বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার কুটির শিল্প কার্যালয়ে থাকা ৭ টি গাছ অনুমোদন ছাড়াই কেটে বিক্রি করেছে তাঁত শিল্পের ট্রেনার রকিব উদ্দিন। সম্প্রতি গাছগুলো কেটে মাটি ও ময়লা আবর্জনা ফেলে গাছের গোড়া লুকানোর চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলীকদম সদরে ৩ নং ওয়ার্ড পানবাজারের বৌদ্ধ বিহার রোডে কুটির শিল্প কার্যালয়টি অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে ফেলে রাখা অফিসটি সম্প্রতি মেরামত করা হয়েছে। দীর্ঘ
বছর আগের অফিসের অর্থায়নে লাগানো বিভিন্ন ফলের গাছ, সেগুন, গামারি, বেলজিয়াম, মেহগনি এবং কড়ই গাছ রোপণ করা হয়। ২০-২৫ বছর বয়স্ক গাছগুলো এখন অনেক বড় হয়েছে। সম্প্রতি মেহগনি, বেলজিয়াম, গামারি ও আমগাছসহ সাতটি গাছ কেটে গাছের গোড়াতে মাটি ও ময়লা আবর্জনা ফেলে চিহ্ন লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছে রকিব উদ্দিন। কেটে ফেলা এই ৭ টি গাছের মধ্যে মেহগনি ও বেলজিয়াম বড় গাছ ৫ টি ও অন্য ২ টি গাছ মাঝারি সাইজের। যার বাজার মূল্য ৬০ হাজার টাকা।
আলীকদমের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন জানান, রকিব উদ্দিন গাছগুলো কেটে ফেলেছেন। সরকারি গাছ কেনো কেটে ফেলেছেন তা আমি বলতে পারি না।
নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি কোনো অফিসের গাছ কাটতে গেলে বনবিভাগে লিখিত আবেদন করতে হয়। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর গাছ কাটা যায় এবং তা টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। কিন্তু আলীকদমের কুটির শিল্প কার্যালয়ের গাছ কাটতে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে জানান, আলীকদম তৈন রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম।
এই বিষয়ে তাঁত শিল্পের ট্রেনার রকিব উদ্দিন বলেন, গাছগুলো আমি কতৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে কেটে ফেলেছি। এইসব “বাজে গাছ” দশ পনেরো বছর আগে মারা গেছে। আর গাছের পাতার কারণে অফিসের এরিয়া নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেজন্য কেটে ফেলেছি।
মেহগনি, বেলজিয়াম ও গামারি গাছ “বাজে গাছ” কিভাবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অফিসের এরিয়া নষ্ট করছে। এক পর্যায়ে তিনি নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে বান্দরবান কুটির শিল্পের উপ ব্যবস্থাপক মোঃ শামীম আলম বলেন, এই বিষয়টি আমি জানতাম না। গত সোমবার আমি আলীকদমে ছিলাম এই বিষয়টি জানতে পারলে আমি ব্যবস্থা নিতাম, বিষয়টা আমি খতিয়ে দেখা হবে।