগার নির্মানের কাজ শেষ হয়নি। গত বছর এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলেও পানি দেখেনি স্থানীয়রা। উদ্বোধনের দিন কয়েক ঘণ্টা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পানি দেওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় পানি সরবরাহ।

আরো জানা যায়, শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২০১১ সালের ১১ জুন শুরু হলে তখন ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি জলাধার নির্মাণের পর প্রকল্পের কাজ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। পরিত্যক্ত শোধনাগারটি পুনরায় নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশন থেকে ৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু গত বছরের ১২ এপ্রিল উদ্বোধনের দিনই পানি সরবরাহ দেওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়। প্রকল্পের শুরু থেকে দুই দফায় এ পর্যন্ত সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয় হলেও পানি পায়নি আলীকদমবাসী।

সাবের মিয়াপাড়ায় পাড়ার বাসিন্দা নুরুল হক জানান, শুষ্ক মৌসুমে তীব্র পানি সংকটের দেখা যায়। বিগত বছরগুলোতে এক কলসি পানির জন্য নলকূপের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়। তারপরও পানি সংকট নিরসনে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেই।

আরো জানা গেছে, গত ৩ মাস আগে পানির সংযোগ লাইন প্রদানের জন্য মাইকিং করা হয়েছিলো। কিন্তু প্রতি লাইনের জন্য ফি নির্ধারণ হয় ১০ হাজার টাকা। নিয়মিত পানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে কিনা এমন সংশয় থাকায় পানি শোধানাগার থেকে পানি সংগ্রহে স্থানীয়দের আগ্রহ কম, ফলে আবেদন করেনি কেউ। পরে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ হাজার, তৃতীয় দফায় দুই হাজার সংযোগ ফি নির্ধারণ করা হলে সংযোগের জন্য আবেদন জমা দেয় ৫০ জন গ্রাহক। তবে এসব গ্রাহককে এখনও পানি সরবরাহ করতে পারেনি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

উপজেলা সদরের ৪ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা মংহ্লা প্রু তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, পানির কষ্ট আমাদের চিরকালেই যেন থেকে যাবে, ১৪ বছরেও পানি সংকট নিরসন হয়নি, সামনে শোধনাগার থেকে নিয়মিত পানি পাবো এর নিশ্চয়তা কি।

গত বছরের ১২ এপ্রিল সদ্য সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং পানি শোধনাগার প্রকল্পটি উদ্বোধন করেছিলেন। উদ্বোধনী ফলকটি উন্মুক্ত থাকলেও পানি সরবরাহ উদ্বোধনের দিন বিকেলেই বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কয়েক ঘণ্টার জন্য পানি সরবরাহ করা হয়েছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকেরা বলেন, হাসপাতালে বছরের পর বছর ধরে পানির সংকট চলছে। উদ্বোধন শেষে কয়েক ঘণ্টা পানি সরবরাহ দেওয়ার পর পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবাই হতাশ।

জনস্বাস্থ্যের আলীকদম উপজেলার প্রকৌশলী মোহাম্মদ হালিম বলেন, পানি শোধনাগারের কাজটি শেষ হয়েছে, পানির সংযোগ নিতে স্থানীয়দের আগ্রহ কম।

এই বিষয়ে নিয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউল গনি ওসমানী বলেন, কাজটি প্রায় সমাপ্ত হয়েছে। আগে মাইকিং করা হয়েছিলো কিন্তু গ্রাহক না থাকায় পানি দেওয়া হয়নি। পানির লাইনের খরচও কমানো হয়েছে। সূত্র-পাহাড় বার্তা ডটকম

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট