1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় কবরস্থানসহ ২০ জনেরও অধিক মানুষের জায়গা জবর দখল চেষ্টা, প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন বান্দরবান পৌরসভা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা সহায়তা আলীকদমে ছাগলে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক নারীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আলীকদম সেনাবাহিনীর উদ্যোগে অসহায় দুস্থ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ বিতরণ লামায় সালিশী বৈঠকের আগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন : ঘাতক সহ আটক ৫ নাইক্ষ্যংছড়িতে আসছেন চরমোনাই পীর বান্দরবানে আত্নকর্মসংস্থামূলক প্রশিক্ষণের উদ্ভোধন করলেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বান্দরবানে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল ৩ ম্রো নারীর লামায় ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস, জুলাই গণঅদ্বুত্থান দিবস ও নতুন বাংলাদেশ দিবস’র প্রস্তুতি সভা লামায় ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ উদযাপিত বান্দরবান জেলায় এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষে দুর্গম পাহাড়ের কোয়ান্টাম কসমো স্কুল লামায় গভীর রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, হাতেনাতে আটক ২ জনকে কারাদন্ড লামায় কৃষি অধিদপ্তরের প্রণোদনা বিতরণ লামায় সব রিসোর্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রশাসনের বান্দরবানে স্ত্রী হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

লামায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা : দখল দেখাতে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

লামা প্রতিনিধি |
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় রাতের অন্ধকারে ঘর নির্মাণ করে জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি হেডম্যান পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। নয়া মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন ও মো. ইব্রাহীম হোসেন সহ মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলামরা ফারজানা আক্তার মুন্নির ভোগদখলীয় জমিতে এ ঘর নির্মাণ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রাা।
অভিযোগে জানা যায়, ক্রয় সূত্রে ফারজানা আক্তার মুন্নির নামে লামা উপজেলার ৩০৫নং গজালিয়া মৌজার আর/৮৪৩নং হোল্ডিং মূলে ৩ একর ৮০ শতক দ্বিতীয় শ্রেণীর জমি রয়েছে। লোভের বশিভুত হয়ে এ জমির উপর পাশের নয়া মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলামদের (৩৫) লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা এ জমি জবর দখলে নিতে বিভিন্নভাবে পায়তারা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ১২ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৫ধারা মতে জমির মুল মালিক ও ফারজানা আক্তার মুন্নি সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে স্থিতিতাবস্থা চেয়ে ফৌজদারী অভিযোগ করেন। বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষকে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় স্থাপনা বা নির্মাণকাজ না করার জন্য আদেশ দেন। কিন্তু তাজুল ইসলাম, ইব্রাহিম হোসেন ও আনোয়ার হোসেনরা আদালতের এ নির্দেশ অমান্য করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে ওই জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় তাজুল ইসলামরা জমির ঘেরাবেড়া ও জমির ফসল উপড়ে ফেলে বলে জানান জমির লাগিয়ত গ্রহিতা মো. আলম।
ভুক্তভোগী সাদ্দাম হোসেন রাকিব বলেন, অনেক দিন ধরে তাজুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেনরা আমার স্ত্রী ফারজানা আক্তার মুন্নিার কেনা জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছেন। কিছুদিন আগেও জমিতে কাজ করতে গেলে তারা বাধা প্রদান করেন। শুধু তায় নয়, জমি ছেড়ে না গেলে আমাকে ও আমার জমির কেয়ারটেকারকে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে হুমকিও দেন। হুমকির শিকার হয়ে আমি আদালতের শরণাপন্ন হই। তিনি আরও বলেন, এর আগে গত ১৯ মে ফারজানা আক্তার মুন্নি জমি মো. আলমের কাছে লাগিয়ত প্রদান করেন। এ লাগিয়ত চুক্তি নামায় স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন অভিয্ক্তু আনোয়ার হোসেনও। অথচ এতদিন পর এসে জমি তাদের দাবী করে অযথা ঝামেলা করছেন।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলম, মো. ফারুক ও মো. মুসা সহ অনেকে জানান, আর/৮৪৩নং হোল্ডিং এর ৩ একর ৮০ শতক জমি ফারজানা আক্তার মুন্নি ক্রয় সূত্রে মালিক। এ জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলেও আছেন তিনি। কিন্তু ইদানিং ইব্রাহিম হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও তাজুল ইসলাম গংরা এ জমিতে রাতের আধাঁরে ঘর তুলে তাদের বলে দাবী করছেন। এটা সম্পূর্ণ অন্যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমরা আমাদের বাবার জমিতে ঘর নয়, একিিট বৈঠকখানা নির্মাণ করেছি। বাবা মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশসূত্রে এ জমির মালিক আমরা। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও বিরোধীয় জমিতে ঘর নির্মাণের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেন নি ইব্রাহীম হোসেন ও আনোয়ার হোসেনরা।
গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ম্যংক্যচিং চৌধুরী বলেন, বিরোধীয় জমির বিরোধ মিমাংশার স্বার্থে উভয় পক্ষকে নিয়ে হেডম্যান কার্যালয়ে বসার কথা ছিল। উভয়পক্ষ বসার জন্য সম্মতিও দিয়েছেন। কিন্তু এর মধ্যে আনোয়ার হোসেন ও তাজুল ইসলামরা কারো কথা না মেনে, রাতের অন্ধকারে ঘর তুলে জমি জবর দখলের চেষ্টা করছেন।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম শেখ বলেন, গজালিয়া হেডম্যান পাড়ার জমি নিয়ে এক পক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থিতিতাবস্থা চেয়ে ও অপর পক্ষ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। নোটিশের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে বিরোধীয় জায়গায় না যেতে বলা হয়েছে। কোন পক্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় জমিতে ঘর তুললে বা কোন ধরণের কাজ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট