1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
ঘুমধুম সীমান্তে ফেরে বিজিবির অভিযানে ১লাখ পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময় : তিন সন্ত্রাসী আটক : অস্ত্র ও সরঞ্জাম জব্দ নাইক্ষ্যংছড়িতে ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি লামায় বিভিন্ন অপরাধে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা নাইক্ষ্যংছড়িতে অনুষ্ঠিত হলো কাব কার্নিভাল-২০২৫ লামায় ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একজনের পা বিচ্ছিন্ন রোয়াংছড়িতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে পা উড়ে গেছে কিশোরের রোয়াংছড়িতে বিএনপি’ র সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণী কর্মসূচি উদ্বোধন লামায় তুলা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাধারণ তুলা কৃষক প্রশিক্ষণ লামার ফাইতং ইউনিয়নে কৃষক দলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন নাইক্ষ্যংছড়িসীমান্তের ঘুমধুমে ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা যুবক আটক নয়াপাড়া কৃষি কল্যাণ সমবায় সমিতির উদ্যোগে বার্ষিক পূর্ণমিলনী ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

থানচিতে বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব : চিকিৎসক সংকট

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

 

থানচি প্রতিনিধি |

 

বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় চিকিৎসক সংকটের মধ্যে হঠাৎ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই চিকিৎসকের মধ্যে একজন ট্রেনিংয়ে থাকায় রীতিমতো একজন চিকিৎসক সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত চিকিৎসক পোস্টিং দেয়ার দাবি এলাকাবাসীর।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত দেড় মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৬৪ জন ম্যালেরিয়া রোগীকে ভর্তি হয়ে সুস্থ করেছেন। এছাড়া এই সময়ে এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের কর্মীরা পাড়ায় পাড়ায় চিকিৎসা দিয়েছে ২২২ জন ম্যালেরিয়া রোগীকে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সেবা দিতে না পেরে ইতিমধ্যে ৩ জনকে বান্দরবান জেলা ও একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে তারা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে জুন-অক্টোবর ৫ মাস বান্দরবানের থানচির দুর্গম এলাকায় ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বেশী দেখা দেয়। নানা প্রতিকূলতায় রোগীরা পাচ্ছেন না জরুরি চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ। দুর্গম এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ না হওয়ায় ও মোবাইলের নেটওয়ার্ক না থাকায় প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই এলাকাগুলো। তবে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন রোগী স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছেন।

চিকিৎসকদের মতে, বর্ষায় মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা ছিল। এদিকে থানচি উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের মোট ২৭৭টি গ্রামের মধ্যে ৬৬টি গ্রামকে ম্যালেরিয়া জোন হিসেবে চিহিৃত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রবিবার (১৪ জুলাাই) সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র পুরুষ ও নারী দুইটি ওয়ার্ডে অন্যান্য রোগী মধ্যে ও ম্যালেরিয়া রোগী ৯ জন দেখা মিলছে।

হাসপাতালের সিনিয়র নার্স লালসাংপার বম বলেন, পাহাড়ে বেশীর ভাগ মানুষ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে সাধারণ ভাইরাস জ্বর ভেবে প্যারাসিটামল খেয়ে থাকে। তবে রোগীর অবস্থা বেশি দুর্বল হয়ে পড়লে তখন হাসপাতালে নিয়ে আসে। বেশি অসুস্থ হওয়ায় দুর্বল রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে। তবে এ বছর কোন রোগী চিকিৎসার অভাবে মারা যায়নি। যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলা দায়িত্ব বলে জানান তিনি।

আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ২০২৩ সাল থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ছাড়াও আবাসিক চিকিৎসক ডা. মেহনাজ ফাতেমা তুলিসহ আমরা দুইজন। চলতি মাসে ডা. তুলি ট্রেনিংয়ে যাওয়ায় আমাকে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়।

এভাবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই। আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত এভাবে ডিউটি করা লাগতে পারে বলেও তিনি জানান।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ জানান, বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে ট্রেনিংয়ে আছেন। ফিরতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।

তিনি জানান, স্বাস্থ্য কর্মীরা দুর্গম পাহাড়ে পায়ে হেঁটে চিকিৎসা দিতে গেলে সাপের কামড় খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জরুরিভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োজন। এছাড়াও বান্দরবান জেলা হাসপাতালে আমাদের একজন চিকিৎসক প্রেষণে রয়েছে। তাকে পুনরায় পাঠানো জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মো. মোহাবুবুর রহমান বলেন, থানচি উপজেলার চিকিৎসক সংকট কথা জেলার আইন শৃঙ্খলার সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত চিকিৎসক পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। থানচি থেকে প্রেষণে একজন চিকিৎসক রয়েছে তিনি বদলি হয়ে গেছে। প্রেষণে অপর একজন আছে সেটি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জেলা সদরে প্রেষণে থাকলে শিগগিরই থানচি উপজেলায় পাঠানো হবে। এছাড়া সাপের কামড়ের ভ্যাকসিনও শিগগির পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য: গত বছরে ১১ জুলাই থানচিতে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসক সংকটের কারণে ৩ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট